Charmonai Pir Saheb, Mufti Syed Muhammad Rezaul Karim.
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, অতি ভারি বর্ষণের কারণে বন্যা পরিস্থিতর সৃষ্টি হলে তা সহনশীল মাত্রায় বৃদ্ধি পাবে এবং মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার সুযোগ পাবে। বর্ষা সৌসুমে যা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু সম্প্রতি ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও লক্ষীপুরসহ এতদঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি যে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে, তাতে খুব সহজেই বোঝা যায় পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে অন্যায়ভাবে বাঁধ খুলে দিয়ে আমাদের বাংলাদেশের নিম্নাঞ্চলগুলোতে ইতিহাসের ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করা হয়েছে। যা মানবতা বিরোধী অপরাধ। এই অপরাধের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রকে বলিষ্ঠভাবে এখনই সোচ্চার হতে হবে।
আজ বুধবার এক বিবৃতিতে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, দুই দেশের অভিন্ন ৫৪টি নদীর ৫১টি নদীতে আšত্মর্জাতিক নদী আইন অম্যান্য করে ভারত বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য উজানে অসংখ্য বাঁধ, ব্যারেজ দিয়েছে এবং ভিন্নখাতে একতরফাভাবে পানি ছাড়ছে ও প্রত্যাহার করছে। ভারতের এই পানি আগ্রাসনের কারণে গোটা বাংলাদেশে আজ বর্ষায় তলিয়ে যাচ্ছে এবং শীতে মরু আকার ধারণ করছে। ভারতের আšত্মঃনদী সংযোগ প্রকল্প আšত্মর্জাতিক নদী আইনের সুষ্পষ্ট লঙ্ঘন। এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ আওয়াজ তুলতে আহ্বান জানান তিনি।
ইসলামী আন্দোলনের আমীর আরও বলেন, অতীতে ক্ষমতাসীন ও দখলদার লুটেরাদের কারণে এবং নদী শাসনে অনিয়মের কারণে নদীমাতৃক দেশের প্রায় প্রতিটি নদীই অকার্যকর হয়ে পড়েছে। ফলশ্রম্নতিতে স্বল্প বর্ষনেই যত্রতত্র বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। এক্ষেত্রে জনগণকেও সচেতন হতে হবে এবং রাষ্ট্রকে এখনই যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
পীর সাহেব চরমোনাই দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি বন্যা কবলিত অঞ্চলে দ্রম্নত মানবিক সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসতে নির্দেশনা দিয়ে বলেন, প্রতিটি এলাকাভিত্তিক সেচ্ছাসেবী টিম গঠন করে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা এবং রাষ্ট্রীয় বাহিনী কে সহযোগিতা করা, জরম্নরি খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেয়া এবং পুনর্বাসনের পরিকল্পনা করে তা বা¯ত্মবায়নের চেষ্টা করা। - প্রেস বিজ্ঞপ্তি