News update
  • BB to appoint administrators to merge troubled Islami banks     |     
  • Bangladesh Bank allows loan rescheduling for up to 10 years     |     
  • Guterres Urges Leaders to Act as UNGA Week Begins     |     
  • BNP to go door to door for hearts and votes     |     
  • Chittagong port tariffs increased up to 50 per cent     |     

দেশব্যাপী সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজামণ্ডপের নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ধর্মবিশ্বাস 2025-04-06, 6:39am

img_20250406_063717-e76aa3aed819506fea4f6e36a884887f1743899970.jpg




বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মহাঅষ্টমী, বাসন্তী পূজা ও পুণ্যস্নান উপলক্ষে অনুষ্ঠিত ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলো লাখো পুণ্যার্থীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পূজামণ্ডপ, স্নানঘাট ও গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থাপনায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সেনাসদস্যরা সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন।

শনিবার (৫ এপ্রিল) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নারায়ণগঞ্জের লাঙ্গলবন্দে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে স্নানের লগ্ন শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উৎসবে মেতে ওঠে দেশ-বিদেশ থেকে আগত লাখো পুণ্যার্থী। হিন্দু সম্প্রদায়ের এই মহাঅষ্টমী পুণ্যস্নান উৎসব শনিবার থেকে শুরু হয়ে দুদিনব্যাপী চলবে। ৬ এপ্রিল লাঙ্গলবন্দের ১৯টি ঘাটে লাখো পুণ্যার্থী এই পূণ্যস্নানে অংশ নেবেন। ভারত, শ্রীলংকা, নেপালসহ বিভিন্ন দেশের হাজারো পুণ্যার্থী এই পূণ্যস্নানে অংশ নেবেন বলে জানা যায়। এ ছাড়াও কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদে অনুষ্ঠিত পবিত্র অষ্টমী স্নানে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত কয়েক লাখ পুণ্যার্থী অংশগ্রহণ করেন। এ সকল ধর্মীয় উৎসবকে কেন্দ্র করে সেনাবাহিনী বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সার্বক্ষণিক সশস্ত্র টহল ও পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। পাশাপাশি, ট্রাফিক কন্ট্রোল পোস্ট ও চেকপোস্টের মাধ্যমে যাতায়াত ব্যবস্থাপনায় সেনাবাহিনী সার্বক্ষণিকভাবে সহায়তা করছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশের বিভিন্ন পূজা মণ্ডপে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মহাঅষ্টমী ও বাসন্তী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর, কক্সবাজারের রামু, টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর, গারাইল এবং ভূঞাপুর উপজেলায় ধলেশ্বরী নদীর তীরে, বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার শ্রী শ্রী বার্থী মন্দিরে ‘বার্ষিক মৈত্রী মহিমান্বিত পূজা’, ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার কোনাবাড়ি ঠাকুরবাড়ি মন্দিরে শ্যামা পূজা, কুমিল্লা ও চাঁদপুরের বিভিন্ন মণ্ডপে এবং রায়ের বাজার দুর্গা মন্দিরে পূজা উপলক্ষে বিপুলসংখ্যক পুণ্যার্থীর সমাগম ঘটে।

সেনাবাহিনী প্রতিটি পূজামণ্ডপ এলাকায় টহল ও নজরদারি জোরদার করে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখে। এ ছাড়াও সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে পূজা কমিটি ও পুরোহিতদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। যা সবার মাঝে আস্থার পরিবেশ তৈরি করে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ধর্মীয় সম্প্রীতি ও জাতীয় ঐক্যের এক উজ্জ্বল প্রতীক হিসেবে দেশের ধর্মীয় উৎসবসমূহে বরাবরের মতো এবারও নিরবচ্ছিন্ন নিরাপত্তা প্রদান করেছে। সেনাবাহিনীর পেশাদারিত্ব, তৎপরতা এবং আন্তরিকতা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আস্থা ও কৃতজ্ঞতা অর্জন করেছে। ভবিষ্যতেও দেশের যেকোনো ধর্মীয় ও জাতীয় আয়োজনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সদা প্রস্তুত থাকবে। আরটিভি