News update
  • UNRWA Situation Report on Crisis in Gaza & Occupied West Bank     |     
  • Intimidation or bloodshed cannot halt Bangladesh’s march to democracy     |     
  • Khaleda Zia integral to an important chapter in BD history: Yunus     |     
  • Enthusiasm marks Victory Day celebrations across Bangladesh     |     
  • Dhaka-Delhi ties deep; to be shaped by trust, dignity, mutual respect     |     

মিয়ানমারের বন্দি শিবির থেকে মুক্ত ১৯ বাংলাদেশি ঢাকায় পৌঁছেছেন

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক প্রবাস 2025-03-19, 12:58pm

rtertreter-79585b39ac6ac55f605f35a4e2b920d61742367521.jpg




অতিরিক্ত অর্থ আয়ের লোভে দুবাই থেকে থাইল্যান্ডে যাওয়ার চেষ্টাকালে মানব পাচারকারীর খপ্পরে পড়েন ১৯ বাংলাদেশি। মানবপাচারকারীরা তাদের থাইল্যান্ডের নেওয়ার কথা বলে মিয়ানমার-থাইল্যান্ড সীমান্তের মায়াওয়াডি-মেসোট অঞ্চলের বন্দি শিবিরে নিয়ে যায়। অবশেষে তাদের মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে।

বুধবার (১৯ মার্চ) রাত পৌনে ২টার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দেরে অবতরণ করেন মুক্ত বাংলাদেশিরা।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ইয়াঙ্গুন এবং ব্যাংককের বাংলাদেশ দূতাবাসের কূটনৈতিক তৎপরতায় তাদের মুক্ত করা হয়।

মিয়ানমারের বন্দি শিবির থেকে মুক্ত করা ১৯ বাংলাদেশি নাগরিককে থাইল্যান্ডে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাদের দেশে ফেরত আনা হলো।

জানা গেছে, অতিরিক্ত অর্থ কামানোর লোভে এই বাংলাদেশিরা দুবাই থেকে থাইল্যান্ড যান। থাইল্যান্ডের নামে এই বাংলাদেশিদের মানব পাচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা মিয়ানমার-থাইল্যান্ড সীমান্তের মায়াওয়াডি-মেসোট অঞ্চলের বন্দি শিবিরে নিয়ে যান। এসব বন্দি শিবিরগুলো মূলত মিয়ানমারে অবস্থিত। সেখানে প্রায় ৩০টি বন্দি শিবির রয়েছে। থাইল্যান্ড-মিয়ানমার যৌথ বাহিনী অতি সম্প্রতি অভিযান চালিয়ে এরকম ৪/৫টি বন্দি শিবির গুঁড়িয়ে দিয়েছে। এসব বন্দি শিবিরে আইটি খাতের লোকজনদের অতিরিক্ত অর্থ আয়ের লোভ দেখিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর জোরপূর্বক কাজ করানো হয়, অনেক সময় টার্গেট পূরণ করতে না পারলে নির্যাতন করা হয় এবং এসব বন্দি শিবিরের এলাকা থেকে কাউকে বাইরে বের হতে দেওয়া হয় না।

সূত্রগুলো আরও জানায়, এসব বন্দি শিবির থেকে এই ১৯ জন বাংলাদেশিকে উদ্ধার করা হয়। এই নিয়ে মোট ২২ জন বাংলাদেশি মিয়ানমারের বন্দি শিবির থেকে মুক্ত করা হয়।

এর আগে, এমন একটি বন্দি শিবির থেকে এক বাংলাদেশি পালিয়ে মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুণে এসে আশ্রয় নেয়। বিষয়টি তখন ইয়াঙ্গুনের বাংলাদেশ দূতাবাস জানতে পারে। ওই বাংলাদেশি প্রায় একমাস ইয়াঙ্গুণে আশ্রয় নেওয়ার পর বাংলাদেশ দূতাবাসের কূটনৈতিক তৎপরতায় দেশে ফেরেন। এরপর অন্য বাংলাদেশিদের উদ্ধারের জন্য বাংলাদেশ দূতাবাস মিয়ানমারের সঙ্গে কূটনৈতিক চ্যানেলে যোগাযোগ করে।

মিয়ানমার সরকার বাংলাদেশিদের উদ্ধারে সহযোগিতার আশ্বাস দেয়। মিয়ানমার সরকার ইয়াঙ্গুন দূতাবাসকে জানায়, দেশটির সীমান্তবর্তী মায়াওয়াডি-মেসোট অঞ্চল স্পর্শকাতর এলাকা, সেখানে বাইরের কারোর প্রবেশের অনুমতি নাই। তবে বাংলাদেশ যদি থাইল্যান্ড সরকারকে রাজি করাতে পারে তবেই বাংলাদেশিদের মুক্তি পেতে সহজ হবে। পরবর্তীতে ইয়াঙ্গুনের বাংলাদেশ দূতাবাস থাইল্যান্ডে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি অবগত করে। থাইল্যান্ডে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস এই বিষয়ে সহযোগিতা চাইলে থাইল্যান্ড সরকার অনুমতি দেয়। যার ফলশ্রুতিতে মঙ্গলবার ১৯ বাংলাদেশিকে মিয়ানমারের ওই অঞ্চল থেকে উদ্ধার করে ব্যাংককে পাঠানো সম্ভব হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানায়, মিয়ানমারের সীমান্তর্বর্তী এসব বন্দি শিবির থেকে চীনের প্রায় ৬ হাজার নাগরিক, ইন্দোনেশিয়ার প্রায় ৪০০ জন এবং ভারতের ২৮৫ জন নাগরিকদের উদ্ধার করে নিজ নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন করা সম্ভব হয়েছে।

সম্প্রতি ভিয়েতনাম ও হংকংয়ে চাকরির প্রলোভনে ভিজিট ভিসায় গমন করে অনেকেই প্রতারণার শিকার হচ্ছে। সেজন্য নৌপথে মিয়ানমার, থাইল্যান্ড অথবা ইন্দোনেশিয়া হয়ে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার প্রস্তাব পেলে অবশ্য যাচাইপূর্বক গমন করার পরামর্শ দিয়েছেন স্থানীয় কূটনীতিকরা।

স্থানীয় এক কূটনীতিক জানান, সম্প্রতি মানবপাচারের এই রুটে গমন করে বেশকিছু বাংলাদেশি নাগরিক অস্ট্রেলিয়ান কোস্টগার্ড হাতে আটক হয়ে দেশে ফেরত এসেছে।আরটিভি