রাত পোহালেই কোরবানির ঈদ। চলছে শেষ সময়ের বেচাকেনা। মসলার দোকানগুলোতে বেড়েছে ভিড়। তবে অন্যান্য বছরের মতো নেই শেষ সময়ে অতিরিক্ত দাম বাড়ানোর অভিযোগ।
শুক্রবার (৬ জুন) রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
কোরবানি ঈদের বাকি আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। শেষ সময়ে জমে উঠেছে পশু বেচাকেনা। হাটগুলোতে প্রায় শেষের দিকে কোরবানির পশু। মূলত গত কয়েক দিন বৃষ্টি থাকায় শেষ দিনে এসে চাপ বেড়েছে কেনাকাটায়।
তবে সকাল থেকেই আজকের আবহাওয়া বেশ রৌদ্রোজ্জ্বল। তাই বেচাবিক্রিতেও আশানুরূপ ক্রেতার দেখা পাচ্ছেন বিক্রেতারা। গরু-ছাগলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মসলা কেনার ধুম। প্রতিটি দোকানেই বাড়ছে ভিড়।
ক্রেতারা বলছেন, কারওয়ান বাজার পাইকারি বাজার হওয়ায় এখানে পাইকারি দামেই মিলছে মসলা। এতে বেশ সস্তা পড়ছে। শুধু দাম বাড়তি এলাচের।
এদিকে বিক্রেতারা বলছেন ভিন্ন কথা। তারা জানিয়েছেন, এলাচের দাম আগের তুলনায় কেজিতে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা কমেছে। বর্তমানে মানভেদে এলাচ বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ৬০০ থেকে ৫ হাজার ৩০০ টাকা কেজি দরে। যেটা আগে ছিল ৪ হাজার ৮০০ থেকে ৫ হাজার ৬০০ টাকা কেজি।
এ ছাড়া বাজারে প্রতিকেজি দারুচিনি ৫৬০ টাকা, জিরা ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা, লবঙ্গ ১ হাজার ৪৫০ টাকা, গোলমরিচ ১ হাজার ২০০ টাকা, কিশমিশ ৮৫০ থেকে ৬৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ধনিয়া ১৮০ থেকে ২৪০ টাকা, বড় এলাচ ২ হাজার ৮৫০ টাকা, কাজুবাদাম ১ হাজার ৭৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা ও চীনাবাদাম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়।
তবে আগের দামে বিক্রি হচ্ছে আদা, রসুন ও পেঁয়াজ। বাজারভেদে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়। এ ছাড়া প্রতিকেজি আদা মানভেদে ১২০-১৮০ টাকা এবং দেশি রসুন ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা ও আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়।