News update
  • Intimidation or bloodshed cannot halt Bangladesh’s march to democracy     |     
  • Khaleda Zia integral to an important chapter in BD history: Yunus     |     
  • Enthusiasm marks Victory Day celebrations across Bangladesh     |     
  • Dhaka-Delhi ties deep; to be shaped by trust, dignity, mutual respect     |     
  • EU deploys election observation mission to Bangladesh     |     

ফিলিস্তিন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে একজোট আরব লীগ!

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক কুটনীতি 2025-03-06, 12:24am

retwtwr-a5be32f14a72f422c84383c932cf09e61741199085.jpg




ফিলিস্তিনিদের জন্মভূমিকে ‘মধ্যপ্রাচ্যের পর্যটনকেন্দ্র’ বানানোর মার্কিন পরিকল্পনাকে চ্যালেঞ্জ করতে এবার একজোট হলো আরব লীগ। অবরুদ্ধ উপত্যকাটি পুনর্গঠনে অঙ্গীকারও করেন জোটটির নেতারা।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৪ মার্চ) মিশরের রাজধানী কায়রোতে আয়োজিত হয় আরব সম্মেলন। এসময় অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা পুনর্গঠনে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করে মিশর। প্রস্তাব অনুযায়ী, গাজা পুনর্গঠনে ৫ হাজার ৩০০ কোটি ডলার খরচ করা হবে। প্রথম ধাপে ব্যয় হবে ২ হাজার কোটি ডলার। দুই বছর মেয়াদি এই ধাপের ৬ মাসের মধ্যে পরিস্কার করা হবে ধ্বংসস্তূপ ও অস্থায়ী বাড়ি। 

এই প্রস্তাবে সমর্থন দিয়েছে আরব লীগের সদস্য দেশগুলো। এর আগে গত মাসে, যুদ্ধ শেষ হলে গাজার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সেখানে বিলাসবহুল শহর তৈরির পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

সম্মেলনে জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আব্দুল্লাহ বলেন, পশ্চিম তীরে ভয়াবহ অভিযান বন্ধ করা অত্যন্ত জরুরি। পবিত্র রমজান মাসেও ইসরাইলি বাহিনী সেখানে নৃশংসতা চালাচ্ছে। দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানই একমাত্র স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার নিশ্চয়তা দেয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি। 

জরুরি ওই সম্মেলনে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুরতেরেসও কোনো ধরনের বিলম্ব ছাড়াই যুদ্ধবিরতি নিশ্চিতের ওপর জোর দেন। অবরুদ্ধ উপত্যকাটি পুনর্গঠনের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আর্থিক, রাজনৈতিকসহ সব ধরনের সহযোগিতার জন্য আন্তর্জাতিক অংশীদারদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

গুতেরেস বলেন, আমরা গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশে ইসরাইলের বাধা দেয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করছি। এটি আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। ফিলিস্তিনিদের সহায়তা দেয়ার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাবে জর্ডান।

মিশরের প্রস্তাব অনুযায়ী, গাজার নিয়ন্ত্রণ আর হামাসের হাতে থাকবে না। সেখানে অনির্দিষ্টকালের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হবে। এই সরকার মানবিক সহায়তা প্রদান ও পুনর্গঠনের দায়িত্ব পালন করবে। পরিকল্পনাটিকে স্বাগত জানিয়েছে হামাসও।  

এদিকে, আরব সম্মেলনে গাজা পুনর্গঠনের বিষয়টি উঠে এলেও ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পরিপ্রেক্ষিত তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছে বলে বিবৃতি দিয়েছে ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এবং শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা একে অপরের ওপর ভর করে চলছে। তারা বরাবর দুর্নীতি, সন্ত্রাসবাদের প্রতি সমর্থন এবং সমস্যা সমাধানে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।