News update
  • UNGA urges renewed int’l efforts for a resolution of Rohingya crisis      |     
  • First National AI Readiness Assessment Report Published     |     
  • China calls for implementation roadmap for new finance goal     |     
  • New gas reserve found in old well at Sylhet Kailashtila field     |     
  • Revenue earnings shortfall widens in October     |     

সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ ধর্মীয় নয়, রাজনৈতিক

সিনেটর গ্যারি পিটার্সকে প্রধান উপদেষ্টা Copied from: https://rtvonline.com/

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খবর 2025-03-19, 7:49am

r3242342-bddad9ece8bc481a5d496df8489631741742348998.jpg




প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেছেন, ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর সংখ্যালঘুদের বিশেষ করে হিন্দুদের ওপর যে আক্রমণ হয়েছে তা ধর্মীয়ভাবে নয়, রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল। তবে তার সরকার দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে মার্কিন সিনেটর গ্যারি পিটার্স (ডি-এমআই) সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এসব কথা জানান।

সিনেটর পিটার্স সরকারের সংস্কার কর্মসূচির প্রশংসা করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে একটি মসৃণ গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।

পিটার্স বলেন, মিশিগানে তার নির্বাচনী এলাকায় অনেক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মানুষ বাস করেন, যার মধ্যে ডেট্রয়েট শহরও রয়েছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তিনি বলেন, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা নিয়ে ব্যাপক ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে। এই ভুল তথ্যের কিছু অংশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও ছড়িয়ে পড়েছে, যা সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে।

জবাবে ড. ইউনূস বলেন, আমাদের আপনার সাহায্য প্রয়োজন। দয়া করে আপনার বন্ধুদের বাংলাদেশে ভ্রমণ করতে বলুন। এইভাবে আমরা ভুল তথ্য প্রচারণার বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারি।

এসময় ড. ইউনূস তাকে জানান, রাজনৈতিক দলগুলো কম সংস্কারে সম্মত হলে সরকার ডিসেম্বরে নির্বাচন দেবে। তবে সংস্কারের বৃহত্তর প্যাকেজ চাইলে কয়েক মাস পর সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। এটি উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের দিন বড় বড় উদযাপন হবে, যেমনটি আমরা অতীতে দেখেছি। আর প্রধান কমিশনগুলো প্রস্তাবিত সংস্কারগুলোতে সম্মত হওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলো জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে। জুলাই সনদ দেশের ভবিষ্যৎ গতিপথ নির্ধারণ করবে।

ঘণ্টাব্যাপী এই সাক্ষাৎকালে দুই নেতা পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় এবং দুই বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেছেন।

দুই নেতা সামাজিক ব্যবসা, দারিদ্র্যমুক্ত পৃথিবী এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বিশ্বের অন্যান্য স্থানে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের হাতিয়ার হিসেবে ক্ষুদ্র ঋণ নিয়েও আলোচনা করেছেন।আরটিভি