ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট জার্মানির সংসদে তৃতীয় রাইখের সময় সংঘটিত নৃশংসতার বিষয়ে ভাষণ দেন। একইসাথে হলোকাস্ট সমাপ্তির পর দুই দেশের মধ্যে যে ঘনিষ্ঠ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের উদ্ভব হয়, তার প্রশংসা করেছেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানির নাৎসি ও তাদের দোসরদের হাতে ৬০ লাখ ইউরোপীয় ইহুদি নিহত হয়েছিল।
ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগ বুন্দেস্তাগে আইনপ্রণেতাদের বলেন, “মানব ইতিহাসে ইহুদি জনগণকে ধ্বংস করার জন্য নাৎসি এবং তাদের সহযোগীরা যেমন অভিযান চালিয়েছে তেমন আর চালানো হয়নি।”
হারজোগ তার পিতা প্রাক্তন ইসরাইলি প্রেসিডেন্ট চেইম হারজোগ সম্পর্কেও কথা বলেছেন। চেইম হারজোগ ১৯৪৫ সালের এপ্রিলে ব্রিটিশ বাহিনীর একজন অফিসার হিসেবে উত্তর জার্মানির বার্গেন-বেলসেন কনসেনট্রেশন ক্যাম্পের মুক্তিদাতাদের মধ্যে ছিলেন।
হারজোগের বক্তৃতার পর তিনি এবং স্টেইনমায়ার স্ত্রীসহকারে বার্লিনের নিহত ইহুদিদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিসৌধে যান। স্মৃতিসৌধটি শহরের ল্যান্ডমার্ক ব্র্যান্ডেনবার্গ গেটের কাছে ২৭০০ ধূসর কংক্রিট স্ল্যাবের একটি ক্ষেত্র। সেখানে তারা হলোকাস্টের শিকারদের স্মরণে দুটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এই সপ্তাহের শুরুতে ইসরাইলি প্রেসিডেন্ট জার্মানিতে একটি রাষ্ট্রীয় সফরে যান। এ সফরে সোমবারের মিউনিখ সফরও অন্তর্ভুক্ত ছিল। সেখানে তিনি ১৯৭২ সালের অলিম্পিক গেমসে ফিলিস্তিনি জঙ্গিদের দ্বারা ১১ জন ইসরাইলি ক্রীড়াবিদের নিহত হওয়ার ঘটনার ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন।
ভবিষ্যতে হারজোগ দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং ইহুদি-বিরোধিতার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য যৌথ প্রতিশ্রুতির প্রশংসা করেন। তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।