বিপিএলে নতুন ভেন্যু হিসেবে যুক্ত হচ্ছে রাজশাহীর নাম, আলোচনায় আছে বরিশালও। যদিও পরের মৌসুমের আগে সময় খুব কম থাকায়, দক্ষিণাঞ্চলের এই ভেন্যুকে এবার নাও দেখা যেতে পারে। দ্বাদশ আসরে ফ্র্যাঞ্চাইজি তালিকাতেও আসবে পরিবর্তন। দুর্দান্ত রাজশাহী-চিটাগং কিংসের থাকার সম্ভাবনা অনেকটাই কম, আগ্রহ দেখাচ্ছে নোয়াখালী।
১৩ বছরেও হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে বিপিএল আয়োজনে ব্যর্থ বিসিবি। মিরপুর কেন্দ্রিকই রয়ে গেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট। কালেভদ্রে, কিছু ম্যাচ পায় চট্টগ্রাম-সিলেট।
তাতে বিপিএলের উন্মাদনা বাড়ানো যায়নি ১ যুগেও। একটা সময় খুলনা ভেন্যু হিসেবে ব্যবহার করা হলেও, কালের বিবর্তনে সে স্টেডিয়ামও মৃতপ্রায়। এমন দশার কারণ একটাই- নীতিনির্ধারকদের সদিচ্ছার অভাব।
আমিনুল ইসলাম বুলবুলের নেতৃত্বে কাটতে পারে সেই রুগ্ণ দশা। বিপিএলকে আরো ছড়িয়ে দিতে প্রথমবারের মতো এই টুর্নামেন্ট যাচ্ছে উত্তরাঞ্চলে। রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে খেলা গড়ানোর সিদ্ধান্ত অনেকটাই পাকা। বোর্ডের একটি সূত্র জানিয়েছে, খোদ যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার আগ্রহের কারণেই, আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে রাজশাহী বাসীরা।
পাশাপাশি ক্রিকেট প্রেমের কারণে আলোচনায় আছে বরিশাল। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের বিভাগ থেকে পৃষ্ঠপোষকদের আগ্রহ টের পাচ্ছে বিসিবি। এরই মধ্যে বেশকিছু সংস্কার কাজ চলমান। বসানো হয়েছে নতুন সিট, স্কোরবোর্ড। যদিও আউটফিল্ডের দুরাবস্থার কারণে দ্বাদশ আসরে দক্ষিণাঞ্চলে নাও দেখা যেতে পারে বিপিএল।
বিসিবির সবশেষ সভায় বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিল নতুন করে গঠনের পাশাপাশি, সিদ্ধান্ত এসেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর ব্যাপারে। একাদশ আসরে রাজশাহী-চিটাগাংয়ের আর্থিক ইস্যু টনক নড়িয়েছে নীতিনির্ধারকদের। পরের আসরে দেখা যাবে না দুর্দান্ত রাজশাহীকে, সুযোগ কম চিটাগং কিংসের। ব্যাংক গ্যারান্টি নিয়ে এই দুই দলকে রিপ্লেস করার চেষ্টা করা হবে। প্রয়োজনে দল কমিয়ে এই টুর্নামেন্ট আয়োজনেও সায় দিয়েছে বিসিবি পরিচালকরা।
নতুন দল নেয়ায় আগ্রহ বেশি নোয়াখালীর একটি স্বনামধন্য গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রির। সেখানকার ক্রিকেটপ্রেমী মানুষের কথা ভেবেই ব্যাংক গ্যারান্টি দিয়ে লম্বা সময়ের জন্য বিপিএলে যুক্ত হতে এরই মধ্যে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত কারা দল পাচ্ছে, সে সিদ্ধান্ত নিতে আরো সময় নেবে মাহবুব আনামের নেতৃত্বাধীন নতুন গভর্নিং কাউন্সিল।