কানাডা ও সৌদি আরব পূর্ণ কুটনৈতিক সম্পর্ক পুনর্বহাল করতে এবং নতুন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করতে সম্মত হয়েছে। প্রায় পাঁচ বছর ধরে সৌদি আরবে নারীদের অধিকার নিয়ে বিবাদের কারণে এ দুটি দেশের মধ্যকার কুটনৈতিক ও বানিজ্যিক সম্পর্ক বিনষ্ট হয়।
২০১৮ সালে সৌদি আরব সে দেশে কানাডার রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করে এবং কানাডার পররাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে তাদের নিজেদের রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করে নেয়। গ্লোবাল অ্যাফয়ার্স কানাডা গ্রেপ্তারকৃত নারী অধিকার কর্মীদের সমর্থনে টুইট করে। সৌদিরা কানাডার বিনিয়োগ বিক্রি করে দেয় এবং কানাডায় অধ্যয়নরত তাদের নাগরিকদের চলে আসতে বলে। তবে সক্রিয়বাদীদের তার পর মুক্তি দেয়া হয়।
এই দুটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রক বিবৃতি প্রকাশ করে যাতে বলা হয়েছে বুধবারের এই সিদ্ধান্তটি, গত নভেম্বর মাসে এশিয়া প্যাসিফিক ইকনমিক ফোরামের পার্শ্ব –বৈঠকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এবং সৌদি রাজকুমার প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের আলোচনার ফল।
কানাডার মন্ত্রক বলেছে , “পারস্পরিক মর্যাদা ও অভিন্ন স্বার্থের ভিত্তিতে উভয় পক্ষ থেকে কুটনৈতিক সম্পর্ক আবার স্থাপনের ইচ্ছা প্রকাশ করা হয়”।
কানাডা সে দেশে নতুন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করেছে।
এ দিকে সৌদিরাও সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কুটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করছে। তারা ইরানের সঙ্গে কুটনৈতিক সম্পর্ক পুণঃস্থাপন করেছে , ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে কয়েক বছরের যুদ্ধ অবসানের দিকে এগিয়ে গেছে এবং ২২ সদস্য বিশিষ্ট আরব লীগে সিরিয়ার প্রত্যাবর্তনকে সমর্থন করেছে। তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।