News update
  • France to Break Away from UK & US in Recognising Palestine as Nation State     |     
  • Storm Alert Issued for Dhaka and Eight Other Regions     |     
  • 58 killed in deadliest US strike on Yemen     |     
  • BNP Opposes Reforms to Constitution’s Core Principles      |     
  • Time to Repair Bangladesh–Pakistan Ties     |     

‘গায়েবি মামলা’র অপসংস্কৃতির সংস্কার চান ৯৫ শতাংশ মানুষ

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক পুলিশ 2024-12-03, 3:05pm

img_20241203_150301-d040a726d8b60cdfbd7066307613850c1733216758.jpg




‘কেমন পুলিশ চাই’ শীর্ষক জরিপে ৯৫ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন তারা ভুয়া বা গায়েবি মামলার অপসংস্কৃতির সংস্কার চান। পুলিশ সংস্কার কমিশনের এমন মতামত জানিয়েছেন তারা।

জনমত জরিপের ফলাফল মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) থেকে পুলিশ সংস্কার কমিশনের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাচ্ছে।

জরিপে প্রশ্ন রাখা হয়, বিগত কর্তৃত্ববাদী সরকারের আমলে পুলিশ কর্তৃক গায়েবি/ভুয়া মামলা দিয়ে বিরোধী দলমত দমন করে আইনের অপব্যবহারের অপসংস্কৃতি চালু হয়েছে। আইনের অপব্যবহার রোধকল্পে আপনি কি মামলা রুজুর ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৯৯৮ এর সংশ্লিষ্ট ধারাটির সংস্কার চান?

এতে ২৩ হাজার ২১৬ জন বা ৯৫ শতাংশ উত্তরদাতা ‘হ্যাঁ’ জবাব দেন। ‘না’ জবাব দেন ১ হাজার ২২৬ জন বা ৫ শতাংশ মানুষ।

প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত পুলিশ চান ৮৮ দশমিক ৭ শতাংশ মানুষ। নিরপেক্ষ পুলিশ চান ৮৬ শতাংশ মানুষ। দুর্নীতিমুক্ত পুলিশ চান ৮৪ শতাংশ মানুষ।

পুলিশকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের অবসান চান ৮৯ দশমিক ৫ শতাংশ উত্তরদাতা। ক্ষমতার অপব্যবহার করে পুলিশের দুর্নীতি বন্ধ চায় ৭৭ দশমিক ৯ শতাংশ উত্তরদাতা। গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মানবাধিকার চরম মানবিকতার লঙ্ঘন বিবেচনায় অপরাধী পুলিশকে জবাবদিহি ও শাস্তির আওতায় আনার পক্ষে মত দিয়েছে ৭৪ দশমিক ৯ শতাংশ উত্তরদাতা।

জরিপে অংশ নেওয়া ৮২ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ সালের ৫৪ ধারায় পুলিশকে প্রদত্ত বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতারের ক্ষমতাকে সহজে অপব্যবহারযোগ্য আইনের বিধান মনে করেন।

এজন্য ধারাটির যুগোপযোগী সংস্কার চান ৪৬ দশমিক ২ শতাংশ মানুষ । ঔপনিবেশিক আমলে প্রণীত ৫৪ ধারায় বিধান যুগোপযোগী করার অর্থ গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সমুন্নত রেখে বিজ্ঞানসম্মত জীবনমাত্রার সুফলযুক্ত ব্যবস্থা। এক্ষেত্রে ৩৯.৭ শতাংশ উচ্চ আদালতের সুপারিশমতে ৫৪ ধারায় বিধান সংশোধনের পক্ষে মত দিয়েছেন।

জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, বিক্ষোভ মিছিল মোকাবিলা ও বিরোধী দলমত দমনে মাত্রারিক্ত বল প্রয়োগ করে মানবাধিকার লঙ্ঘন ফৌজদারি অপরাধ বিবেচনায় সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যের শাস্তি চান ৭১ দশমিক ৫ শতাংশ।

৬৮ দশমিক ৮ শতাংশ উত্তরদাতা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার নির্দেশনা অন্তর্ভুক্ত করে প্রতিস্থাপিত প্রমিত পদ্ধতি অনুসরণকে প্রবিধানভুক্ত করার পক্ষে মত দিয়েছেন। তাছাড়া মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও অনুগত পুলিশ সদস্যকে উৎসাহিত করতে বার্ষিক কর্মমূল্যায়নে পুরস্কার ও তিরস্কারের ব্যবস্থা রাখার পক্ষে ৬৮ দশমিক ২৭ শতাংশ সমর্থন করেছেন।

জরিপের এই প্রশ্নে মতামত অংশে বলা হয়েছে, যেহেতু মানবাধিকার বিষয়টি বর্তমান প্রেক্ষাপটে একটি স্পর্শকাতক ও সহানুভূতিপ্রবণ বিষয় হিসেবে গুরুত্ব পাচ্ছে। তাই মানবাধিকার লঙ্ঘনজনিত অপরাধের শাস্তি সাধারণ নাগরিকের চেয়ে ইউনিফর্মধারী পুলিশ বাহিনীর জন্য দ্বিগুণ নির্ধারণ করে আইনভুক্ত করার জন্য জোর সুপারিশ করা যায়।

জরিপে দেখা গেছে, সভাসমাবেশ আয়োজনে মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনের পূর্বানুমতি গ্রহণকে মৌলিক অধিকার পরিপন্থি মনে করেন ৫১ দশমিক ৮ শতাংশ উত্তরদাতা। অন্যদিকে প্রত্যয়টির সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত নন ৩৭ দশমিক ৪ শতাংশ। ১০ দশমিক ৮ শতাংশ উত্তরদাতা এ বিষয়ে অনিশ্চিত বা দ্বিধান্বিত।আরটিভি