News update
  • Dhaka concerned at dwindling funds for Rohingyas     |     
  • Rohingya crisis in uncertainty; WASH sector faces challenges     |     
  • HRW delegation meets Commission of Inquiry on Disappearances     |     
  • US Chargé d'Affaires Ann Jacobson to Meet Political Parties in BD      |     
  • With trees in flowering farmers hopeful of bumper mango crop     |     

মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্রে রাশিয়ার ভেতরে হামলা চালাতে ইউক্রেনকে অনুমতি বাইডেনের

বিবিসি কৌশলগত 2024-11-18, 5:33pm

rtrtwrwe-3270b03d12562c100ea163f6306a34521731929602.jpg




যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রাশিয়ার ভূখণ্ডে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জন্য ইউক্রেনকে সবুজ সংকেত দিয়েছে। এসব ক্ষেপণাস্ত্র যুক্তরাষ্ট্রই ইউক্রেনকে সরবরাহ করেছিলো।

বিবিসির যুক্তরাষ্ট্রের পার্টনার সিবিএসকে মার্কিন একজন কর্মকর্তা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। একে যুক্তরাষ্ট্রের নীতির বড় ধরনের পরিবর্তন হিসেবে দেখা হচ্ছে।

কয়েকমাস ধরে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র (এটিএসিএমএস নামে পরিচিত) ব্যবহারের ওপর বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ করে আসছিলো, যাতে করে কিয়েভ নিজ দেশের সীমানার বাইরে এ ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালাতে পারে।

রবিবার এই খবরের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেছেন ‘এসব বিষয় ঘোষণা করা হয়নি, ক্ষেপণাস্ত্রই তাদের জন্য কথা বলবে’।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আর দু'মাসের মতো ক্ষমতায় আছেন। আগামী বিশে জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিবেন সদ্য নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্প।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এ ধরনের পদক্ষেপের বিষয়ে পশ্চিমা দেশগুলোতে সতর্ক করে দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন এটি হবে ইউক্রেন যুদ্ধে ন্যাটো সামরিক জোটের ‘সরাসরি অংশগ্রহণ’।

তিনি অবশ্য রবিবার সংবাদ মাধ্যমে এ নিয়ে আসা খবরের কোন প্রতিক্রিয়া দেননি। তবে ক্রেমলিনের সিনিয়র রাজনীতিকরা একে মারাত্মক উস্কানি হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

কিয়েভ গত অগাস্টে রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে বিস্ময়কর আক্রমণ চালায়। সেখানে ইউক্রেনের বাহিনী অবস্থান করছে।

এখন ওয়াশিংটনের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বাইডেন প্রশাসন রাশিয়ার ভূখণ্ডের ওই ছোট জায়গাটুকু ধরে রাখার জন্য ইউক্রেনকে সমর্থন জানালো। ভবিষ্যতে সম্ভাব্য যে কোন আলোচনায় এটি দরকষাকষির শক্তিশালী হাতিয়ার হতে পারে।

কিয়েভ ভিত্তিক ইউক্রেনিয়ান সিকিউরিটি অ্যান্ড কো-অপারেশন সেন্টারের চেয়ারম্যান সেরহি কুজান বিবিসিকে বলেছেন যে জো বাইডেনের সিদ্ধান্ত ইউক্রেনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

“এটা যুদ্ধের গতিপ্রকৃতি পরিবর্তন করবে না, কিন্তু আমি মনে করি এটা আমাদের বাহিনীকে প্রতিপক্ষের আরও সমান করে তুলবে”।

এটিএসিএমএস তিনশো কিলোমিটার দূর পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা নিউইয়র্ক টাইমস ও ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেছেন, ইউক্রেনে উত্তর কোরিয়ার সেনাদের যুদ্ধে অংশ নেয়ার রাশিয়ার সিদ্ধান্তের জবাবে ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের জন্য ইউক্রেনকে বাইডেনের অনুমোদন দেয়ার সিদ্ধান্ত এসেছে।

মি. কুজান বলছেন, রাশিয়া ও কোরিয়ার সেনারা কুরস্ক অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনাদের হটাতে যে অভিযানের পরিকল্পনা করেছে তার আগেই রোববার যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত আসলো। অভিযানটি কয়েকদিনের মধ্যে হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

ইউক্রেন এর আগে বলেছিলো যে ১১ হাজার উত্তর কোরীয় সৈন্য কুরস্ক অঞ্চলে থাকতে পারে।

তবে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সিদ্ধান্তের কারণে ব্রিটেন ও ফ্রান্সও রাশিয়ার অভ্যন্তরে দূরপাল্লার হামলা চালাতে ইউক্রেনকে অনুমতি দিতে পারবে। দেশ দুটির কেউই অবশ্য এখনো কোন মন্তব্য করেনি।

গত মাসে জেলেনস্কি নিশ্চিত করেছিলেন যে ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলে হামলা চালিয়েছে।

কয়েকমাস ধরে ইউক্রেন দোনেৎস্ক অঞ্চলে রাশিয়ান বাহিনীর অগ্রগতি ঠেকাতে লড়াই করছে। রাশিয়ান বাহিনী পকরভস্ক শহরের দিকে এগুচ্ছে। এই শহরটি ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর রসদ যোগানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ হাব।

মস্কো ইউক্রেনে ড্রোন হামলা অনেক বাড়িয়েছে। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানিয়েছে অক্টোবরে এ ধরনের দু'হাজারের বেশি হামলা হয়েছে, যা যুদ্ধ শুরুর পর একটি রেকর্ড।

শনিবার রাতে গত কয়েকমাসের মধ্যে সবচেয়ে বড় হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এতে দশ জন নিহত হয়েছে। মি. জেলেনস্কি জানিয়েছেন প্রায় ১২০টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ৯০টি টি ড্রোন হামলা হয়েছে।

রবিবার রাতেও হামলা অব্যাহত ছিলো রাশিয়ার সীমান্ত সংলগ্ন সুমি অঞ্চলে। সেখানে একটি আবাসিক ভবনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় দুই শিশুসহ অন্তত আটজন নিহত হয়েছে।

রাশিয়ান কর্মকর্তারা তাদের সীমান্তে ইউক্রেনের ড্রোন হামলার জানিয়েছে বলেছে তারা ২৬টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে।

যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ। একটি জার্মান গবেষণা সংস্থার মতে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে চলতি বছর জুলাই পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৫৫ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা বন্ধ বা কমে যেতে পারে। মি. ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণের পর যুদ্ধ বন্ধের ইঙ্গিত দিয়েছেন। তবে কীভাবে সেটি হবে তা বিস্তারিত বলেননি।