News update
  • Dhaka seeks global pressure on Myanmar for lasting peace     |     
  • BSEC Chairman’s resignation urged to stabilise stock market     |     
  • Rain, thundershowers likely over 8 divisions: BMD     |     
  • First freight train leaves Mongla carrying molasses     |     
  • 2 dead, six hurt in Sherpur micro-autorickshaw-motorbike crash     |     

ডিমের দাম বাড়ছেই!

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খাদ্য 2024-05-13, 1:48pm

dsgdsgsgs-ae9a29173c77d084b10604b14574cea71715586516.jpg




আবারও অস্থির হয়ে ওঠেছে দেশের ডিমের বাজার। প্রতি সপ্তাহেই বাড়ছে দাম। শুধুমাত্র রাজধানীতেই সপ্তাহ ব্যবধানে ডজনপ্রতি বেড়ে গেছে ৩০ টাকা পর্যন্ত। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গরমের কারণে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার প্রভাব পড়ছে এর দামে।

বাজারে ডিমের অস্বাভাবিক দামের লাগাম টানতে গত বছর আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। পাশাপাশি বেঁধে দেয়া হয়েছিল প্রতি পিস ডিমের দাম। এতে নিয়ন্ত্রণে আসে বাজার।

তবে চলতি মাসে এ বাজারে আবারও দেখা দিয়েছে অস্থিরতা। সপ্তাহ ব্যবধানে রাজধানীতে ডজনে দাম বেড়ে গেছে ৩০ টাকা পর্যন্ত। মুরগির প্রতি ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা, আর সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকায়। আর প্রতি ডজন হাঁসের ডিম ২০০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিম ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বিক্রেতারা জানান, তীব্র গরমে মরে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে অনেকেই আগেভাগে বিক্রি করে দিচ্ছেন মুরগি। এতে ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন। এর প্রভাব পড়ছে ডিমের দামেও।

ক্রেতারা জানান, দিনকে দিন সাধ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে ডিম ও মুরগির দাম। এখনই দামের লাগাম টেনে না ধরলে এগুলো কেনা অসম্ভব হয়ে উঠবে।

 হিলিতেও ডিমের দাম বাড়তি

রাজধানীর পাশাপাশি অন্যান্য জেলাতেও অস্থির হয়ে উঠছে ডিমের বাজার। শুধুমাত্র হিলিতেই সপ্তাহ ব্যবধানে কেইজপ্রতি ডিমের দাম বেড়ে গেছে ৫০ টাকা পর্যন্ত। গত সপ্তাহে প্রতি কেইজ ডিম ৩০০ টাকা বিক্রি হলেও বর্তমানে তা বেড়ে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

হিলি বাজারের ডিম বিক্রেতা সুলতান মাহমুদ বলেন,চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় বর্তমানে ডিমের বাজার বেশ ঊর্ধ্বমুখী। সপ্তাহখানেক আগেও প্রতি কেইজ ডিমের দাম ছিল ৩০০ টাকা, তারপর হলো ৩১০-৩২০ টাকা, আর এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকায়।

হিলি বাজারের আরেক ডিম বিক্রেতা হাকিম বলেন, হঠাৎ করেই মোকামগুলো থেকে চাহিদামাফিক ডিম মিলছে না। সেই সঙ্গে ডিমের উৎপাদন কমের অজুহাতে দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন কোম্পানিগুলো। যার কারণে বাড়তি দামে কেনায় বাধ্য হয়ে বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।

ডিমের দাম বাড়ার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অমিত রায় বলেন, বাজারে ডিমের দাম বাড়ছে এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। নির্দেশনা পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে, ডিমের দাম বাড়ার পেছনে সিন্ডিকেটকে দায়ী করছে প্রান্তিক খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)। এর সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, গরমের তীব্রতা কমার সঙ্গে সঙ্গে প্রান্তিক খামারিদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করে মুরগি ও ডিম উৎপাদনে বিশেষ নজর দিতে হবে। এছাড়া দীর্ঘ মেয়াদে ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে যেতে পারে এর বাজার। কারণ ক্ষুদ্র খামারিরা উৎপাদনে না ফিরতে পারলে বাজারে অস্থিরতা আরও বাড়বে।

তিনি আরও বলেন, বড় বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠানের সিন্ডিকেটের কারণে ক্ষতির মুখে পড়েছেন প্রান্তিক খামারিরা। মূলত তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতির নির্দেশে সারা দেশে এর দাম নির্ধারণ হয়। আগের দিন রাতেই মেসেজের মাধ্যমে দাম চলে যায় দেশের ডিম ব্যবসায়ীদের কাছে। সে দাম অনুযায়ী ডিম বিক্রি হয়। 

তবে দেশের বাজারে ডিমের বর্তমান দাম যৌক্তিক দাবি করে সুমন বলেন, উৎপাদন খরচ বাড়ায় বেড়ে গেছে ডিমের দাম। বর্তমানে যৌক্তিক দামে বিক্রি হচ্ছে। খামারিরা ন্যায্য দাম পাচ্ছেন। তবে এটিকে পুঁজি করে ডিমের বাজার অস্থির করে তুলতে পারে অসাধু সিন্ডিকেট। এদিকে সরকারের বিশেষ নজর দিতে হবে; নইলে জিম্মি হয়ে পড়বেন সাধারণ ভোক্তারাও।

উল্লেখ্য, দেশের ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণে গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর চার কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দেয় সরকার। এরপরও বাজারে স্বস্তি না ফেরায় আরও কয়েক দফায় ডিম আমদানির অনুমতি দেয়া হয়। এতে নাগালে এসেছিল দাম। সময় সংবাদ