News update
  • BB to appoint administrators to merge troubled Islami banks     |     
  • Bangladesh Bank allows loan rescheduling for up to 10 years     |     
  • Guterres Urges Leaders to Act as UNGA Week Begins     |     
  • BNP to go door to door for hearts and votes     |     
  • Chittagong port tariffs increased up to 50 per cent     |     

খাগড়াছড়িতে থেমে থেমে বর্ষণ, ঝুঁকিতে ৩৫ হাজার পরিবার

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিপর্যয় 2025-05-30, 7:53am

bbbe8a178bdd90361569ba368a81d1db44834b986abcdd1b-85d86bdce1a5c36bb2c724d153bf432b1748569989.jpg




বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে খাগড়াছড়িতে থেমে থেমে চলছে বর্ষণ। এতে দেখা দিয়েছে পাহাড় ধসের শঙ্কা। তবে দুর্যোগ মোকাবিলায় নেয়া হয়েছে প্রস্তুতি। সাধারণ মানুষের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে নিরাপদ আশ্রয়ে অবস্থান নিতে সচেতনতামূলক মাইকিং মাধ্যমে প্রচার চালাচ্ছে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বিকেলে খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হাসান মারুফের নেতৃত্বে প্রশাসনের কর্মকর্তা পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের বাড়িতে গিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে অনুরোধ করেন।

সেইসঙ্গে জেলা প্রশসনের উদ্যোগে খাগড়াছড়ি শহরের সবুজ বাগ, কুমিল্লা টিলা, শালবন মোহাম্মদ পুর, শালবান শাপলা মোরসহ পাহাড় ধসের সম্ভাবনা এলাকায় সচেতনতামূলক মাইকিং করা হয়।

এছাড়া পাহাড়ের পাদদেশে অবৈধভাবে বসতি স্থাপনকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার নেয়ার পাশাপাশির এই দুর্যোগে যাতে একটিও প্রাণহানী না ঘটে সেই বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করার কথা জানান জেলা প্রশাসক এবি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার।

জানা যায়, খাগড়াছড়িতে পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে বসবাস করছে হাজার হাজার পরিবার। সেইসঙ্গে থামছে না পাহাড় কেটে বসতি স্থাপন। খাগড়াছড়ি শহরের বিশেষ করে কলাবাগান, নেন্সিবাজার, মোল্লাাপাড়া, কৈবল্যপিঠ, আঠারো পরিবার, শালবন ও মোহাম্মদপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়ের ঢালে ঢালে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাস করছে পরিবারগুলো। বিগত বছরগুলোতে এ অঞ্চলে পাহাড় ধসে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।

তবে প্রতি বছর বর্ষা এলেই প্রশাসন নড়েচড়ে বসলেও সারা বছর পাহাড় কেটে বসতি স্থাপন নিয়ে প্রশাসন নির্বিকার থাকেন এমন অভিযোগ রয়েছে। ফলে এ বর্ষা মৌসুমে খাগড়াছড়িতে আবারও পাহাড় ধসে জানমালের ক্ষতির শঙ্কা প্রবল হয়ে উঠেছে।

পরিবেশকর্মী জসিম উদ্দিন মজুমদার বলেন, পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের অন্যত্র পুনর্বাসনের উদ্যোগ না নিলে ভয়াবহ প্রাণহানির আশংকা রয়েছে।

খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক এবি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার বলেন, সম্মিলিত উদ্যোগে পাহাড়ে পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের পুনর্বাসনে উদ্যোগ নেয়া হবে।

জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, পৌর এলাকায় ৩০টি ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে ৩ হাজার ৫০০ পরিবারসহ পুরো জেলায় ঝুঁকিতে বসবাস করছে প্রায় ৩৫ হাজার পরিবার। বর্ষা মৌসুম  আসায় পাহাড়ে বসবাসকারী এসব পরিবারের মাঝে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা।