News update
  • Inflation Dips to 8.29% in August, Lowest in 3 Years     |     
  • Eminent writer Badruddin Umar passes away     |     
  • Dhaka’s air recorded ’moderate’ Sunday morning     |     
  • Clashes in Hathazari over FB post; Section 144 imposed     |     
  • Total Lunar Eclipse to Be Visible Sunday Night     |     

পাঁচ দফা দাবিতে ফের আন্দোলনে মেডিকেল শিক্ষার্থীরা

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ক্যাম্পাস 2025-03-12, 12:14pm

4543524324dadas-a69ebc100d2e021b07dcecee705926181741760040.jpg




ফের সারা দেশে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী, ইন্টার্ন, মেডিকেল অফিসার ও পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রশিক্ষণার্থীরা।

বুধবার (১২ মার্চ) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপতালে গিয়ে দেখা যায়, তাদের এ কর্মসূচির কারণে বহির্বিভাগে চিকিৎসা সেবা বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েন রোগীরা।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাতালের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ফলে বেশ কয়েক ঘণ্টা বহির্বিভাগে চিকিৎসা সেবা বন্ধ রাখায়, চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরাও পাল্টা আন্দোলন শুরু করেন। পরে তারা হাসপাতালে পরিচালকের কাছে যান। সেবা বন্ধ থাকায় পরিচালকের রুমের সামনে সাধারণ রোগীরা বাগবিতণ্ডা শুরু করেন। 

এরপর হাসপাতালের পরিচালকের অনুরোধে আন্দোলনরত মেডিকেল চিকিৎসকরা চিকিৎসা সেবা দেয়া শুরু করেন ।  

এদিকে দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের মতো আজও ‘সাধারণ মেডিকেল শিক্ষার্থী’র ব্যানারে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে বিক্ষোভ করার কথা রয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের।

এছাড়াও রাজশাহী মেডিকেলও তাদের এ কর্মসূচি পালন করছেন। সেখানে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সেবা প্রত্যাশীরা।

শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবি হলো—

১. এমবিবিএস/বিডিএস ব্যতীত কেউ চিকিৎসক লিখতে পারবেন না। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) বিরুদ্ধে করা রিট ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে। বিএমডিসি নিবন্ধন শুধু এমবিবিএস/বিডিএস ডিগ্রিধারীদের দিতে হবে। ২০১০ সাল থেকে হাসিনা সরকার ম্যাটসদের (মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল) বিএমডিসি থেকে নিবন্ধন দেয়া শুরু করেছে। এ ম্যাটসদের বিএমডিসি থেকে নিবন্ধন দেয়া অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।

২. উন্নত বিশ্বের চিকিৎসা ব্যবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ওভার দ্যা কাউন্টার বা ওটিসি ড্রাগ লিস্ট আপডেট করতে হবে। এমবিবিএস বা বিডিএস ছাড়া অন্য কেউ ওটিসি লিস্টের বাইরের ওষুধ প্রেসক্রাইব করতে পারবে না। রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ফার্মেসিগুলো ওটিসি লিস্টের বাইরের কোনো ওষুধ বিক্রি করতে পারবে না।

৩. স্বাস্থ্য খাতে চিকিৎসকের সংকট নিরসনে দ্রুত ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে সব শূন্যপদ পূরণ করতে হবে। আলাদা স্বাস্থ্য কমিশন গঠন করে আগের মতো সপ্তম গ্রেডে নিয়োগ দিতে হবে। প্রতিবছর চার থেকে পাঁচ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে স্বাস্থ্য খাতের ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। চিকিৎসকদের বিসিএসে বয়সসীমা ৩৪ বছর করতে হবে।

৪. সব মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট স্কুল (ম্যাটস) ও মানহীন সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো বন্ধ করতে হবে। এরইমধ্যে পাস করা ম্যাটস শিক্ষার্থীদের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (স্যাকমো) পদবি রহিত করে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে।

৫. চিকিৎসকদের কর্মস্থলের নিরাপত্তায় চিকিৎসক সুরক্ষা আইন প্রণয়ন ও দ্রুত বাস্তবায়ন করা। এ ক্ষেত্রে দ্রষ্টব্য যে ৩ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইমারজেন্সি বিভাগে অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষাপটে ডাক্তার সমাজের প্রতিবাদের মুখে ৭ দিনের মধ্যে স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। যা আজ ৭ মাস পেরিয়েও কোনো আলোর মুখ দেখেনি। চিকিৎসক সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন করতে হবে।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ)  থেকে তারা এ আন্দোলন শুরু করেন। তাদের দাবি না মানা হলে সব শিক্ষক ও চিকিৎসককে নিয়ে বড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।