News update
  • ACC probes Tk 20bn money laundering by ex-diplomat Saida Muna     |     
  • Covid-19: One death, 25 new cases reported in 24hrs     |     
  • Israel, Iran hit deadly strikes on 4th day; no sign of pause     |     
  • SAARC Nations Urged to Back Journalism in Mother Tongues     |     
  • Index gains mark early trading at Dhaka, Ctg bourses     |     

জোহানেসবার্গে অভিবাসীদের ভবনে আগুন, অন্তত ৭০ জন নিহত

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক প্রবাস 2023-09-01, 3:24pm

73b2e600-47de-11ee-a8ff-b1902e8aa819-2e0c0bb96759074bc215e8db5e9a2a7c1693560270.jpg




দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ শহরে একটি ভবনে বুধবার রাতে আগুন লেগে ৭০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন এবং আহত হয়েছেন আরও অনেকে। দমকল কর্মীরা ভবনটিতে ব্যাপক উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।

পাঁচতলা ওই ভবনটি শহরের একটি বাণিজ্যিক এলাকায় অবস্থিত। তবে সেখানে অবৈধ ব্যবস্থাপনায় লোকজন বসবাস করতো। অর্থাৎ বসবাসের জন্য ভবনটি উপযোগী না থাকলেও লোকজন নিজেদের মতো করেই সেখানে বসবাস করতো।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ভবনটিতে যারা বসবাস করতো তাদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিল অভিবাসী লোকজন।

ভবনটি শহরের যে এলাকায় সে জায়গাটি ‘হাইজ্যাকড’ বিল্ডিং এর এলাকা হিসেবে পরিচিত। যেসব ভবনে অবৈধ অভিবাসীরা বসবাস করে সেসব ভবনকে বোঝানোর জন্য স্থানীয়ভাবে 'হাইজ্যাকড বিল্ডিং' কথা ব্যবহার করা হয়।

একজন দমকল কর্মী বলেছেন, অনেকেই ভবনটির ভেতরে আটকা পড়ে আছেন এবং ভবনটির ভেতরে এমন করে কিছু অস্থায়ী কাঠামো তৈরি করা হয়েছে যাতে সহজেই আগুন লাগতে পারে।

ভবনটিতে যারা থাকতেন তাদের অনেকের স্বজনরা বাইরে ভিড় করছেন। এক নারী জানিয়েছেন ভবনটির অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকে তার ২৪ বছর বয়সী কন্যা বাস করতেন।

“খবর পেয়েই আমি এখানে ছুটে এসেছি। আমি জানিনা আমার মেয়ে বেঁচে আছে কি-না,” সাংবাদিকদের বলছিলেন তিনি।

ভবনটিতে অতিরিক্ত মানুষ বাস করতো বলে অন্যরা যে তথ্য দিয়েছে- সে প্রসঙ্গে ওই নারী জানান, “অবস্থা খুবই বাজে ছিল। বসবাসের উপযোগী জায়গা ছিলো না এটা। সেজন্য তাকে (মেয়েকে) আমি বাড়ি ফিরিয়ে নিতে চেষ্টা করেছিলাম”।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যেহেতু আনুষ্ঠানিকভাবে কেউ ভবনটি ভাড়া বা লিজ নেয়নি সেহেতু এর কোনো রক্ষণাবেক্ষণও হতো না।

শহর কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলের পাশেই এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ভবনটির মালিকানা তাদেরই।

তারা বলেন, শহরের অপরাধী চক্রগুলো গরীব ও ঝুঁকিতে থাকা মানুষকে নিজেদের দলে নেয়ার চেষ্টা করে। তারাই এসব ভবন নিয়ন্ত্রণে রেখে বিপজ্জনকভাবে এসব লোকজনকে জড়ো করে।

দেশটির এমারজেন্সি সার্ভিসের মুখপাত্র রবার্ট মুলাউদজি বিবিসিকে জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় রাত দেড়টার দিকে ভবনটিতে অগ্নিকাণ্ডের সূচনা হয়।

পরে দমকল বাহিনীর কর্মীরা এসে জোহানেসবার্গ সিটি সেন্টার এলাকার ওই ভবনটি থেকে লোকজনকে সরিয়ে আনার চেষ্টা করে এবং মরদেহগুলো উদ্ধার শুরু করে। অনেককেই জীবিত উদ্ধার সম্ভব হয়েছে।

সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন শহরের নির্বাহী মেয়র কাবেলো গোয়ামান্ডা।

এক্স-এ (সাবেক টুইটারে) ইমারজেন্সি সার্ভিসের মুখপাত্রের ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে পুরো এলাকা পুলিশ ঘিরে রেখেছে এবং সেখানে দমকল বাহিনীর যানবাহন ও অ্যাম্বুলেন্স সারিবদ্ধ ভাবে রাখা আছে।

রবার্ট মুলাউদজি স্থানীয় একটি টেলিভিশনে বলেছেন পাঁচ তলা ওই ভবনটি আগেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছিলো কিন্তু তারপরেও লোকজন সেখানে বসবাস করতো। এখন দমকল কর্মীরা প্রতি ফ্লোরে তল্লাশি চালাচ্ছে।

তিনি জানান যে তার গত ২২ বছরের কর্মজীবনে তিনি এমন অবস্থা আরও দেখেননি। তবে ভবনটিতে কেন বা কীভাবে আগুন লাগলো সে সম্পর্কে তিনি কিছু বলেননি।

অবশ্য মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে জানিয়ে তিনি বলেছেন যে প্রতিটি ফ্লোরেই তল্লাশি চালাচ্ছেন এবং সম্ভাব্য প্রতিটি ফ্লোর থেকে মরদেহ উদ্ধারের চেষ্টা করছেন তারা। বিবিসি বাংলা