News update
  • Stocks sink on week’s last trading day; DSEX plunges 122 points     |     
  • Former Sramik Dal leader shot dead in Chattogram     |     
  • Trump Ends Historic US Shutdown After 43-Day Standoff     |     
  • Dhaka’s air quality ‘very unhealthy’ on Friday morning     |     
  • Golden harvests, rising straw prices bring smiles to Rangpur farmers     |     

কোটাসহ বেশ কিছু পরিবর্তন এনে স্কুলে ভর্তির নতুন নীতিমালা প্রকাশ

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক পরীক্ষা 2025-11-14, 10:41am

ertertertefsdf-3cb30de25b632379be2bf308922877931763095274.jpg




সরকারি স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তির নতুন নীতিমালা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কোটাসহ বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে নতুন এ নীতিমালায়।

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে সচিব রেহেনা পারভীন স্বাক্ষরিত এ নীতিমালা প্রকাশ করা হয়।

নতুন নীতিমালা অনুযায়ী— সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অ্যান্ট্রি (প্রবেশ) শ্রেণিতে এবং আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে নবম শ্রেণি পর্যন্ত সব শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে।

‘জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০’ অনুযায়ী ৬ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে। তবে, কাঙ্ক্ষিত শিক্ষাবর্ষের ১ জানুয়ারি তারিখে শিক্ষার্থীর সর্বনিম্ন বয়স ৫ বছর এবং ৩১ ডিসেম্বর তারিখে সর্বোচ্চ ৭ বছর পর্যন্ত হবে। যেমন: ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকালে কোনো শিক্ষার্থীর বয়সসীমা সর্বনিম্ন ৫ বছর হবে অর্থাৎ, সর্বনিম্ন জন্ম তারিখ হবে ১ জানুয়ারি ২০২১ পর্যন্ত। সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৭ বছর পর্যন্ত অর্থাৎ, জন্ম তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত।

পরবর্তী শ্রেণিগুলোতে বয়স নির্ধারণের বিষয়টি প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে প্রযোজ্য হবে। শিক্ষার্থীর বয়স নির্ধারণের জন্য ভর্তির আবেদন ফরমের সঙ্গে অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের বয়স নির্ধারণে সর্বোচ্চ ৫ বছরের অতিরিক্ত সুবিধা দেওয়া যাবে।

এ ছাড়া, নীতিমালা অনুযায়ী, ২০২৬ শিক্ষাবর্ষ হবে ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রতি শ্রেণির শাখায় শিক্ষার্থী সংখ্যা হবে সর্বোচ্চ ৫৫ জন।

ভর্তির তারিখ ও ফি

কেন্দ্রীয়ভাবে ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠানের তারিখ ও সময় এবং আবেদন ফি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ নির্ধারণ করবে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) কেন্দ্রীয়ভাবে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করবে।

বিদ্যালয় পছন্দক্রম যেভাবে

সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আবেদনের ক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ পাঁচটি বিদ্যালয়ে ভর্তির পছন্দক্রম দিতে পারবে। তবে ডাবল শিফট স্কুলে উভয় শিফট পছন্দ করলে দুটি পছন্দক্রম (দুটি বিদ্যালয় পছন্দক্রম) সম্পাদন হয়েছে বলে গণ্য হবে।

বিদ্যমান অনলাইন ভর্তি আবেদন প্রক্রিয়ায় আরও স্বচ্ছতা আনার লক্ষ্যে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীর পছন্দের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো থেকে যেকোনো একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চূড়ান্ত করে নিশ্চিত করতে হবে। বিষয়টি সফটওয়ারে অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

ক্যাচমেন্ট এরিয়া

এবারও সরকারি বিদ্যালয়ের আবেদনের ক্ষেত্রে ঢাকা মহানগরের ৪৪টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় তিনটি ভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত থাকবে। ঢাকা মহানগরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন সর্বোচ্চ তিনটি থানাকে ‘ক্যাচমেন্ট এরিয়া’ হিসেবে নির্ধারণ করতে পারবেন। ক্যাচমেন্ট এরিয়ার শিক্ষার্থীদের জন্য ৪০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত (কোটা) রাখা হবে।

কার জন্য কত শতাংশ কোটা

ক্যাচমেন্ট এরিয়ার জন্য ৪০ শতাংশ কোটা এবারও বহাল রাখা হয়েছে। এ ছাড়া গতবারের মতো এবারও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ আর বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য ২ শতাংশ কোটা রয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর-সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের ১ শতাংশ কোটা রাখা হয়েছে। তবে এবার কোটা বণ্টনের ক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ০.৫ শতাংশ এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ দপ্তর-সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ০.৫ শতাংশ পৃথক করে দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া যমজ ও সহোদর কোটার ক্ষেত্রেও কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিগত বছর যমজ কোটা ছিল ৩ শতাংশ। এটি এবার কমিয়ে ২ শতাংশ করা হয়েছে। আর সহোদর কোটা বাড়িয়ে ৩ শতাংশ করা হয়েছে। আগে সহোদর কোটা ছিল ২ শতাংশ। তবে জমজ ও সহোদর কোটার জন্য এক দম্পতির সর্বোচ্চ তিন সন্তান পর্যন্ত এটি কার্যকর থাকবে।

অন্যদিকে, ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পাস করা শিক্ষার্থীদের জন্য ১০ শতাংশ আসন অবশ্যই বরাদ্দ রাখতে হবে।

ভর্তি কমিটি

সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য ঢাকা মহানগর ভর্তি কমিটিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালকের নেতৃত্বে, জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসকের (ডিসি) নেতৃত্বে, উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নেতৃত্বে ভর্তি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আবেদন-লটারির সম্ভাব্য তারিখ

নীতিমালা অনুযায়ী—স্কুলে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি, আবেদন, লটারি ও ভর্তির সময়সূচি ঠিক করবে মাউশি। গত ১০ নভেম্বর মাউশির এক সভায় স্কুলে ভর্তির কার্যক্রম সম্পন্নে সম্ভাব্য সময়সূচি ঠিক করা হয়েছে।

সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ১৯ নভেম্বরের মধ্যে এ ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। ২১ নভেম্বর থেকে অনলাইনে আবেদন গ্রহণ শুরু হবে, যা চলবে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আবেদন প্রক্রিয়া শেষে আগামী ১৪ ডিসেম্বর ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠিত হতে পারে। লটারি হওয়ার পর তাতে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা ১৭-২১ ডিসেম্বর ভর্তি হতে পারবে।আরটিভি