
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে অংশ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে সিরিয়া। দেশটির প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা জানান, এর মধ্যেই তার দেশ থেকে ইরানের রেভ্যুলেশনারি গার্ড সরিয়ে নেয়া হয়েছে এবং হিজবুল্লাহর নেটওয়ার্ক ভেঙে ফেলা হয়েছে। একইসঙ্গে, ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্কের অগ্রগতির ইঙ্গিতও দিয়েছেন তিনি।
প্রায় আট দশক পর ওয়াশিংটন সফরে গেলেন সিরীয় কোনো প্রেসিডেন্ট। শারার এই পুরো সফরেই ছিল চমকপ্রদ সব বার্তা। ওয়াশিংটনে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ঐতিহাসিক সাক্ষাৎ শেষে তিনি জানান, সিরিয়া এখন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে অংশ নিতে প্রস্তুত।
সিরিয়া-বিষয়ক মার্কিন বিশেষ দূত টম ব্যারাক জানিয়েছেন, দামেস্ক এখন আইএস, ইরান, হামাস ও হিজবুল্লাহর অবশিষ্ট নেটওয়ার্ক ধ্বংসে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগী হিসেবে কাজ করবে। এটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতিতে সবচেয়ে বড় নীতিগত পরিবর্তন।
এছাড়া ওয়াশিংটন পোস্টকে দেয়া সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা বলেন, সিরিয়া ও ইসরাইলের মধ্যে সরাসরি আলোচনা চলছে এবং চুক্তির পথে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।
তবে তিনি জানান, চূড়ান্ত চুক্তির জন্য ইসরাইলকে দখলকৃত এলাকা ছাড়তেই হবে। তিনি আরও জানান, এই অবস্থানে যুক্তরাষ্ট্র ও কয়েকটি আন্তর্জাতিক শক্তি দামেস্ককে সমর্থন দিচ্ছে।
একইসঙ্গে রাশিয়ার সঙ্গেও সম্পর্ক পুনর্গঠনের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন আহমেদ আল-শারা। জানিয়েছেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়ার ভোট সমর্থন চায় সিরিয়া; তবে মস্কোতে অবস্থানরত সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে বিচারের মুখে আনতে তারা অঙ্গীকারবদ্ধ।