News update
  • $10mn Approved for Climate Resilience in CHT: ICIMOD     |     
  • At least 143 dead in DR Congo river boat fire tragedy     |     
  • Dhaka has worst air pollution in the world Saturday morning     |     
  • Container ships to ply between Mongla and Chattogram ports     |     
  • France to Break Away from UK & US in Recognising Palestine as Nation State     |     

আন্দোলনের মধ্যে ঢাকা পলিটেকনিকের অধ্যক্ষকে বদলি

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ক্যাম্পাস 2025-04-17, 7:03am

img_20250417_070020-0011cf85a05d7f819c10747ff254b27d1744851795.jpg




ছয় দফা দাবিতে সারাদেশে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান খানকে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে এবং ইনস্টিটিউটের উপাধ্যক্ষ সাহেলা পারভীনকে অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগ থেকে এক প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ প্রদান করা হয়েছে। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ তাৎক্ষণিক কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে সই করেছেন উপসচিব মোহাম্মদ মিজানুর রহমান তালুকদার।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম বলেন, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়ে আমরা অবগত রয়েছি। ছাত্রদের যৌক্তিক ও ন্যায়সঙ্গত দাবিগুলো পূরণের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে দায়িত্বে রদবদল আনা হয়েছে। অচিরেই তাদের অন্যান্য দাবির বিষয়গুলোও দৃশ্যমান হবে। ছাত্রদের দাবির বিষয়গুলো সরকার সব সময়ই ন্যায্যতা ও যৌক্তিকতার আলোকে বিবেচনা করে। আমরা আশা করি ছাত্ররা কর্মসূচি স্থগিত করে ক্লাসে ফিরবে। 

দিনভর ছয় দফা দাবিতে সারা দেশে আন্দোলন করছেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। বুধবার তারা তেজগাঁওয়ে সাত রাস্তা অবরোধ করেন। ঢাকার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে সারাদেশে জেলায় জেলায় সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। পরে সন্ধ্যায় ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান খানের সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষার্থীরা। পরে তারা অধ্যক্ষের অপসারণ দাবি করেন।

এদিকে, বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সরকারি-বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা রেলপথ অবরোধ করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। একই সঙ্গে তারা অসহযোগ আন্দোলনেরও ডাক দিয়েছেন।

শিক্ষার্থীদের দাবির মধ্যে প্রথমে রয়েছে– জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের অবৈধ পদোন্নতির রায় হাইকোর্ট কর্তৃক বাতিল করতে হবে। পাশাপাশি, ক্রাফট ইন্সট্রাক্টর পদবি পরিবর্তন এবং মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করতে হবে। ২০২১ সালে রাতের আঁধারে নিয়োগপ্রাপ্ত ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের নিয়োগ সম্পূর্ণভাবে বাতিল এবং সেই বিতর্কিত নিয়োগবিধি অবিলম্বে সংশোধন করতে হবে।

শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় দাবি হলো- ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে যে কোনো বয়সে ভর্তির সুযোগ বাতিলসহ উন্নত বিশ্বের আদলে চার বছর মেয়াদী মানসম্পন্ন কারিকুলাম নিশ্চিত করে একাডেমিক কার্যক্রম পরবর্তী প্রবিধান থেকে পর্যায়ক্রমিকভাবে সম্পূর্ণ ইংরেজি মাধ্যমে চালু করতে হবে।

তৃতীয় দাবি হলো- উপসহকারী প্রকৌশলী ও সমমানের (দশম গ্রেড) পদ চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং ও মনোটেকনোলজি (সার্ভেয়িং) থেকে পাসকৃত শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত থাকা সত্ত্বেও যেসব সরকারি, রাষ্ট্রায়ত্ত, স্বায়ত্তশাসিত ও স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের নিম্নস্থ পদে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

চতুর্থ দাবি হলো- কারিগরি সেক্টর পরিচালনায় পরিচালক, সহকারী পরিচালক, বোর্ড চেয়ারম্যান, উপসচিব, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, অধ্যক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সব পদে কারিগরি শিক্ষাবহির্ভূত জনবল নিয়োগ নিষিদ্ধ করতে হবে এবং তা আইনানুগভাবে নিশ্চিত করতে হবে। এ পদগুলোতে অনতিবিলম্বে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল নিয়োগ এবং সব শূন্য পদে দক্ষ শিক্ষক ও ল্যাব সহকারী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে।

পঞ্চম দাবি হলো- কারিগরি শিক্ষায় বৈষম্য ও দুরবস্থা দূর করার পাশাপাশি দক্ষ জনসম্পদ তৈরিতে কারিগরি ও উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নামে স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করে দ্রুত সময়ের মধ্যে কারিগরি শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন করতে হবে।

ষষ্ঠ দাবি হলো- পলিটেকনিক ও মনোটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে পাসকৃত শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগের লক্ষ্যে একটি উন্নতমানের টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে। পাশাপাশি, নির্মাণাধীন চারটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে (নড়াইল, নওগাঁ, খাগড়াছড়ি ও ঠাকুরগাঁও) পলিটেকনিক ও মনোটেকনিক থেকে পাসকৃত শিক্ষার্থীদের জন্য অস্থায়ী ক্যাম্পাস ও ডুয়েটের আওতাভুক্ত একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে আগামী সেশন থেকে শতভাগ সিটে ভর্তির সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। আরটিভি