যুক্তরাষ্ট্র ইরানের বিষয়ে সতর্ক করে, তেহরানের সরকারকে অভিযুক্ত করছে যে, তার ক্রমবর্ধমান প্রক্সি এবং হ্যাকারদের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে আমেরিকা এবং আমেরিকান উভয়কেই লক্ষ্যবস্তু করতে, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেও "ক্রমবর্ধমান নির্লজ্জ" হামলা চালাতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সম্প্রদায় এবং আমেরিকার সামরিক বাহিনীর পূর্ববর্তী মূল্যায়ন বার বার ইরানকে সন্ত্রাসবাদের প্রতি সমর্থনের জন্য এবং মধ্যপ্রাচ্য এবং এর বাইরেও ক্ষতিকর কার্যকলাপ পরিচালনার জন্য দায়ী করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ থেকে এই সর্বসাম্প্রতিক সতর্কবার্তাও ইঙ্গিত দেয় যে এই হুমকিটি এমনকী গত কয়েক মাসে বেশ পরিবর্তিতও হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল লিসা মোনাকো, বুধবার নিউইয়র্কে একটি শীর্ষ সম্মেলনে ভার্চুয়ালি বলেন, "এটি এমন একটি হুমকি যা ক্রমেই বিবর্তিত হয়েছে এবং এর কলেবর বৃদ্ধি পেয়েছে," এটিকে তিনি "ক্রমবর্ধমান পরিশীলিত বহুমাত্রিক" এবং "ক্রমবর্ধমান নির্লজ্জ" হুমকি হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
সুনির্দিষ্টভাবে, মোনাকো গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের লোকজনের বিরুদ্ধে আক্রমণের দুটি প্লটের কথা উল্লেখ করেন — যার একটির লক্ষ্য ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন এবং অন্যটি ভিওএ ফার্সি টিভির উপস্থাপক মাসিহ আলিনেজাদ।
আলিনেজাদ ২০২১ সালের জুলাই মাসে একটি অপহরণের ষড়যন্ত্রের লক্ষ্যবস্তুও ছিলেন, যার ফলে যুক্তরাষ্ট্রে চারজন ইরানি গোয়েন্দা অপারেটিভ দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল।
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর তিনি ইরান সম্পর্কে এই মন্তব্য করেন।
রাইসি ইরানকে লক্ষ্য করে করা সমালোচনা প্রত্যাখ্যান করেছেন, বিশেষত মানবাধিকার বিষয়ক।
তিনি বলেন, "মানবাধিকার সবার জন্য, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত অনেক সরকার তা পদদলিত করেছে।"
২০২০ সালের জানুয়ারিতে ইরানের অভিজাত কুদস ফোর্সের কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যাকারী আমেরিকান বিমান হামলার আদেশ দেওয়ার জন্য সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বিচারেরও আহ্বান জানান রাইসি।
যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলি এই মাসেও আলবে নিয়ার সরকারী নেটওয়ার্ক এবং সমালোচনামূলক অবকাঠামোকে লক্ষ্য করে একটি বিশাল সাইবার আক্রমণের জন্য ইরানকে অভিযুক্ত করেছে।
আমেরিকার গোয়েন্দা কর্মকর্তারাও উপসংহারে পৌঁছেছেন যে, ইরান ২০২০ সালের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করার জন্য সাইবার অস্ত্র ব্যবহার করেছে। তারা ইঙ্গিত দিয়েছে, তারা আশঙ্কা করছে তেহরান দেশের আসন্ন মধ্যবর্তী নির্বাচনেও হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করবে। তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।