ক্ষতিগ্রস্ত সন্তানের পাশে সরকার ও স্কুল কর্তৃপক্ষ নেই কেন-এমন প্রশ্ন তুলে এক অভিভাবক বলেছেন, বরিশালে যে শিক্ষার্থীর মরদেহ বাবা-মা নিয়ে গেছেন তাদের কোনো পক্ষ থেকেই সাহায্য সহযোগিতা করা হয়নি।
বুধবার (২৩ জুলাই) মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে এক শিক্ষার্থীর মা অভিযোগ করেছেন কেন সরকার ও স্কুল কর্তৃপক্ষ ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে নেই।
বুধবার (২৩ জুলাই) রাজধানীর উত্তরা দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে এক শিক্ষার্থীর মা এমন সব অভিযোগ তুলেছেন।
তিনি বলেন, বরিশালে যে শিক্ষার্থীর মরদেহ বাবা-মা নিয়ে গেছেন তাদের কোনো পক্ষ থেকেই সাহায্য সহযোগিতা করা হয়নি। বরিশালে অ্যাম্বুলেন্সে করে মরদেহ নিয়ে যেতে ২০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়। ওই মৃত সন্তানের বাবা জানান কেউ একটু খোঁজখবরও নিলো না। খবর নিলেও তো মনে হতো কেউ আছে পাশে।
তাদের স্কুল বা সরকারের পক্ষ থেকেও গাড়ি দিতে পারতো না এ কথা জানিয়ে ওই অভিভাবক বলেন, এই স্কুল কর্তৃপক্ষ এতো দুর্বল না যে, তারা কিছু করতে পারবে না। তারা আড়ালে কেন? স্কুল বা সরকার পক্ষ কেন আড়াল হচ্ছে। আমরা এখানে কেন আসব। তারা যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করত তাহলে তো আসতে হতো না আমাদের।
গত সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবনে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দুপুর ২টার পর জানায়, দুপুর ১২টা পর্যন্ত তারা ৩২ জনের মৃত্যু ও ১৬৪ জন আহত হওয়ার তথ্য পেয়েছে।
আইএসপিআর জানিয়েছে, সোমবার দুপুর ১টা ৬ মিনিটে রাজধানীর কুর্মিটোলার বিমানবাহিনীর ঘাঁটি এ কে খন্দকার থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পর এফটি-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমানটি উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল চত্বরের একটি দোতলা ভবনের ওপর গিয়ে বিধ্বস্ত হয়। পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলাম সাগর যুদ্ধবিমানটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে জনবিরল এলাকায় নিয়ে যাওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বিমানটি মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দোতলা একটি ভবনে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনায় বিধ্বস্ত হয়।