News update
  • Fire breaks out at jacket factory in Chattogram     |     
  • Dhaka, Delhi agree to bring down border killings to zero     |     
  • Natore’s Baraigram OC closed over negligence in bus robbery case     |     
  • Imported fruit prices surge by up to Tk 100 per kg     |     
  • 35% of air pollution in BD originates from external sources: Experts     |     

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ‌‘মারা গেছেন’

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক দূর্ঘটনা 2024-05-20, 10:45am

frtrtrwtwtw-0d31761c5502fc469d6e12b35459a2eb1716180493.jpg




হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ান মারা গেছেন বলে দেশটির আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা মেহের-এর এক নিউজে বলা হয়েছে।

সোমবার (২১ মে) প্রতিবেদনে মেহের নিউজ এজেন্সি জানিয়েছি, ইরানের রাষ্ট্রপতি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমাতিসহ হেলিকপ্টারের অন্যান্য আরোহীরা ‘শহীদ’ হয়েছেন।

তবে রাইসি কিংবা হেলিকপ্টারের অন্য আরোহীদের মৃত্যুর বিষয়ে দেশটির কর্তৃপক্ষ এখনও নিশ্চিত করে কিছু জানায়নি।

তবে ইরানি প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টারের দুর্ঘটনাস্থলে যাত্রীদের জীবিত থাকার কোনও চিহ্ন পায়নি বলে জানিয়েছে ইরানিয়ান রেড ক্রিসেন্ট। আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, রেড ক্রিসেন্ট থেকে এই তথ্য দেয়ার পর আশঙ্কা করা হচ্ছে হেলিকপ্টারটির কোনও যাত্রী হয়তো বেঁচে নেই!

এর আগে ইরানি রেড ক্রিসেন্টের প্রধান পীর হোসেন কোলিভান্দ জানিয়েছেন, ‘‘এখন আমরা উদ্ধারকারী দলের কাছ থেকে ভিডিও পাচ্ছি। তারা বলছেন, ‘হেলিকপ্টারের পুরো কেবিন ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত ও পুড়ে গেছে।’ তারা আরও জানিয়েছেন, ‘ঘটনাস্থলে এখন পর্যন্ত কারও বেঁচে থাকার কোনও চিহ্ন নেই।’’

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে নিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়া হেলিকপ্টারটিতে দেশটির আরও কয়েকজন কর্মকর্তা ছিলেন বলে জানা গেছে। ইরানের স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে আল জাজিরাসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানায়, ওই হেলিকপ্টারে রাইসির পাশাপাশি ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমতি এবং ওই প্রদেশে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার মুখপাত্র আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ আলী আলে-হাশেম ছিলেন।

ইরানের বার্তা সংস্থা তাসনিম জানিয়েছে, হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ার খবর পাওয়া যায় সেখান থেকে আসা একটি জরুরি ফোনকলে। প্রেসিডেন্টের সঙ্গে থাকা কর্মকর্তাদের কেউ ওই ফোন করেছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমির ভাহিদিও রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলেছেন, ওই হেলিকপ্টারের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা হয়েছিল। তবে কথার মধ্যেই সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

এদিকে ভারি বৃষ্টি ও তীব্র বাতাস উপেক্ষা করেই দীর্ঘ তল্লাশির পর ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারের সন্ধান পাওয়ার দাবি করেছে রেড ক্রিসেন্ট। এরই মধ্যে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে একটি উদ্ধারকারী দল। তবে প্রেসিডেন্ট ও তার সঙ্গীদের ভাগ্যে কী ঘটেছে, সে সম্পর্কে কিছুই জানানো হয়নি। বৈরি আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা।

এর আগে রোববার (১৯ মে) বিকেলে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের পাহাড়ি এলাকায় বিধ্বস্ত হয় প্রেসিডেন্ট রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল্লাহিয়ানকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি। আজারবাইজান সীমান্তবর্তী এলাকায় একটি বাঁধ উদ্বোধন করে ফিরছিলেন রাইসি।

এদিকে, বিধ্বস্তের খবর প্রকাশের পরপরই কান্নার রোল পড়ে যায় ইরানজুড়ে। মসজিদ থেকে শুরু করে রাস্তা সবজায়গায় বিশেষ দোয়া করা হয়। রাইসির জন্য প্রার্থনা করতে নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানান সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। একই সঙ্গে জনগণকে উদ্বিগ্ন না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এ ঘটনায় রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডে কোনও বিঘ্ন হবে না।

তিনি বলেন,তোমরা যারা এখানে উপস্থিত আছ, এমনকি যারা আমার এই কথা পরে শুনতে পাবা সবাই নিশ্চিত থাক যে, এই ঘটনা রাষ্ট্রীয় কাজে কোন প্রভাব ফেলবে না। খবরটি যখন শোনা গেছে তখন থেকেই সবাই অনেক পরিশ্রম করছে। সব ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটির উদ্ধারকাজে সহযোগিতার ইচ্ছার কথা জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। এরই মধ্যে পাহাড়ে অভিযান চালাতে সক্ষম একটি দলকে ইরানে পাঠিয়েছে তুরস্ক। তদন্তকাজে আগ্রহ প্রকাশ করেছে রাশিয়া। অন্যদিকে, বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ইরানের শত্রুভাবাপন্ন হিসেবে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্র।

৬৩ বছর বয়সী রাইসির দুর্ঘটনায় বড় কোনও ক্ষতি হলে ইরানের সংবিধান অনুযায়ী দেশের দায়িত্ব নেবেন ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবার। সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার অনুমোদন সাপেক্ষে দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন তিনি। একই সঙ্গে ৫০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচন করতে হবে। যেটির মাধ্যমে দেশে আবার নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করা হবে।