News update
  • CA Yunus pays homage to Liberation War martyrs on Victory Day     |     
  • Bangladesh capital market extends losing streak for second day     |     
  • Bangladesh celebrates Victory Day Tuesday     |     
  • 'Different govts presented history based on their own ideologies': JU VC     |     

দুবাইকে হোম ভেন্যু বানিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন ভারত

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ক্রিকেট 2025-03-09, 11:39pm

img_20250309_233639-ad2080075bd55c9cac56e40ee84378b61741541943.jpg




চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে পাকিস্তানে যেতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল ভারত। তাই বাধ্য হয়ে হাইব্রিড মডেলে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজন করতে হয়েছে পিসিবিকে। যেখানে ভারতের জন্য ভেন্যু নির্ধারণ করা হয় দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম। আর এই ভেন্যুকেই ঘরের মাঠ বানিয়েছে ভারত। টানা পাঁচ ম্যাচ একই মাঠে খেলার সুযোগ পেয়েছে তারা, যে সুবিধা পায়নি আয়োজক পাকিস্তানও।

এবারের আসরে ভারতকে ভ্রমণ ক্লান্তি বোধ করতে হয়নি। এ ছাড়াও ফাইনাল ম্যাচে ব্যবহার হওয়া পিচে আগে খেলার সুযোগও পেয়েছে রোহিতরা। তাই এবারের আসরের আয়োজক পাকিস্তানকে না বলে ভারতকে বললেও ভুল হবে না। 

আর এই সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেনি ম্যান ইন ব্লুরা। দাপট দেখিয়ে টুর্নামেন্টের অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তারা। ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়ে নিজেদের তৃতীয় শিরোপা ঘরে তুলেছে রোহিত-কোহলিরা।

রোববার (৯ মার্চ) আগে ব্যাট করতে নেমে ভারতকে ২৫২ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। জবাব দিতে নেমে ৪ উইকেট এবং ৬ বল হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় ভারত। এতে টানা ৫ ম্যাচ জিতে চ্যাম্পিয়ন হলো আইয়ার-রাহুলরা।

চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকে ব্যাট চালাতে থাকেন রোহিত শর্মা। ৪১ বলে ফিফটি তুলে নেন এই ভারতীয় অধিনায়ক। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি আরেক ওপেনার শুভমান গিল। ৫০ বলে ৩১ রান করে ফেরেন তিনি।

দুই বল পরেই সাজঘরে ফেরেন বিরাট কোহলি। ২ বলে ১ রান করেন এই কিংবদন্তি ব্যাটার। এরপর দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন রোহিত। কিন্তু ৮৩ বলে ৭৬ রান করে স্ট্যাম্পিং হন তিনি। এতে ১২২ রানে ৩ উইকেট হারায় ভারত।

তবে অক্ষর প্যাটেলকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন শ্রেয়াস আইয়ার। দুজনের ব্যাটে ভর করে শিরোপার পথে এগিয়ে যেতে থাকে ভারত। তবে ফিফটি তুলতে পারেননি একবার জীবন পাওয়া আইয়ার। ৬২ বলে ৪৮ রান করে ক্যাচ আউট হন তিনি।

৪০ বলে ২৯ রান করে তাকে সঙ্গ দেন অক্ষর প্যাটেল। এরপর হার্দিককে সঙ্গে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিতে থাকে লোকেশ রাহুল। ১৮ বলে ১৮ রান করে হার্দিক আউট হলে ১২ বলে ভারতের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৭ রান। শেষ পর্যন্ত রাহুলের ৩৩ বলের অপরাজিত ৩৪ রানে ভর করে ৪ উইকেট এবং ৬ বল হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় ভারত।

নিউজিল্যান্ডের হয়ে মিচেল স্যান্টনার ও মাইকেল ব্রাসওয়েল শিকার করেন দুটি করে উইকেট। আর কাইল জেমিসন ও রাচিন রবিন্দ্র নেন একটি করে উইকেট।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু করেছিল নিউজিল্যান্ড। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি দুই ওপেনারের কেউই। ২৩ বলে ১৫ রান করে ফেরেন উইল ইয়ং। ২৯ বলে ৩৭ রান করে তাকে সঙ্গ দেন রাচিন রবিন্দ্রা।

এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি কেন উইলিয়ামসন। ১৪ বলে ১১ রান করে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। এরপর ৩০ বলে ১৪ রান করে টম লাথাম লিগে বিফোরের ফাঁদে পড়লে ১০৮ রানে ৪ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। তবে ফিলিপসকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই করতে থাকেন ড্যারিল মিচেল।

কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি ফিলিপস। ৫২ বলে ৩৪ রান করে বরুণ চক্রবর্তীর বলে বোল্ড আউট হন তিনি। তবে অপর প্রান্ত আগলে রেখে ৯১ বলে ফিফটি তুলে নেন মিচেল। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন ব্রাসওয়েল। দুজনের ব্যাটে ভর করে ৪৫ ওভারে ২০০ রানের কোটা পার করে নিউজিল্যান্ড।

৪৬তম ওভারে শামির বলে ক্যাচ আউট হন ড্যারিল মিচেল। ১০১ বলে ৬১ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেন এই ডান হাতি ব্যাটারে। ১০ বলে ৮ রান করে ফেরেন মিচেল স্যান্টনার। শেষ পর্যন্ত  ব্রাসওয়েলের ৪০ বলের অপরাজিত ৫৩ রানে ভর করে ২৫১ রানের লড়াকু পুঁজি পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড।

আরটিভি