যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোতে, স্থানীয় সময় ১৬ নভেম্বর বিকেলে, চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ব্রুনাইয়ের সুলতান হাসানাল বলখিয়াল সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন।
বৈঠকে প্রেসিডেন্ট সি বলেন, চীন ও ব্রুনেই একে অপরকে বিশ্বাস করে, সমর্থন করে। কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকে বিগত ৩০ বছরে, দুই দেশ ক্রমাগত পারস্পরিক রাজনৈতিক বিশ্বাস গভীরতর করেছে, সক্রিয়ভাবে নিজেদের উন্নয়ন-কৌশলকে সংযুক্ত করেছে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহারিক সহযোগিতায় সাফল্য অর্জন করেছে, এবং আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বিষয়ে ভালো সহযোগিতার সম্পর্ক বজায় রেখেছে।
সি বলেন, বড় ও ছোট দেশের মধ্যে সমান আচরণ, পারস্পরিক সুবিধা বিনিময়, ও জয়-জয় সহযোগিতার উত্তম দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে চীন ও ব্রুনেই। এ সম্পর্ক আঞ্চলিক শান্তি, স্থিতিশীলতা, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিতে ইতিবাচক অবদান রেখেছে। চীন ব্রুনেইয়ের "বেল্ট অ্যান্ড রোড" উদ্যোগের আওতায় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ক্রমাগত আরও উন্নত করতে আগ্রহী।
সি জোর দিয়ে বলেন, চীন তার নিজস্ব জাতীয় অবস্থার সাথে মানানসই একটি উন্নয়নের পথ অনুসরণ করতে ব্রুনেইকে সমর্থন করে, চীনে উচ্চ-মানের পণ্য রপ্তানি বাড়াতে ব্রুনেইকে উত্সাহিত করে, চীনা কোম্পানিগুলোকে ব্রুনেইয়ে বিনিয়োগ ও ব্যবসা শুরু করতে উত্সাহিত করে।
সি চিন পিং বলেন, দু’দেশের উচিত দক্ষিণ চীন সাগরে শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষা করতে একসঙ্গে কাজ করা। চীন পূর্ব এশিয়া সহযোগিতার ওপর অত্যন্ত গুরুত্ব দেয় এবং আঞ্চলিক অর্থনীতির একীকরণের জন্য ব্রুনেই ও অন্যান্য আসিয়ান দেশগুলোর সাথে কাজ করতে ইচ্ছুক।
জবাবে সুলতান হাসানাল বলখিয়া বলেন, ব্রুনেই ও চীনের বন্ধুত্বপূর্ণ আদান-প্রদানের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিময় ও সহযোগিতা মসৃণভাবে এগিয়ে চলেছে।
তিনি বলেন, ব্রুনেই সবসময় ‘এক-চীননীতি’ অনুসরণ করে আসছে। ব্রুনেই চীনের সাথে সম্পর্কের উন্নয়নের ওপর অত্যন্ত গুরুত্ব দেয় এবং অর্থনীতি, বাণিজ্য, কৃষি, মত্স্য, সবুজ শক্তি এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করতে ইচ্ছুক।
সুলতান বলেন, তার দেশ আসিয়ান ফ্রেমওয়ার্কের মধ্যে চীনের সাথে সহযোগিতা জোরদার করতে ইচ্ছুক এবং দক্ষিণ চীন সাগরকে শান্তি ও বন্ধুত্বের সাগরে পরিণত করতে চীনের সাথে কাজ করে যেতে ইচ্ছুক।