News update
  • Dhaka’s mosquito menace out of control; frustration mounts     |     
  • 10-day National Pitha Festival begins at Shilpakala Academy     |     
  • Dhaka concerned at dwindling funds for Rohingyas     |     
  • Rohingya crisis in uncertainty; WASH sector faces challenges     |     
  • HRW delegation meets Commission of Inquiry on Disappearances     |     

রমনার বটমূলে বোমা হামলার ২৩ বছরেও হয়নি বিচার

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খবর 2024-04-14, 8:24am

oudiudiudio-9a0dbe7b09321b721b09d018b6ca77e51713061629.jpg




২৩ বছর আগে রমনার বটমূলে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে ভয়াবহ বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ১০ জন নিহত এবং বহু মানুষ আহত হয়েছিলেন। চাঞ্চল্যকর এই বোমা হামলার এখনো বিচার হয়নি।

২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রমনার বটমূলে বোমা হামলার পর হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এর মধ্যে হত্যা মামলায় ২০১৪ সালের ২৩ জুন আটজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে নিম্ন আদালত রায় ঘোষণা করে। আদালতে রায়ের পর আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স পাঠানো হয়। একইসঙ্গে কারাবন্দি আসামিরা আপিল করে। উভয় আবেদনের ওপর ২০১৭ সালের ৮ জানুয়ারি হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়। আদালত বদল হওয়ায় শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে মামলাটি। ১০ বছরে অন্তত ৪০০ বার পিছিয়েছে শুনানি।

এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ওই বেঞ্চের একজন বিচারপতি আইনজীবী হিসেবে এই মামলায় কাজ করেছিলেন। তাই তিনি শুনানি করতে পারেননি। এ কারণে হয়ত কিছুটা সময় লেগেছে। তবে এবার তার বেঞ্চে শুনানি হবে। আমরা প্রস্তুত আছি।

অন্যদিকে বিস্ফোরক মামলাটি এখনো বিচারিক আদালতের গণ্ডি পার হতে পারেনি। কারণ হিসেবে সাক্ষী হাজির না হওয়ার কথা বলছে রাষ্ট্রপক্ষ।

আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আব্দুলাহ আবু বলেন, সাক্ষীরা একবার সাক্ষ্য দিয়ে গেছেন। কিন্তু পরবর্তীকালে ওই সাক্ষীদের সহজেই পাওয়া যায়নি। দীর্ঘদিন হয়ে গেছে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিচার কাজ শেষ হওয়া উচিত।

২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল (পহেলা বৈশাখ ১৪০৮ বঙ্গাব্দ) ভোরে রমনার বটমূলে সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানস্থলে দুটি বোমা পুঁতে রাখা হয় এবং পরে রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে সেগুলোর বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (হুজি) নৃশংস ওই বোমা হামলায় প্রাণ হারান ১০ জন। আহত হন আরও অনেকেই। এ ঘটনায় হুজি নেতা মুফতি হান্নানসহ ১৪ জনকে আসামি করে ওইদিনই রমনা থানার পুলিশ বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে আলাদা দুটি মামলা করেন।

২০০৮ সালের ২৯ নভেম্বর শীর্ষ হুজি নেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে সিআইডির পরিদর্শক আবু হেনা মো. ইউসুফ আদালতে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে আলাদা দুটি সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ২৩ জুন ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রুহুল আমিন হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে আট জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ছয় জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিচারক। বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় ২০১৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন মামলার অন্যতম আসামি মুফতি হান্নানসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী হত্যা মামলায় ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল রাতে মুফতি হান্নানের ফাঁসি কার্যকর হয়।

বর্তমানে মামলাটিতে মোট ১১ জন আসামি রয়েছেন। তারা হলেন- মাওলানা তাজউদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম বদর, মুফতি আব্দুল হাই, মুফতি শফিকুর রহমান, মাওলানা আবু বকর, হাফেজ সেলিম হাওলাদার, আরিফ হাসান সুমন, মাওলানা আকবর হোসাইন, মাওলানা শাহাদাৎ উল্লাহ জুয়েল, হাফেজ মাওলানা আবু তাহের, মাওলানা সাব্বির ও মাওলানা শওকত ওসমান। এর মধ্যে তাজউদ্দিন, আবদুল হাই ও জাহাঙ্গীর পলাতক। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।