জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকির গভীরতা ও গুরুত্ব বিবেচনায় প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করতে চায় বর্তমান সরকার। এ লক্ষ্যে আগামী অর্থবছরে শতকোটি টাকার বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে বাজেটে।
সোমবার (২ জুন) বিকেলে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবে এ কথা জানান অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
বাজেট প্রস্তাবনায় তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় নারীর অভিযোজন সক্ষমতা বৃদ্ধি, উপকূলীয় ইকোসিস্টেম মূল্যায়ন, জলবায়ু সহনশীলতা অর্জনে গণমাধ্যমের সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ বেশ কিছু কার্যক্রম গ্রহণ করা দরকার।
এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের মাধ্যমে বায়ু, পানি ও মাটি দূষণ প্রতিরোধ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পরিবেশ উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তনে প্রশমন, স্বাস্থ্য খাতে সক্ষমতা বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
এর আগে তিনি সাত লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার জাতীয় বাজেট উপস্থাপন করেছেন। এবারের বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এই বাজেটের আকার চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের তুলনায় কম।
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় প্রস্তাবিত সর্বশেষ বাজেটের আকার ছিল ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা, যা তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী উপস্থাপন করেন। তবে চলতি অর্থবছরের মাঝপথে কাটছাঁটের ফলে সেই বাজেটের বাস্তবায়নযোগ্য আকার দাঁড়ায় ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৮ কোটি টাকা। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম বাজেট এবং দেশের ইতিহাসে ৫৪তম জাতীয় বাজেট।
বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বাজেটের আকার হ্রাস পাওয়ার ঘটনা। তবে অর্থ মন্ত্রণালয় বাজেট বিষয়ে সাধারণ জনগণের মতামত নেবে এবং সেগুলো বিবেচনায় রেখে বাজেট চূড়ান্ত করবে বলে জানিয়েছে।আরটিভি