News update
  • UNGA urges renewed int’l efforts for a resolution of Rohingya crisis      |     
  • First National AI Readiness Assessment Report Published     |     
  • China calls for implementation roadmap for new finance goal     |     
  • New gas reserve found in old well at Sylhet Kailashtila field     |     
  • Revenue earnings shortfall widens in October     |     

গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক ঐক্যের রবিবার প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক সমাবেশ ডেকেছে

বিবিধ 2025-05-11, 12:51am

un-women-e7201930a9fd4be97366bb7cf78e06cf1746903239.jpg

Woman



গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক ঐক্যের অন্তর্ভুক্ত প্রগতিশীল সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনসমুহ চলমান নারী নিপীড়ন, প্রকাশ্যে নারী সংস্কার কমিশনের সদস্যদেরকে আক্রমণ ও নারীবিদ্বেষী বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাচ্ছে। গত জুলাই মাস জুড়ে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দাবিতে চলমান আন্দোলনে নারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। অথচ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর নারীদেরকে রাজনৈতিক পরিসর, জনপরিসর থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য নানাবিধ পাঁয়তারা হচ্ছে যা গণঅভ্যুত্থানের বৈষম্যবিরোধীর চেতনার পরিপন্থী।

সম্প্রতি নারী কমিশন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাতিল জানিয়ে গত ৩ মে ২০২৫ সোহওয়ার্দী উদ্যানে হেফাজতে ইসলাম নামক সংগঠনটি এক মহাসমাবেশে নারীদেরকে প্রকাশ্যে যৌন হয়রানিমূলক বক্তব্য প্রদান করে। শুধু তাই নয়, ফ্যাসিবাদবিরোধীর একটি আইকন হিসেবে তারা একজন নারীর কুশপুত্তুলকে যেভাবে প্রকাশ্যে অবমাননা করে, তাতে ফ্যাসিবাদের প্রতি বিরোধিতার বদলে তাদের ধর্ষণের মনস্তত্ত্বকে ইঙ্গিত প্রদান করে। এর আগেও আওয়ামীলীগ আমলে জাতীয় নারী নীতিমালা তৈরি হবার পরে একইভাবে হেফাজত নারীর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অবস্থান নেয় এবং নারী স্বাধীনতার পক্ষের মানুষদেরকে নির্মমভাবে হেনস্থা করে। কিন্তু হেফাজতে ইসলাম গত ১৫ বছরে আওয়ামীলীগের সুবিধাভোগী অংশের অন্যতম এক নাম। রেলের জমির বরাদ্দ নেওয়া এবং শেখ হাসিনাকে কওমী জননী উপাধি দেওয়ার ক্ষেত্রে তারা অগ্রগামী ভূমিকা পালন করে। সে সময়ে তাদের ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ন্যূনতম সংগ্রাম না দেখা গেলেও,  গণঅভ্যুত্থানের পর নানাভাবে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তি হিসেবে’ জনবিরোধী অবস্থান নিচ্ছে। এই ঘটনায় তাদের ‘ইনটেনশন’ আমাদের কাছে পরিষ্কার হয়।

অথচ আমরা বিস্ময় সহকারে লক্ষ্য করছি, গণঅভ্যুত্থানের হাজারো শহীদের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হেফাজতের এই ইন্টেনশনের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কোন স্পষ্ট অবস্থান নেয়নি, বরং তাদের উপদেষ্টার বক্তব্যে ‘নারী সংস্কার কমিশনের বিষয়ে সরকার কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি’ বলে অবস্থা এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা গিয়েছে। আমরা বলতে চাই, জনসংকট নিরসন না করে তা এড়িয়ে যাওয়াই ফ্যাসিবাদভিত্তিক শাসনামলের  পুরানো কৌশল।

নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নিয়ে প্রত্যেকটি মত ও দর্শনের মানুষের ভিন্ন অবস্থান থাকতে পারে। কিন্ত তা আলোচনার গণতান্ত্রিক পরিসর থাকতে হবে। পুরো কমিশনের সুপারিশ বাতিল করতে চাওয়া এবং সেই চাওয়াকে পুঁজি করে সংস্কার কমিশনের সদস্যসহ সারা বাংলার নারীকে প্রকাশ্যে অপমান করা একটি রাজনৈতিক চক্রান্ত। এই চক্রান্ত মুলত নারীকে সামন্তীয়কালে আটকে রাখে এবং নারীর অগ্রসরকে অস্বীকার করে। এটি একটি বিশেষ গোষ্ঠীর ধর্মীয় আধিপত্যবাদী এবং পিতৃতান্ত্রিক পুঁজিবাদী রাজনীতির কৌশল।

গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারণসহ সকল পর্যায়ে সংস্কার করার কথা বললেও নারীদের সুরক্ষা প্রদানে দৃশ্যমান কোন পরিবর্তন চোখে পড়ছে না। বরং বিগত সকল সরকারের মত পিতৃতান্ত্রিক কাঠামোর পাশাপাশি আমরা এই গোষ্ঠীকে মদদ দেওয়ার ঘটনাগুলো দেখতে পাচ্ছি। আমরা মনে করছি, অন্তর্বর্তী সরকার নারীর প্রতি এই চলমান অবমাননার দায় কোনভাবেই এড়াতে পারে না। এই বিষয়ে সরকারের সুস্পষ্ট অবস্থান এবং অবমাননাকারীকে চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।

আগামী ১১ মে নারীর বিরুদ্ধে ও অবমাননার প্রতিবাদে আমরা গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক ঐক্যের পক্ষ থেকে শাহবাগে একটি প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক সমাবেশের আয়োজন করছি। পাশাপাশি আগামী ১৬ মে 'নারীর ডাকে মৈত্রীযাত্রা' কর্মসূচিতে আমাদের সর্বাত্মক সংহতি জ্ঞাপন করছি।