দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা শুক্রবার হোয়াইট হাউজে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে সাক্ষাত করবেন। আলোচ্যসূচীতে রয়েছে বাণিজ্য, জ্বালানী শক্তি এবং নিরাপত্তার বিষয়। বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্ধারিত আনুষ্ঠানিক এই কর্মসূচীতে যা নেই --- দুইটি গণতান্ত্রিক দেশের ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিষয়ে যে পার্থক্য রয়েছে সেটি। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন তারা সেসব নিয়েও সম্ভবত আলোচনা করবেন।
হোয়াইট হাউজে প্রেসিডেন্ট রামাফোসার এটাই প্রথম সফর। বাইডেন প্রশাসন আফ্রিকার সঙ্গে পুনরায় যুক্ত হতে চায় আর তারই পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনের সাম্প্রতিক মহাদেশ সফরের মধ্যে দিয়ে তিনি ওয়াশিংটনের নতুন আফ্রিকা কৌশল চালু করেন।
গত আগস্টে সফরকালে ব্লিংকেন জোর দিয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আফ্রিকাকে সমান অংশীদার হিসেবে দেখে।
যদিও, প্রিটোরিয়াতে তাদের বৈঠকে দক্ষিণ আফ্রিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী নালেদি পান্ডোর অভিযোগ করেছেন যে পশ্চিমা দেশগুলি ইউক্রেন আক্রমণের নিন্দা করার জন্যই অন্য দেশগুলির সমর্থন পাওয়ার জন্য আফ্রিকার উপরে “চাপ ” দিচ্ছে ।
দক্ষিণ আফ্রিকার উইটওয়াটারস্রান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আফ্রিকান সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অব দ্য ইউনাইটেড স্টেটস-এর পরিচালক বব ওয়েকেসা বলেন, দুটি দেশের মধ্যে যে পার্থক্য স্পষ্টত বিদ্যমান তা দুই শীর্ষ কূটনীতিকের আলোচনায় দেখা গেছে ।তিনি বলেন, “ঐ বৈঠকে এটা খুবই স্পষ্ট ছিল যে, দক্ষিণ আফ্রিকা ও যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন বিষয়ে তাদের ভিন্ন পথ ও গতিপথ অনুসরণ করে।
ওয়েকেসা বলেন, বাইডেন ও রামাফোসা শুক্রবার যখন বৈঠকে বসবেন তখন ইউক্রেন আবারও আলোচনায় আসবে এবং ভবিষ্যৎবাণী করেছেন যে দুই নেতার মধ্যে এই বিষয়টি নিয়ে একটি "জটিল" আলোচনা হবে।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন ডিসেম্বর মাসে ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্র-আফ্রিকান নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করতে যাচ্ছেন তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।