News update
  • Dhaka’s air quality 2nd worst in the world this morning     |     
  • Eleven missing after South African trawler sinks     |     
  • 800,000 have fled fierce fighting in Rafah, UN says     |     
  • IFC for united movement to realise fair share of water from India     |     

চীন-আসিয়ান সম্পর্কের গতি ক্রমশ বাড়ছে

ওয়াং হাইমান ঊর্মি কুটনীতি 2022-08-04, 2:52pm

mmexport1659587437511-8d714c613b8a8e0547142a7bff828e371659603144.png




চলতি বছর হচ্ছে ‘আসিয়ান’ প্রতিষ্ঠার ৫৫তম বার্ষিকী ।

আসিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ৫৫তম সম্মেলন কম্বোডিয়ায় চলছে। চীন ও আসিয়ান একে অপরের বৃহত্তম ব্যবসায়িক অংশীদার।

চীনের রাষ্ট্রীয় কাউন্সিলার ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেছেন, চীন-আসিয়ান সম্পর্ক দ্রুতগতির লেনে প্রবেশ করেছে এবং এর গতি ক্রমশ বাড়ছে।

এ প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি সিএমজি’র সংবাদদাতা আসিয়ানের রাজনৈতিক নিরাপত্তাবিষয়ক উপ-মহাসচিব মাইকেল ডেনির সাক্ষাৎকার নেন। সাক্ষাৎকারে চীন-আসিয়ান আর্থ-বাণিজ্যিক ও রাজনৈতিক নিরাপত্তা, চীনা কমিউনিস্ট পার্টির আসন্ন ২০তম জাতীয় কংগ্রেস থেকে আসিয়ানের প্রত্যাশা, ইত্যাদি বিষয় উঠে এসেছে।

বাণিজ্য চীন ও আসিয়ানের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে, চীন ও আসিয়ান একে অপরের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার।

৩০ বছর আগের তুলনায়, চীন-আসিয়ান দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ১০০ গুণ বেড়েছে; দ্বিমুখী বিনিয়োগ ৩০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে।

ঘনিষ্ঠ বাণিজ্যিক সম্পর্ক চীন-আসিয়ান অংশীদারিত্বে কী তাত্পর্য বহন করে? কীভাবে দ্বিপাক্ষিক রাজনৈতিক নিরাপত্তা সহযোগিতা ও সংলাপকে এগিয়ে নেওয়া যায়?

এ সব প্রশ্নের উত্তরে উপ-মহসচিব বলেন, “বিগত ১০ বছরে চীন ‌ও আসিয়ানের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ দ্বিগুণ হয়েছে। ২০২০ সাল থেকে, চীন আসিয়ানের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার। একইভাবে, আসিয়ান সামগ্রিকভাবে চীনের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার।”

এর অর্থ, কয়েক দশক ধরে চীন ও আসিয়ানের মধ্যে সম্পর্ক, বিশেষ করে বাণিজ্যিক সম্পর্ক উভয় পক্ষের জন্যই লাভজনক প্রমাণিত হয়ে আসছে। চীন ও আসিয়ানের জনগণের অভিন্ন সমৃদ্ধির জন্য, দু’পক্ষের পারস্পরিক কল্যাণকর বাণিজ্যিক সম্পর্ক সুনিশ্চিত করতে হবে।

তিনি বলেন, “চীন ও আসিয়ানের অভিন্ন স্বার্থ রয়েছে, যা দু’পক্ষের জনগণের সমৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই সমৃদ্ধি নির্ভর করে আমাদের দুই পক্ষের মধ্যে একটি শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল সম্পর্কের ওপর এবং একটি শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল অঞ্চলের ওপর। আমরা আঞ্চলিক ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের চুক্তি (আরসিইপি)-র ওপর ফোকাস করছি, যা আমাদের অঞ্চলকে আরও সমৃদ্ধ করবে। শুধু আসিয়ান ও চীন নয়, আরসিইপি-র অন্যান্য অংশগ্রহণকারীও এ থেকে উপকৃত হচ্ছে। আরসিইপি একটি একচেটিয়া চুক্তি নয়। এতে বহুপক্ষবাদ ও ন্যায্যতার পক্ষে, আরও বেশি সমৃদ্ধির পক্ষে আরসিইপি’র স্বাক্ষরকারীদের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত হয়েছে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।”

তিনি বলেন, বিগত কয়েক বছরে বড় দেশগুলোর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বেড়েছে; বহুপক্ষীয় ফোরামে অগ্রগতি অর্জন কঠিন থেকে কঠিনতর হয়েছে। এ প্রবণতার বিরুদ্ধে আরসিইপি একটি শক্তি হয়ে উঠেছে। আরসিপি’র প্রতিশ্রুতি বহুপক্ষীয়, উন্মুক্ত ও সহজনশীল বাণিজ্যিক ব্যবস্থা জোরদারের প্রতিশ্রুতি। এটা গুরুত্বপূর্ণ।

চীনা কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিসি)-র ২০তম জাতীয় কংগ্রেস চলতি বছর বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত হবে। আসিয়ান এই বৈঠক থেকে কী আশা করে?

এ সম্পর্কিত আলোচনায় উপ-মহাসচিব বলেন, “বিগত কয়েক দশক ধরে, চীনা কমিউনিস্ট পার্টি সফলভাবে চীনা জনগণের জন্য সমৃদ্ধি বয়ে এনেছে। কোটি কোটি মানুষ দারিদ্র্য থেকে মুক্ত হয়েছে। চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সাফল্য অব্যাহত থাকুক এবং চীনা জনগণের উন্নত জীবনের আকাঙ্খা পূরণ হোক। আমি বিশ্বাস করি যে, চীনের সমৃদ্ধি আঞ্চলিক সমৃদ্ধি এবং বিশ্বের সমৃদ্ধির ওপরও বিশাল প্রভাব ফেলবে।”

(ওয়াং হাইমান ঊর্মি, সাংবাদিক, বাংলা বিভাগ, চায়না মিডিয়া গ্রুপ, বেইজিং, চীন। )