News update
  • OIC Condemns Ecuador’s Opening of a Diplomatic Office in Al-Quds     |     
  • No escape, death follows families in Gaza wherever they go     |     
  • Armed forces' magistracy powers extended by 60 days     |     
  • Hamid's departure: Body formed, Kishoreganj SP withdrawn     |     
  • The Taliban Took Everything – Even My Hope     |     

ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়া ‘ঘিবলি আর্ট’ আসলে কী?

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 2025-04-04, 9:03am

retretret-ff680f64cdf3da5296ce4426c7426b601743735823.jpg




বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়েছে ঘিবলি আর্ট। এটি মূলত স্টুডিও ‘ঘিবলি’ -এর অ্যানিমেশন স্টাইলকে বোঝানো হয়। এটি জাপানের বিখ্যাত অ্যানিমেশন স্টুডিও, যা হায়াও মিয়াজাকি এবং ইসাও তাকাহাতা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

বিভিন্ন ছবিকে অ্যানিমেশনের আদলে নতুন ভাবে বানিয়ে দিয়েছে চ্যাটজিপিটি-র নতুন ভার্সন। এই ধরনের অ্যানিমেশনের নাম ঘিবলি স্টাইল। যা নিয়েই মেতেছে চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারীরা।

ঘিবলি আর্টের বৈশিষ্ট্য-

১. হাতের আঁকা সফট এবং ডিটেইলড ব্যাকগ্রাউন্ড – প্রকৃতি, বাড়িঘর, আকাশ, পানি ইত্যাদি খুব সূক্ষ্মভাবে আঁকা হয়।

২. ক্যারেক্টার ডিজাইন – সাধারণত বড় বড় চোখ, এক্সপ্রেসিভ মুখাবয়ব এবং সহজ, কিন্তু সুন্দর ডিজাইন থাকে।

৩. জীবন্ত রঙ ও আলো-ছায়ার ব্যবহার – বাস্তবধর্মী কিন্তু স্বপ্নময় অনুভূতি দেয়।

৪. জাপানি সংস্কৃতি ও প্রকৃতির গভীর সংযোগ – স্টুডিও ঘিবলির অনেক সিনেমায় জাপানি লোককাহিনি, প্রকৃতি ও জাদুকরী বিষয় উঠে আসে।

সম্প্রতি ওপেন এআই এনেছে GPT-4o ভার্সন। সেই ভার্সনেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্সের মাধ্যমে তৈরি করা যাচ্ছে ঘিবলি স্টাইলের ছবি। ওপেনআই-এর কর্তা স্যাম অল্টম্যানও ঘিবলি স্টাইলের ছবি দিয়েছেন নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের ডিপি-তে। এর পর থেকে এই ধরনের ছবিতে ছেয়ে গেছে বিভিন্ন মাধ্যম। কিন্তু এই আবহেই মাথাচাড়া দিচ্ছে একটি প্রশ্ন। তা হলো কপিরাইট কনসার্ন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার আবহে কোনও শিল্পীর তার নিজের সৃষ্টির কপিরাইট কী ভাবে রক্ষা করা যাবে, সেই প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে।

মিয়াজাকি নিজের হাতে যা সৃষ্টি করছিলেন, তাই নকল করে দিচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মডেল। এই মডেল তৈরির আগে ওপেন এআই ঘিবলি স্টুডিয়োর থেকে আদৌ অনুমতি নিয়েছে কি না, সে প্রশ্নও ঘুরপাক খাচ্ছে। যদিও এ ব্যাপারে ঘিবলি স্টুডিয়ো এখনও পর্যন্ত কোনও বিবৃতি দেয়নি। ওপেন এআই-ও এ বিষয়ে সংবাদ সংস্থার প্রশ্নের উত্তর দেয়নি। তবে এই আবহে ঘিবলির সৃষ্টিকর্তা মিয়াজাকির অতীতে বলা কিছু কথা আবারও সামনে এসেছে।

২০১৬ সালে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে তৈরি অ্যানিমেশনকে ‘ইনসাল্ট টু লাইফ ইটসেল্ফ’ বলেছিলেন মিয়াজাকি। এই কথার মাধ্যমে এআই-এর তৈরি অ্যানিমেশন নিয়ে নিজের অসন্তোষই ব্যক্ত করেছিলেন।

তিনি জানিয়েছিলেন, এই প্রযুক্তিকে নিজের সৃষ্টিতে অন্তর্ভুক্ত করতে চান না তিনি। এ নিয়ে বলেছিলেন, ‘আমি এ সব দেখতে পারি না। একে আকর্ষণীয় বলে মনে করি না। আমি একেবারেই বিরক্ত। আপনি যদি সত্যিই ভীতিকর জিনিস তৈরি করতে চান, তাহলে আপনি এগিয়ে গিয়ে তা করতে পারেন। আমি কখনই এই প্রযুক্তিটি আমার কাজে অন্তর্ভুক্ত করতে চাই না। আমি দৃঢ়ভাবে মনে করি, এটি একধরনের অপমান।’

ঘিবলি আর্ট কারা পছন্দ করেন?

যারা সুবিধা-সম্পন্ন অথচ হাতে আঁকা আর্টস্টাইল পছন্দ করেন, জাদুকরী ও নস্টালজিক অনুভূতি খুঁজে পান, তাদের কাছে এটি খুব প্রিয়। অনেক ডিজিটাল আর্টিস্টও এখন ঘিবলি স্টাইলের ইন্সপিরেশনে চিত্র আঁকেন।