News update
  • Yao Wen looks for grand celeb of 50 years of China-BD ties     |     
  • Jashore’s Godkhali flowers expected to fetch Tk 100 crore     |     
  • Turk warns DR Congo crisis may worsen, without inte’l action     |     
  • Govt working with security forces to keep law, order: Prof Yunus     |     
  • Vandalism across Bangladesh to be resisted: Govt     |     

জলবায়ু অভিবাসীদের পুনর্বাসনের বোঝা ভাগাভাগি করতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক জলবায়ু 2022-06-04, 11:37pm

image-44673-1654335277-0e7e028b851176e13db5e20946e2f7221654364260.jpg




পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত অভিবাসীদের পুনর্বাসনের বোঝা ভাগাভাগি করতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।

তিনি সতর্ক করে বলেন, বর্তমানের আন্তঃসম্পর্কযুক্ত বিশ্বে জলবায়ু-পরিবর্তন জনিত বাস্তুচ্যুতি বিশ্বকে নিরাপত্তা ঝুঁকির দিকে নিয়ে যেতে পারে।

শুক্রবার সুইডেনে স্টকহোম+৫০ আন্তর্জাতিক সম্মেলনের ফাঁকে স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এসআইপিআরআই) আয়োজিত ‘এনভায়রমেন্ট অব পিস: সিকিউরিং এ জাস্ট অ্যান্ড পিসফুল ট্রানজিশন ইন এ নিউ এরা অব রিস্ক’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন। 

আজ ঢাকায় প্রাপ্ত পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়। 

মোমেন বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় লাখ লাখ জলবায়ু অভিবাসীর জন্য যথেষ্ট কাজ করছে না। যারা প্রায়ই বিভিন্ন ধরণের নিরাপত্তা ঝুঁকি সৃষ্টি করছে এবং এ কাজে তাদের ব্যবহার করা হচ্ছে। 

তিনি জলবায়ু-নিরাপত্তা নেক্সাস এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কার্যকর কৌশল সম্পর্কে সচেতনতা তৈরির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুইডেনের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতা বিষয়ক মন্ত্রী মাতিলদা আর্নক্রানসের সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন এবং জলবায়ু পরিবর্তন, শিক্ষা এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে কীভাবে সহযোগিতা বাড়ানো যায় সে বিষযে আলোচনা করেন। 


তিনি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যূত রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদার সাথে ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে সুইডিশ মন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি জাতিসংঘের আন্ডার-সেক্রেটারি-জেনারেল ও ইউনাইটেড নেশনস এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রাম (ইউএনইপি)এর নির্বাহী পরিচালক ইঙ্গার আন্ডারসনের সাথে সাক্ষাৎ করে পরিবেশগত ও জলবায়ু ইস্যুতে ইউএনইপি’র সাথে কীভাবে সহযোগিতা আরো জোরদার করা যায় সে ব্যাপারে আলোচনা করেন। 

ড.মোমেন মিয়ানমারের সাথে ব্যবসায়িক সম্পর্ক স্থাপনের ওপর জোর দিয়ে বলেন, তাদের সাথে এ ব্যাপারে কোনো অগ্রগতি হয়নি।

এসময় আন্ডারসন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সাফল্যের সাথে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার ভূয়সী প্রশংসা করেন।

তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ইউএনইপি নিয়ন্ত্রিত ‘ক্লাইমেট টেকনোলোজি ফান্ড’ থেকে বাংলাদেশকে সহায়তা করার প্রস্তাব দেন।

এ ছাড়া বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ‘কোভিড-১৯ মহামারি থেকে টেকসই ও অন্তর্ভূক্তিমূলক উত্তরণের’ ব্যাপারে একটি লিডারশিপ ডায়লগেও বক্তব্য রাখেন।

সংলাপে ড. মোমেন প্রযুক্তি ও অর্থনৈতিক স্বার্থের বিভাজনকে তুলে দেয়ার এবং জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ ও রাজনৈতিক মতাদর্শ নির্বিশেষে সকলের জন্য একটি অন্তর্ভূক্তিমূলক ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার পরামর্শ দেন।

এছাড়াও মোমেন অভিযোজন, প্রশমণ, পরিবর্তিত পরিস্থিতির সাথে খাপ খাইয়ে নেয়া বা স্থিতিস্থাপক, খাদ্য উৎপাদন ও ভোগের পদ্ধতি পরিবর্তন এবং প্রাকৃতিক আবাস ও জীববৈচিত্র ধ্বংস রোধ করার জন্য বিনিয়োগ বাড়ানোর পরামর্শ দেন।

ড. মোমেন স্টকহোম+৫০ আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে তিন দিনের সফরে সুইডিশ রাজধানী স্টকহোমে অবস্থান করছেন। তথ্য সূত্র বাসস।