প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশকে ১৯১ রানে অল-আউট করে সিলেট টেস্টের প্রথম দিনটা রাঙিয়ে ছিল সফরকারী জিম্বাবুয়ে। তবে দ্বিতীয় দিনের শুরুতে টাইগাররা আঘাত করলেও সেই ধাক্কা সামলে ওঠে রোডেশিয়ানরা। কিন্তু দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখিয়ে দ্বিতীয় দিনের শেষটা নিজেদের করেছে শান্ত বাহিনী।
মেহেদী হাসান মিরাজের ফাইফারে ভর করে প্রথম ইনিংসে ২৭৩ রানে অলআউট হয়েছে জিম্বাবুয়ে। এতে ৮২ রানের লিড পেয়েছিল রোডেশিয়ানরা। জবাবে দিনের শেষ সময়ে ১৩ ওভার ব্যাট করে ৫৭ রান তুলতে পেরেছে টাইগাররা। এতে জিম্বাবুয়ের থেকে ২৫ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে স্বাগতিকরা।
সোমবার (২১ এপ্রিল) দিনের শেষ সময়ে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় টাইগাররা। মাত্র ৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার সাদমান ইসলাম। ব্যক্তিগত ৬ রানে আউট হতে পারতেন মাহমুদুল হাসান জয়ও। তবে জিম্বাবুয়ের উইকেটরক্ষক বল তুলবদ্ধ করতে ব্যর্থ হন।
জীবন পেয়েই রান তুলতে শুরু করেন জয়, তাকে সঙ্গ দেন অভিজ্ঞ মুমিনুল হক। দুজনের ব্যাটে ভর করে ১০ ওভারেই ফিফটি তুলে নেয় বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ১৩ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৫৭ রান তুলতে পেরেছে তারা। ৪২ বলে ২৮ রান করে জয় ও ২৬ বলে ১৫ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছেন মুমিনুল হক।
এর আগে প্রথম দিনের শেষ সময়ে ব্যাট করতে নেমে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬৭ রানে দিন শেষ করেছিল সফরকারীরা। দ্বিতীয় দিনে ব্যাট করতে নেমে ২ রান তুলতেই ওপেনার বেন কুরানকে সাজঘরের পথ দেখান নাহিদ রানা। ৬৪ বলে ৫৭ রান করেন তিনি।
তিন ওভার পর আরেক ওপেনার ব্রায়ান বেনেটকে ক্যাচ আউটের ফাঁদে ফেলেন তরুণ নাহিদ রানা। ৫৫ বলে ১৮ রান করেন এই ব্যাটার। ১২ বলে ২ রান করে তাকে সঙ্গ দেন নিকোলাস ওয়েলচ।
এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি ক্রেইগ এরভিন। মাত্র ৮ রান করে আউট হন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক। তবে অপর প্রান্ত আগলে রেখে ফিফটি তুলে নেন শন উইলিয়ামস। ৩৩ বলে ২৪ রান করে তাকে সঙ্গ দেন ওয়েসলি মাধভেরে।
ফিফটির পর বেশিক্ষণ পিচে থাকতে পারেননি উইলিয়ামস। ১০৮ বলে ৫৯ রান করে মেহেদী হাসান মিরাজের শিকার হন তিনি। ৫৪ বলে ৩৫ রান করা নিয়াশা মায়াভোকেও সাজঘরের পথ দেখান মিরাজ। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন রিচার্ড এনগারাভা।
কিন্তু অপর প্রান্ত থেকে ওয়েলিংটন মাসাকাদজা (৮), বিলেসিং মুজারাবানি (১৭) ও ভিক্টর নুচি ৭ রান করে আউট হলে ২৭৩ রানে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে। ৪৪ বলে ২৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন এনগারাভা।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট শিকার করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এ ছাড়াও নাহিদ রানা তিনটি, হাসান মাহমুদ ও খালেদ আহমেদ একটি করে উইকেট নেন।আরটিভি