বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্র যৌথভাবে দুই দিনব্যাপী ইউএস-বাংলাদেশ ভার্চুয়াল মার্কেট শোকেস আয়োজনের মাধ্যমে "খাদ্য ও বন্ধুত্বের ৫০ বছর" উদযাপন করেছে।
মার্কিন দূতাবাসের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আজ বলা হয়েছে, "শোকেসটি মার্কিন রপ্তানিকারকদের জন্য ভোক্তা-ভিত্তিক খাদ্য ও পানীয় পণ্যের বাংলাদেশী পরিবেশক ও আমদানিকারকদের সাথে মিলিত হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে।”
এতে আরো বলা হয়, বাংলাদেশ ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের কৃষি ও খাদ্য পণ্য আমদানি করেছে।
২১ থেকে ২২ জুন অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল বাজারের উদ্বোধনী অধিবেশনে মার্কিন দূতাবাসের চার্জ ডি' অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফেভ এবং ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্র্রিকালচারের ফরেন এগ্রিকালচারাল সার্ভিসের অ্যাডমিনিস্ট্রেটর ড্যানিয়েল হুইটলি উপস্থিত ছিলেন।
লাফেভ বাংলাদেশের খাদ্য খাতে মার্কিন পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষিতে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ভোক্তারা আমাদের পণ্যের উচ্চ গুণমান ও আমাদের কোম্পানির নির্ভরযোগ্যতার স্বীকৃতি দিচ্ছে।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজার বাড়তে থাকবে কারণ আমেরিকান ইন্ডাস্টি বাংলাদেশ ও সারা বিশ্বে গ্রাহকদের ভালো সেবা দিতে ক্রমাগত উদ্ভাবন বাড়াচ্ছে এবং স্বাস্থ্যকর ও সাশ্রয়ী খাবার সরবরাহ করছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মার্কিন রপ্তানিকারকরা বিশেষভাবে অর্থনীতি, মধ্যবিত্তের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং উচ্চমূল্যের পণ্যের জন্য তাদের খরচের ধরণ পরিবর্তিত হওয়ায় বাদাম, বেকারি উপাদান, স্ন্যাকস, ফলের রস এবং মশলা রপ্তানিকারকদের জন্য বাংলাদেশকে নতুন বাজার হিসেবে বিবেচনা করছে।
এতে আরো বলা হয়, বাংলাদেশে প্রথম এ ধরণের ইভেন্ট হচ্ছে যেখানে বাংলাদেশী তরুণ জনসংখ্যা খাবার রেস্তোরাঁগুলিতে ব্যয় বাড়িয়েছে।
দূতাবাস বলেছে, ইউএস ফরেন এগ্রিকালচার সার্ভিস ওয়াশিংটন ও ঢাকার মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে ও জোরদার করতে এই ভার্চুয়াল মার্কেট শোকেস ছাড়াও, বাণিজ্য সক্ষমতা বৃদ্ধির কর্মসূচি এবং বিনিময় কর্মসূচির মতো অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তথ্য সূত্র বাসস।