News update
  • Eid Journey: No Traffic Jam on Dhaka-Chattogram Highway     |     
  • Quake Toll in Myanmar Jumps to 694 Dead, 1,670 Injured: Junta     |     
  • 47m health workers, advocates for cleaner air to curb deaths     |     
  • Bangladesh Seeks 50-Year Water Management Plan from China     |     
  • Khaleda to Celebrate Eid with Family in London After 6-yr     |     

শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় বীর সন্তানদের স্মরণ করছে জাতি

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খবর 2025-03-26, 9:16am

bad8a2fd39a32d48de3d3ab1ef7d9effcb6e19f7416a754c-f3cde3c111c70fccdccd92d3b15446601742958972.jpg




৫৫তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করছে জাতি। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে ৭১ এর বীর সেনানীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শহীদের চরণে ভালোবাসার ফুল দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি, বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও উপদেষ্টামণ্ডলী।

রক্তিম সূর্য স্বাধীন বাংলাদেশের বুকে। মনে করিয়ে দেয় ৫৪ বছর আগের ২৫ মার্চের বিভীষিকাময় কালরাত পার করে স্বাধীনতার প্রদীপ্ত উচ্চারণে বলিষ্ঠ জাতির কথা। বিশ্বের বুকে যাদের পরিচয় হার না মানা জাতি হিসেবে।

৭১ এর উত্তাল মার্চে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতে মুক্তিযুদ্ধের সূচনা হয় এই দিনেই। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গেই জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

রক্ত দিয়ে বিজয় ছিনিয়ে আনা বীর সেনানীদের প্রতি ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাষ্ট্রপতি। এরপরই স্মৃতির মিনারে ভালোবাসার ফুল দেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মাদ ইউনূস। পিনপতন নীরবতায় স্মরণ করেন জাতির সূর্য সন্তানদের। সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর চৌকস দল জানায় রাষ্ট্রীয় সালাম। এ সময় বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর।

এরপর শ্রদ্ধা জানান বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা। শ্রদ্ধা জানান উপদেষ্টামণ্ডলী ও বিদেশি কূটনীতিকরাও। পরে গণমাধ্যমে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন,৭১ দেশকে জন্ম দিয়েছে, তবে বিগত সময়ে স্বাধীনতার ধারণা নষ্ট করা হয়েছে। একাত্তরে অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষা করতেই চব্বিশের অভ্যুত্থান হয়েছে।

আর বন ও পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, জনগণ যে সংস্কার চায়, তাতে ঐক্যমত আনা জরুরি। রাজনৈতিক দলগুলোকে জাতীয় স্বার্থে দলীয় ও ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠতে হবে।

এরপরই স্মৃতিসৌধ খুলে দেয়া হয় সর্বসাধারণের জন্য। সর্বস্তরের মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয় ৮৪ একরের জাতীয় স্মৃতিসৌধ। ফুলে ফুলে ভরে ওঠে মূল বেদি।

৭১ এর বীর সেনানীদের উত্তরসূরি ২৪ এর ছাত্র জনতা রক্তের বিনিময়ে বিদায় ঘণ্টা বাজিয়েছে স্বৈরশাসকের। লাল সবুজের পতাকাকে দিয়েছে অনন্য উচ্চতা। তাইতো, শহীদদের চরণে ভালোবাসার ফুল দিতে আসা মানুষের প্রত্যাশা, আগামীর বাংলাদেশ হবে বৈষম্যহীন। লাখো প্রাণের দামে কেনা স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ন রেখেই বীরদর্পে এগিয়ে যাবে লাল সবুজের পতাকা, প্রিয় বাংলাদেশ।