নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ওয়েবসাইট থেকে নিবন্ধন স্থগিত হওয়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ‘নৌকা’ প্রতীক সরিয়ে ফেলা হয়েছে। বুধবার (১৬ জুলাই) সকালে ইসির ওয়েবসাইটে দেখা যায় আওয়ামী লীগ (নিবন্ধন স্থগিত) নামের পাশে প্রতীক হিসেবে নৌকা নেই।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় জানিয়েছে, নৌকা প্রতীক নিয়ে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আগের সিদ্ধান্তই আছে কমিশনের। অর্থাৎ আওয়ামী লীগ দল হিসেবে বিলুপ্ত হলে তখন নৌকা প্রতীক তফসিল থেকে বাদ দেবে কমিশন।
ইসি সচিবালয় আরও জানিয়েছে, তবে কোনো রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন স্থগিত বা বাতিল হলে সেটি ওয়েবসাইট থেকে সরাতে পারে ইসি। সেটাই হতে পারে।
এর আগে ইসি সচিবালয়ের সিস্টেম ম্যানেজার মো. রফিকুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে নৌকা প্রতীকটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন। পরবর্তীতে গত ১২ মে সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগ ও তার সব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে। এরপর নির্বাচন কমিশনও দলটির নিবন্ধন স্থগিত করে।
এর আগে গত ১৩ জুলাই সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আব্দুর রহমানেল মাছউদ জানিয়েছিলেন, আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত হলেও নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে এখনই নৌকা বাদ দেয়া হচ্ছে না। সেইসঙ্গে এখনই শাপলা প্রতীক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে না বলেও জানান তিনি।
ওইদিন দুপুরে নিবন্ধন স্থগিতের পরেও নির্বাচনী প্রতীকের তালিকায় নৌকা থেকে যাওয়ার ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে হওয়া বৈঠকে দলটির পক্ষ থেকে নৌকা প্রতীক বাদ দেয়ার দাবি জানানো হয়।
এ নিয়ে মঙ্গলবার রাতে এক ফেসবুক পোস্টে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ইসির সমালোচনা করেন। তিনি প্রশ্ন রাখেন, অভিশপ্ত ‘নৌকা’ মার্কাটাকে আপনারা কোন বিবেচনায় আবার শিডিউলভুক্ত করতে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠালেন?
তিনি লিখেছেন, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আপনারা এই গণঅভ্যুত্থানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখালেন। কাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে এবং কাদের দিতে এই মার্কা রেখে দিলেন?