ইরানের ওপর ইসরায়েলের সামরিক হামলার পর আন্তর্জাতিক মহল থেকে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। যেখানে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানানো হয়েছে। এই ঘটনা মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি করেছে। খবর আল জাজিরার।
জাতিসংঘের আহ্বান ‘সর্বোচ্চ সংযম’
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি হামলায় ‘গভীর সংঘাতের দিকে ঝুঁকে পড়া’ এড়াতে ‘সর্বোচ্চ সংযম’ প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন।
আন্তোনিও গুতেরেস উপ-মুখপাত্র ফারহান হক বলেছেন, মহাসচিব মধ্যপ্রাচ্যে যেকোনো সামরিক উত্তেজনার নিন্দা করেন। হক আরও যোগ করেন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির অবস্থা নিয়ে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আলোচনা চলাকালীন ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে ইসরায়েলি হামলায় তিনি বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন।
ওমানের তীব্র নিন্দা ও ইসরায়েলকে দায়ী
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-ইরানের মধ্যে পারমাণবিক আলোচনার মধ্যস্থতাকারী দেশ ওমান ইসরায়েলের এই পদক্ষেপকে ‘একটি বিপজ্জনক, বেপরোয়া উত্তেজনা বৃদ্ধি, যা জাতিসংঘের সনদের স্পষ্ট লঙ্ঘন’ বলে অভিহিত করেছে। ওমান বলেছে, ‘এ ধরনের আক্রমণাত্মক, অবিচল আচরণ অগ্রহণযোগ্য, যা আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তাকে আরও অস্থিতিশীল করে তোলে। ওমানের সুলতানি এই উত্তেজনা ও এর পরিণতির জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে। এই বিপজ্জনক পদক্ষেপ বন্ধ করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দৃঢ় এবং দ্ব্যর্থহীন অবস্থান গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।
সৌদি আরবের নিন্দা
এদিকে সৌদি আরবও ইসরায়েলের হামলার ‘তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ’ জানিয়েছে। তারা একে ‘আন্তর্জাতিক আইন ও রীতিনীতির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন’ বলে অ্যাখ্যা দিয়েছে।
নিউ জিল্যান্ডের উদ্বেগ প্রকাশ
নিউ জিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টোফার লাক্সন গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যে যা ঘটছে তা সত্যিই অনভিপ্রেত। যে কোনো ভুল হিসাবনিকাশের ঝুঁকি অনেক বেশি। ওই অঞ্চলে আর কোনো সামরিক পদক্ষেপ এবং এর সঙ্গে থাকা ঝুঁকি বাড়ানোর প্রয়োজন নেই।’
এছাড়া হামলার ঘটনায় জাপানও এই ঘটনায় সতর্ক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।