News update
  • 2 dead, six hurt in Sherpur micro-autorickshaw-motorbike crash     |     
  • One killed over loud music row at wedding party in Natore     |     
  • Fire breaks out at jacket factory in Chattogram     |     
  • Dhaka, Delhi agree to bring down border killings to zero     |     
  • Natore’s Baraigram OC closed over negligence in bus robbery case     |     

বাংলাদেশ প্রসঙ্গে মমতার বক্তব্য নিয়ে যা বললেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খবর 2024-12-02, 6:39pm

img_20241202_183714-db91102849dff38517d4a82d51a5d1f11733143169.jpg




ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, জাতিসংঘের সঙ্গে বাংলাদেশ নিয়ে ভারত সরকার কথা বলুক, যেন সেখানে তারা শান্তিরক্ষী পাঠাতে পারে। আমাদের এ বিষয়ে অনুরোধ রইল।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর এমন বক্তব্য নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন এমন বক্তব্য দিলেন, তা বোধগম্য নয়।

সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে কূটনীতিকদের ব্রিফিং শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

এদিন ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনী মোতায়েন করতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মমতা বলেন, যদি বাংলাদেশে ভারতীয়দের ওপর হামলা হয়, তবে আমরা তা সহ্য করতে পারি না। আমরা আমাদের লোকজনদের সেখান থেকে ফিরিয়ে (প্রত্যাবাসন) আনতে পারি। ভারত সরকার বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ইস্যুটি জাতিসংঘে তুলতে পারে। সেখানে শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর কথা বলতে পারে।

এর জবাবে মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি। তিনি এই বক্তব্য কেন দিলেন, তা আমি বুঝতে পারছি না। আমি মনে করি এই বক্তব্য তার রাজনীতির জন্য সঠিক পদক্ষেপ নয়।

ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে, এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আসলেই ৫ আগস্টের পর থেকে দুই দেশের সম্পর্কে সমস্যা চলছে। এটা স্বীকার করতেই হবে। তবে আমরা স্বাভাবিক, ভালো সুসম্পর্ক চাই। এই সম্পর্কে অন্তরের চেয়ে স্বার্থই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। দুই দেশের সম্পর্ক স্বার্থের মধ্যেই দিয়ে দেখতে হবে।

সংখ্যালঘু ইস্যুতে তৌহিদ হোসেন বলেন, কয়েকটি বিশৃঙ্খল ঘটনা হয়েছ। দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করাই সরকারের লক্ষ্য। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা আমাদের সমাজের অংশ, তা বজায় রাখতে সরকার বদ্ধ পরিকর।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ভারতীয় মিডিয়ার মন্তব্য ধরে বিভিন্ন মিডিয়া নিউজ করছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ক্যাম্পেইন করছে এবং তারা আমাদের চেয়ে শক্তিশালী তা মেনে নিয়েই পরিকল্পনা করছি।

এ সময় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা দাবি করেন, সরকারের ব্রিফিংয়ে কূটনীতিকরা আশ্বস্ত হয়েছেন।

এর আগে, রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় কূটনীতিকদের এ বিষয়ে ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে বিদেশি মিশন ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানদের কাছে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের অবস্থান বিস্তারিত তুলে ধরা হচ্ছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত এ জরুরি ব্রিফিংয়ের অংশ নেন বাংলাদেশে বিদেশি কূটনীতিক মিশনগুলোর প্রতিনিধিদের পাশাপাশি জাতিসংঘের প্রতিনিধিরা।

বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘু বিশেষত হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের বিষয়ে অব্যাহতভাবে প্রতিবেশী দেশসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে নানা রকম বিভ্রান্তি ও অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে দাবি করে আসছে সরকার। হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন নিয়ে বিভ্রান্তি ও অপপ্রচারের জেরে সৃষ্ট অস্থিরতার বিষয়টি তুলে ধরা হয় কূটনীতিকদের কাছে।

এ সময় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তার বিষয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তাকে গ্রেপ্তার এবং আইনি প্রক্রিয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে কূটনীতিকদের। সঙ্গে বলা হয়েছে তার অনুসারীরা বিক্ষোভ করতে পেরেছে, কারণ এর স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।

দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সরকার বদ্ধ পরিকর জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা বার্তা দিতে চাই, বর্তমান সরকার সাম্প্রদায়িক কোনো অপতৎপরতা বরদাশত করবে না। আমরা হিন্দু-মুসলিম কোনো ভেদ করতে চাই না। কোনো বিশৃঙ্খলা দেখা গেলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব। আরটিভি