News update
  • Guterres Urges Leaders to Act as UNGA Week Begins     |     
  • BNP to go door to door for hearts and votes     |     
  • Chittagong port tariffs increased up to 50 per cent     |     
  • Rising Heat Cost Bangladesh $1.8 Billion in 2024     |     
  • Stocks extend gains; turnover drops in Dhaka, rises in Ctg     |     

পয়েন্ট-অ্যান্ড-শুট থেকে ফ্ল্যাশস্ন্যাপ টেকনোলজি: স্মার্টফোন ফটোগ্রাফির রূপান্তরের গল্প

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 2025-04-28, 6:20pm

dwerwrwe-3ffe59679b0a701073ec34f5d0ac481d1745842835.jpg




আমরা প্রায় সবাই সুন্দর ছবি তুলতে ভালোবাসি। ছবি তোলার প্রতি আমাদের এই দুর্বলতার কারণে আজকাল প্রযুক্তি-সচেতন ব্যবহারকারীরা ফোনে কেমন ক্যামেরা ফিচার রয়েছে সেটি নিয়ে বেশ খোঁজাখুঁজি করেন।

প্রযুক্তি-প্রেমীদের মাঝে বিপুল আগ্রহ ও উৎসাহের কারণে, ফটোগ্রাফির জগতে অনেক পরিবর্তন এসেছে; ঐতিহ্যবাহী ক্যামেরা থেকে এখন এই একই সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে স্মার্টফোনে। ফলে, গত বিশ বছরে ফটোগ্রাফির জগতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে। আর এই পরিবর্তন সম্ভব হয়েছে অনেকটাই মোবাইল টেকনোলজির অগ্রগতির কারণে।

ফটোগ্রাফি এখন একটি সৃজনশীল কাজে পরিণত হয়েছে। আর স্মার্টফোন আরও সহজলভ্য হওয়ায় ফটোগ্রাফি পৌঁছে গেছে নতুন এক উচ্চতায়। আজকাল স্মার্টফোন ফটোগ্রাফি ব্যবহারকারীদের জন্য অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।

এখন ফোনে শুধু ক্যামেরা থাকলে চলে না; বরং ক্যামেরায় উন্নত প্রযুক্তি এবং ফিচার সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তবে, পয়েন্ট-অ্যান্ড-শুট থেকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, স্মার্টফোন ফটোগ্রাফির এই যাত্রা সহজ ছিল না।  

বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে ইন্টিগ্রেটেড ক্যামেরা সম্বলিত মোবাইল ডিভাইসগুলো ফান হিসেবে অনেকেই ব্যবহার করতো। তখন নকিয়া ৭৬৫০ মডেলের মতো ফোনগুলো দিয়ে শুধু ভিজিএ ছবি তোলা সম্ভব ছিল। তবে সময়ের সাথে সাথে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন হয়েছে, উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে ক্যামেরার টেকনোলজিতে। ফলে, মোবাইলের টেকনোলজির সাথে সাথে ফোনের ক্যামেরার কার্যকারিতাও বৃদ্ধি পেয়েছে।

২০১০ সালের মাঝামাঝি সময়ে আইফোন ৬এস, স্যামসাং গ্যালাক্সি এস৭ এবং গুগল পিক্সেলের মতো স্মার্টফোনগুলোতে উচ্চ-রেজুলেশন সেন্সর, উন্নত লেন্স এবং অত্যাধুনিক সফ্টওয়্যার ব্যবহার শুরু হয়, যার ফলে ব্যবহারকারীরা পয়েন্ট-অ্যান্ড-শুট ক্যামেরার মতো ছবি স্মার্টফোন দিয়ে তোলা শুরু করে। পরবর্তী সময়ের অত্যাধুনিক উদ্ভাবনের কারণে এইচডিআর, নাইট মোড, অপটিক্যাল ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন (ওআইএস) এবং এআই-সমর্থিত ফটো এনহ্যান্সমেন্টের মতো ফাংশনগুলো মানুষের হাতের নাগালে আসতে শুরু করে। 

মোবাইল ক্যামেরা প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে সাথে, এর গুরুত্বও বৃদ্ধি পায়। উচ্চমানের ক্যামেরা ফোন ফটোগ্রাফিকে আরও সহজলভ্য করে তোলে, ফলে বিশ্বব্যাপী স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা নিজেদের সৃজনশীলতা এবং মতামত প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে ফটোগ্রাফিকে বেঁছে নেয়। ব্যবহারকারীদের মাঝে এমন জনপ্রিয়তা বিবেচনায় নিয়ে স্মার্টফোন ব্র্যান্ডগুলো মোবাইল ফটোগ্রাফির বিকাশে উল্লেখযোগ্যভাবে বিনিয়োগ শুরু করে। উদাহরণস্বরূপ – টেকনো এর ক্যামন ৪০ সিরিজে স্মার্টফোন ফটোগ্রাফির অভিজ্ঞতা উন্নত করার জন্য ফ্ল্যাশস্ন্যাপ প্রযুক্তি নিয়ে এসেছে। 

ফ্ল্যাশস্ন্যাপ টেকনোলজি ক্যামেরা প্রযুক্তিতে চলমান অগ্রগতির প্রতিফলন। গতানগতিক ডিএসএলআর ক্যামেরার কার্যকারিতা স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের হাতের নাগালে নিয়ে আসতে এই টেকনোলজি নিয়ে এসেছে টেকনো। উচ্চ-মানের ছবি তোলার জন্য হার্ডওয়্যার এবং সফ্টওয়্যারের সংমিশ্রণে ফ্ল্যাশস্ন্যাপ টেকনোলজি ডিজাইন করা হয়েছে। 

প্রযুক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকে, ফ্ল্যাশস্ন্যাপ ফোনের ইমেজ প্রসেসিং ইঞ্জিনের সাথে সংযুক্ত; ফলে ছবি তোলার সময় কোনো অতিরিক্ত সময় লাগে না। আপনি নিজের চোখে যা দেখছেন, তাই তৎক্ষণাৎ ক্যামেরায় ধারণ করতে পারবেন। অ্যাকশন, স্ট্রিট এবং তাৎক্ষণিক ফটোগ্রাফির জন্য একদম পারফেক্ট এই ফ্ল্যাশস্ন্যাপ টেকনোলজি। এছাড়া, এই সিস্টেমে প্রেডিক্টিভ এআই রয়েছে, যা ছবি তোলার আগে ও পরে ক্রমাগত ফ্রেমগুলোকে বাফার করে; ফলে আপনি সবসময় নিখুঁত মুহূর্তটি ক্যাপচার করতে পারবেন। 

ক্যামন ৪০ এবং ক্যামন ৪০ প্রো-এর ইউনিক ফিচারগুলোর মধ্যে একটি হলো ফ্ল্যাশস্ন্যাপ প্রযুক্তি, যার সাহায্যে ব্যবহারকারী ১৫ ফ্রেম প্রতি সেকন্ডে ক্যাপচার করতে পারবে। যেখানে সেগমেন্টের অন্য ফোনে ফাস্ট মুভিং সাবজেক্ট ক্যাপচারের সময় সাবজেক্ট ব্লার হয়ে যায়, সেখানে ক্যামন ৪০ সিরিজের ফ্ল্যাশস্ন্যাপ ফিচার দিয়ে যেকোনো ফাস্ট মুভিং সাবজেক্টের ক্রিস্টাল ক্লিয়ার ছবি তোলা যাবে। এতে আরও আছে একটি ডেডিকেটেড ফ্ল্যাশস্ন্যাপ বাটন, যা ফটোগ্রাফি এক্সপেরিয়েন্সকে দুর্দান্ত লেভেলে নিয়ে যাবে। ব্যবহারকারীরা যেন তাৎক্ষণিকভাবে যেকোনো মুহূর্ত সহজেই ক্যাপচার করতে পারে সেজন্য এই সিরিজে আছে একটি ডেডিকেটেড ওয়ান-ট্যাপ ফ্ল্যাশ স্ন্যাপ বাটন; যা ব্যবহারকারীদের জন্য নিশ্চিত করে অনন্য ক্যামেরা অভিজ্ঞতা।

ক্যামন ৪০ সিরিজের মূল আকর্ষণ সনির ফ্ল্যাগশিপ ৫০ মেগাপিক্সেল লিটিয়া ৭০০সি সেন্সর, যার সঙ্গে আছে আলট্রা-ওয়াইড ক্যামেরা, যা ব্যবহারকারীকে দেয় নিখুঁত ক্যামেরা এক্সপেরিয়েন্স। এছাড়া, ক্যামন ৪০ প্রো ফোনে রয়েছে আন্ডার ওয়াটার ফটোগ্রাফি ফিচার; স্মার্টফোন ফটোগ্রাফির ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে এই আন্ডার ওয়াটার ফটোগ্রাফি ফিচার। এখন পানির নিচেও ক্যামেরাবন্দি করা যাবে নিজের পছন্দমতো মুহূর্তগুলো। টেকনো অনুমোদিত দেশের সকল আউটলেটে পাওয়া যাচ্ছে ক্যামন ৪০ সিরিজের এই দুটি স্মার্টফোন। ক্যামন ৪০ ফোনের মূল্য মাত্র ২৩,৯৯৯ টাকা এবং ক্যামন ৪০ প্রো’র মূল্য মাত্র ২৭,৯৯৯ টাকা। 

বেসিক পয়েন্ট-আন্ড-শুট মোবাইল ফটোগ্রাফি থেকে ফ্ল্যাশস্ন্যাপ টেকনোলজি -- অত্যাধুনিক সিস্টেম ও প্রযুক্তির সাহায্যে স্মার্টফোনের ক্যামেরা অনেক উন্নত করা হয়েছে। উন্নত সেন্সর এবং এআই এর মতো প্রযুক্তির ওপর ভর করে আগামী দিনেও এই প্রযুক্তিগত উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে; মোবাইল ফটোগ্রাফি পৌঁছে যাবে নতুন উচ্চতায়।