Charmonai Pir Saheb, Mufti Syed Muhammad Rezaul Karim.
সিলেট, মৌলভীবাজার, ফেনীসহ উত্তরাঞ্চলের বন্যায় দুর্গত মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই। ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নামা পাহাড়ি ঢলে সিলেট ও মৌলভীবাজারের প্রায় অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হয়ে মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করছে। এলাকার বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিউবো) উপকেন্দ্র প্লাবিত ঝুঁকির মুখে পড়েছে। সিলেট ও মৌরভীবাজারের আশপাশের বাড়িঘর প্লাবিত হয়ে লোকজন পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। কেউ কেউ বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছেন।
আজ এক বিবৃতিতে ইসলামী আন্দোলনের আমীর বলেন, টানা ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে উত্তরাঞ্চলের চার জেলায় নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তিস্তাসহ প্রধান নদ-নদীর পানি কয়েকটি স্থানে বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী কয়েক দিন অবিরাম বর্ষণের সম্ভাবনা থাকায় রংপুর, নীলফামারী, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামের বন্যা পরিস্থিতি তৈরির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর মধ্যে রংপুর, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম এই তিন জেলার কয়েকটি নদ-নদীর পানি বিভিন্ন পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে নীলফামারীতে পানির প্রবাহ বিপৎসীমা অতিক্রম না করলেও পানি বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো নৈতিক ও মানবিক দায়িত্ব। সে দৃষ্টিকোণ থেকে সংগঠনের নেতাকর্মী, সমাজের বিত্তবান এবং সাহায্য সংস্থাগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, সরকার সিলেট ও মৌলভীবাজারের ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য এখন পর্যন্ত কোন উদ্যোগ না নেওয়া জনমনে সংশয় বিরাজ করছে।
চরমোনাই পীর আরো বলেন, দেশে ইনসাফপূর্ণ সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত না থাকায় মানুষের মৌলিক চাহিদা পুরণ হচ্ছে না। মানুষ অনাহারে, অর্ধাহারে অসহায় জীবন যাপন করছে। ইসলাম মানুষের কল্যাণের জন্য নিবেদিত। কল্যাণকামীতাই ইসলামের বৈশিষ্ট্য। মৌলিক অধিকার ফিরে পেতে সকলকে ইসলামের সুমহান আদর্শে ফিরে আসতে হবে। - প্রেস বিজ্ঞপ্তি