News update
  • UN Assembly Urges Decisive Action to Resolve Israel-Palestine Conflict     |     
  • Sediment-borne fertility transforms northern Bangladesh     |     
  • 3 Armed Forces Chiefs, Jamaat Ameer visit Khaleda Zia at Hospital     |     
  • Army, Navy, Air Chiefs Visit Khaleda Zia at Dhaka Hospital     |     
  • EU, BDRCS, IFRC Partner to Strengthen Recovery of July Uprising Survivors     |     

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গবেষণা ও উদ্ভাবনে উৎকর্ষতা অর্জন করতে হবে

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খবর 2022-05-21, 6:49pm




চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে গবেষণা ও উদ্ভাবন কার্যক্রমে উৎকর্ষতা অর্জন করতে হবে। 
আজ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর ‘৪র্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় করণীয়’ শীর্ষক দিনব্যাপী এক কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। 
তিনি বলেন, একই সাথে বিশ্ববিদ্যালগুলোকে দেশের শিল্প ও বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে সহযোগিতার সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। 
শিল্প ও বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে বিদ্যমান কারিকুলামে প্রয়োজনীয়  আনতে হবে পরিবর্তন। 
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একে খান আইন অনুষদ অডিটোরিয়ামে ইউজিসি আয়োজিত এ কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার। 
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এফ. এম. আবদুল মঈন, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. নাছিম আখতার, চটগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে এবং রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক কাঞ্চন চাকমা।  
বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির আওতায় দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ই-গভর্ন্যান্স ও উদ্ভাবন সংক্রান্ত কার্যক্রম বাস্তবায়ন জোরদারকরণে এ কর্মশালা আয়োজন করা হয়। কর্মশালার সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
কর্মশালায় ইউজিসি সদস্য প্রফেসর আলমগীর বলেন, ৪র্থ শিল্প-বিপ্লব আমাদেরকে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন করলেও অনেক সম্ভাবনার দ্বারও উন্মোচন করেছে। এ সম্ভাবনাগুলোকে কাজে লাগাতে যথাযথ পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের কোন বিকল্প নেই। 
দেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের ০৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জন্য এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।  ইউজিসি সদস্য আরো বলেন, শিল্প-বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান ও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সহযোগিতার সেতুবন্ধন তৈরি গেলে গবেষণার মাধ্যমে উদ্ভাবিত প্রযুক্তির বাজারজাতকরণ সহজ হবে। ফলে, উদ্ভাবক, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিল্প-প্রতিষ্ঠান এবং দেশের সাধারণ মানুষ এর সুফল পাবে। এছাড়াও, শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন শিল্প  প্রতিষ্ঠানে ইণ্টার্নশিপের সুযোগ পাবে এবং এসব প্রতিষ্ঠানের আধুনিক ল্যাব ব্যবহার করে গবেষণা ও উদ্ভাবনী কার্যক্রমে অবদান রাখতে সক্ষম হবে।  
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার তার বক্তব্যে বলেন, দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গবেষণা ও উদ্ভাবনের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে গড়ে তোলা না গেলে  ৪র্থ শিল্প-বিপ্লবের চ্যালেঞ্জসমূহ যথাযথভাবে মোকাবিলা করা আমাদের পক্ষে সম্ভব হবে না।
ইউজিসি আয়োজিত এই কর্মশালা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জসমূহ সম্পর্কে ধারণা দিতে সক্ষম হবে। এ ধরনের আয়োজন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের বিদ্যমান গবেষণা ও উদ্ভাবন কার্যক্রম আরো বেগবান করতে সহায়ক হবে। 
ইউজিসি এপিএ’র ফোকাল পয়েন্ট গোলাম দস্তগীরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুলের ডিনপ্র ফেসর ড. আফরোজা পারভীন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ড. কাজী মুহাইমিন-আস-সাকিব।  কর্মশালায় ইউজিসি ইনোভেশন টিমের ফোকাল পয়েন্ট রবিউল ইসলামসহ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও ইউজিসি’র মোট ৪৬ জন শিক্ষক ও কর্মকর্তা অংশ গ্রহণ করেন। তথ্য সূত্র বাসস।