News update
  • Intimidation or bloodshed cannot halt Bangladesh’s march to democracy     |     
  • Khaleda Zia integral to an important chapter in BD history: Yunus     |     
  • Enthusiasm marks Victory Day celebrations across Bangladesh     |     
  • Dhaka-Delhi ties deep; to be shaped by trust, dignity, mutual respect     |     
  • EU deploys election observation mission to Bangladesh     |     

শেষ ম্যাচ হেরে শ্রীলঙ্কার কাছে সিরিজ খোয়ালো বাংলাদেশ

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ক্রিকেট 2025-07-09, 5:39am

484f6cc036a1aa46534bec17f3f24643f67bb966e1edf292-e18c2ee89f7bb3ca6931b3ea37e51bd51752017985.jpg




শ্রীলঙ্কার মাটিতে এর আগে কখনো ওয়ানডে সিরিজ জেতেনি বাংলাদেশ। তবে এবার সেই সুযোগটা পেয়েও ব্যাটিং ব্যর্থতায় তা হারাল টাইগাররা। সিরিজের প্রথম ম্যাচ হারের পর ঘুরে দাঁড়িয়েছিল ঠিকই, তবে শেষ ম্যাচে হেরে সিরিজ খোয়ালো মিরাজের দল। স্বাগতিকদের ছুঁড়ে দেয়া ২৮৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৮৬ রানেই গুটিয়ে যায় সফরকারীরা।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে হেরে দ্বিতীয় ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। তবে মঙ্গলবার (৮ জুলাই) পাল্লেকেলেতে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে টাইগারদের সেই চিরচেনা ব্যাটিং ব্যর্থতা, ধুঁকে ধুঁকে ব্যাটিং করে শেষ পর্যন্ত ৬২ বল বাকি থাকতেই ১৮৬ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ধুঁকতে ধাকা দলকে একাই কিছুটা টেনেছেন তাওহীদ হৃদয়। তবে তার ৭৮ বলে ৫১ রানের ইনিংস হারের ব্যবধানটাই শুধু কমিয়েছে, টাইগারদের হার ৯৯ রানে।  

২৮৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে স্কোরবোর্ডে ২০ রান যোগ করতেই দুই উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ফেরেন ফার্নান্দোর বলে বোল্ড আউট হয়ে। ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১৩ বলে ১৭ রান। 

এরপর নাজমুল হোসেন শান্ত ফেরেন কোনো রান না করেই। আর তাতেই বিপদ বাড়ে টাইগারদের। সেই চাপ সামাল দেন পারভেজ হোসেন ইমন ও তাওহীদ হৃদয়। তবে দলীয় ৬২ রানে ইমন ফিরলে ভাঙে ৪২ রানের জুটি।  

তারপর ব্যাটিংয়ে নামেন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। হৃদয়ের সঙ্গে ভালোই খেলছিলেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত মিরাজও পারলেন না দায়িত্ব নিতে। দুনিথ ভেল্লালাগের বলে বড় শট খেলতে গিয়ে লিয়ানাগের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। আর তাতে আরও বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। ফেরার আগে মিরাজের ব্যাট থেকে আসে ২৫ বলে ২৮ রান। 

চতুর্থ উইকেট জুটিতে হৃদয়-মিরাজ মিলে যোগ করেন ৪৫ বলে ৪৩ রান। পঞ্চম উইকেট জুটিতে শামীম হোসেন পাটওয়ারীকে সঙ্গে নিয়ে ১৯ রান যোগ করেন তাওহীদ হৃদয়। ১৮ বলে ১২ রান করে শামীম ফিরলে ভাঙে এই জুটি। হাসারঙ্গার বলে স্টাম্পড আউট হয়ে ফেরেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। 

দলীয় ১৫৩ রানের মাথায় ফেরেন তাওহীদ হৃদয়। চামিরার ইনসুইং ডেলিভারি আটকাতে পারেননি তিনি। ৭৮ বলে ৫১ রানের ফিরতে হয় তাকে। শেষ দিকে জাকের আলী অনিক দলের হাল ধরার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। ৩৫ বলে ২৭ রান করে আসিথা ফার্নান্দোর বলে বোল্ড আউট হয়ে ফেরেন ডানহাতি এই ব্যাটার। তার আগে তানজিম সাকিব ফিরেছেন ৮ বলে ৫ রান করে।

শেষ পর্যন্ত ৬২ বল বাকি থাকতেই ১৮৬ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। লঙ্কানদের হয়ে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন আসিথা ফার্নন্দো ও চামিরা। দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন দুনিথ ভেল্লালাগে ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।

এর আগে টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি শ্রীলঙ্কার। তবে ঘুরে দাঁড়াতেও বেশি সময় নেয়নি স্বাগতিকরা। কুশল মেন্ডিসের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি ও আসালাঙ্কার হাফ-সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেট  হারিয়ে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ২৮৫ রান।   

দলীয় ১৩ রানে মাদুশকার উইকেট হারানোর পর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৫৬ রান যোগ করেন কুশল মেন্ডিস ও পাথুম নিশাঙ্কা। লঙ্কান শিবিরে প্রথম আঘাতটা আনেন তানজিম হাসান সাকিব। দ্বিতীয় উইকেট শিকার করেন তানভীর ইসলাম। ৩৫ রান করা ওপেনার নিশাঙ্কাকে ফিরিয়ে ৫৬ রানের জুটি ভেঙেছিলেন তিনি। 

এরপর তৃতীয় উইকেট জুটিতে কুশলকে ঠিকঠাক সঙ্গ দিতে পারেননি কামিন্দু মেন্ডিস। ৩১ রানের ছোট্ট এই জুটিটা ভাঙেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ১৬ রান করা কামিন্দুকে এলবিডব্লিউ-এর ফাঁদে ফেলেন তিনি। 

১০০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে শ্রীলঙ্কা। সেখান থেকে আসালাঙ্কার সঙ্গে বড় জুটি গড়েন কুশল। এক পর্যায়ে হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন আসালাঙ্কা। আরেক প্রান্তে থাকা কুশল মেন্ডিস তুলে তার ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি, আর বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয়।  

আসালাঙ্কাকে ফিরিয়ে ১২৪ রানের জুটি ভাঙেন তাসকিন আহমেদ। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৬৮ বলে ৫৮ রান। তারপর কুশল মেন্ডিসও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। ১১৪ বলে ১২৪ রান করা এই ব্যাটারকে ফেরান শামীম হোসেন পাটওয়ারী। 

এরপর আর কোনো বড় জুটি গড়ে ওঠেনি। জেনিথ লিয়ানাগে ফেরেন ১৭ বলে ১২ রান করে। দুনিথ ভেল্লালাগে আউট হন ৬ বলে ৬ রান করে। শেষ দিকে ১৪ বলে ১৮ রানে অপরাজিত থাকেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। আরেক প্রান্তে ৮ বলে ১০ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন চামিরা। বাংলাদেশের হয়ে তাসকিন ও মিরাজ নেন দুটি করে উইকেট। একটি করে উইকেট নেন শামীম, তানজিম ও তানভীর ইসলাম।