News update
  • Hasina Sentenced to Death Over Crimes Against Humanity     |     
  • Gaza Begins Mass Cleanup to Restore Dignity and Normal Life     |     
  • BNP weighing review of some nominations amid grassroots unrest     |     
  • US presses for Gaza resolution as Russia offers rival proposal     |     
  • 35 crude bombs, bomb-making materials found in Geneva Camp     |     

কলাপাড়ায় ভেড়িবাঁধ ভাঙনের শঙ্কায় নির্ঘুম রাত কাটছে হাজারো মানুষের

বিপর্যয় 2025-08-26, 10:28pm

polder-embankment-in-kalapara-about-to-give-in-5e7942c98d4b510f09fe609111a317d51756225722.jpg

Polder embankment in Kalapara about to give in.



পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার চর বালিয়াতলী ভেড়িবাঁধ ভাঙনের শঙ্কায় নির্ঘুম রাত কাটছে হাজারো মানুষের। বাঁধের রিভার সাইটসহ মূল বাঁধের প্রায় ৯০ শতাংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় পুরো গ্রামজুড়ে দেখা দিয়েছে প্লাবন আতঙ্ক।

স্থানীয়রা জানান, ভেড়িবাঁধ নিয়ে প্রতি মুহূর্তেই আতঙ্কে থাকতে হচ্ছে তাদের। যে কোনো সময় বাঁধ ছিঁড়ে পানি ঢুকে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হতে পারে। এতে হাজারো মানুষের বসতবাড়ি, আমন ধানের ক্ষেত, গবাদি পশু নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে।

চর বালিয়াতলী গ্রামের মো. হাবিব বিশ্বাস, মো. জামাল হোসেন ও আবু সরদার বলেন, 'রাতে ঘুম আসে না। ভয়ে থাকি, যে কোনো সময় বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকবে। প্রতিদিন এই আতঙ্কে থাকতে হয়। শুধু ঘরবাড়িই নয়, আমাদের কৃষিজমি ও গবাদিপশুও ঝুঁকির মধ্যে। সন্তানদের নিয়ে বেশি ভয় পাই-কারণ স্কুলে যাতায়াতও অনিরাপদ হয়ে গেছে। আমাদের ছেলে-মেয়েরা নিয়মিত স্কুলে যেতে পারছে না। পড়াশোনায় পিছিয়ে পড়ছে তারা। এমনকি অসুস্থ হলে চিকিৎসার জন্য বাইরে যাওয়া নিয়েও শঙ্কা তৈরি হয়েছে। আমরা যেন একেবারেই অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছি।'

স্থানীয়রা বলছেন, 'চরবালিয়াতলীর ভেড়িবাঁধের জিও ব্যাগের ৯০ শতাংশ ভেসে গেছে। গত এক মাস ধরে প্রবল বৃষ্টি ও নিম্নচাপের প্রভাবে নদীতীরে ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে। সাময়িক মেরামতের চেয়ে স্থায়ী সমাধান জরুরি হয়ে উঠেছে।'

সকল গ্রামবাসীর দাবি, দ্রুত টেকসই বাঁধ নির্মাণ করে তাদের জীবন-জীবিকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড কলাপাড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহআলম ভূঁইয়া সাংবাদিকদের জানান, প্রাকৃতিকভাবে নদীর পশ্চিম তীর ভাঙনপ্রবণ। করমজাতলায় মেরামত করা হলেও টিকে যায়নি। দেবপুর ও গৈয়াতলায় মেরামতের পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে, চরবালিয়াতলীতে নতুন ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা চলছে এবং স্লুইসগেট বন্ধ করে জলোচ্ছ্বাস প্রতিরোধ করা হবে। - গোফরান পলাশ