পুলিশ সদস্যদের পদোন্নতিসহ অন্য বিষয়ে অপ্রয়োজনীয় তদবির থেকে বিরত থাকার জন্য জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়৷
সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এতে সই করেন উপ-সচিব মো. মাহবুবুর রহমান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশে কর্মরত কতিপয় সদস্য অফিস চলাকালে নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কর্মস্থল ত্যাগ করে মন্ত্রণালয়ে হাজির হয়ে বিভিন্ন ধরনের তদবির করে থাকেন, যা বর্তমানে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে। তাদের এমন তদবিরের কারণে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিব্রত হচ্ছেন এবং দৈনন্দিন সরকারি কাজ ব্যাহত হচ্ছে। তাদের এ কার্যকলাপ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ নিরুৎসাহিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পুলিশ সদর দফতর থেকে কতিপয় বিষয়ে কার্যক্রম গ্রহণের ক্ষেত্রে শেষ মুহূর্তে পত্র পাঠানো হয় এবং পত্রের বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের আগেই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বিভিন্ন উপায়ে যোগাযোগ করে থাকেন। এতে যথাযথ সিদ্ধান্ত নিতে কোনো কোনো সময় জটিলতা তৈরি হয়। অধিকন্তু পুলিশ সদর দফতর থেকে পাঠানো বিভিন্ন পত্রে অসম্পূর্ণ প্রস্তাব লক্ষ্য করা যায়। আবার কিছু ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়কে এড়িয়ে অন্য বিভাগ/মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সরাসরি পত্র নিয়ে যোগাযোগ করা হয়ে থাকে।
এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় অবহিত না থাকায় পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণে নানা ধরনের বিঘ্ন সৃষ্টি হয়৷ এ অবস্থায় জরুরি নির্দেশনাসমূহ যথাযথভাবে প্রতিপালন করতে অনুরোধ করা হলো।
নির্দেশানাগুলো হলো:
> নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত কর্মস্থল ত্যাগ করা যাবে না।
> পদোন্নতি বা অন্য কোনো বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে অপ্রয়োজনীয় তদবির থেকে বিরত থাকতে হবে।
> যথাসময়ে স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রস্তাব পাঠাতে হবে।
> বহিঃবাংলাদেশ ছুটির ক্ষেত্রে এতদসংশ্লিষ্ট কাগজপত্র যথাযথভাবে যাচাইপূর্বক প্রেরণ করতে হবে।
> চিকিৎসাজনিত বহিঃবাংলাদেশ ছুটির ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ মেডিকেল বোর্ডের প্রত্যয়ন ও চিকিৎসা প্রতিবেদন যাচাইপূর্বক পাঠাতে হবে।
> আন্তঃমন্ত্রণালয় যোগাযোগ/পত্র প্রেরণের ক্ষেত্রে ‘রুলস অব বিজনেস’ যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।
> প্রত্যেক কর্মকর্তা কর্তৃক নিজ নিজ জেমস আইডিতে লগইনপূর্বক তথ্য হালনাগাদ রাখতে হবে।