News update
  • OIC Condemns Ecuador’s Opening of a Diplomatic Office in Al-Quds     |     
  • No escape, death follows families in Gaza wherever they go     |     
  • Armed forces' magistracy powers extended by 60 days     |     
  • Hamid's departure: Body formed, Kishoreganj SP withdrawn     |     
  • The Taliban Took Everything – Even My Hope     |     

বাংলাদেশ বিষয়ে জাতিসংঘের বিবৃতি নিয়ে নাগরিক সমাজের প্রতিক্রিয়া

গ্রীণওয়াচ ডেক্স বিবিধ 2023-11-11, 9:04pm

image-247499-1699714605-ca94fcab23fbe948242573b054720f7e1699715079.jpg




জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার কার্যালয়ের প্রেস ব্রিফিং বিষয়ে সমাজের ৮১ বিশিষ্ট নাগরিক বিবৃতি দিয়েছেন। তারা বলছেন, নির্বিচারে অগ্নিসংযোগ, পুলিশ হত্যা, জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারা, ভাঙচুরসহ সব ধরনের সহিংসতাকে ‘রাজনৈতিক প্রতিবাদ’-এর অন্তর্ভুক্ত করায় এই বিবৃতিটি অপরাধীদের আরও নৃশংস হতে উৎসাহিত করতে পারে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গত ৩১ অক্টোবর জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় কর্তৃক প্রকাশিত ‘বাংলাদেশে রাজনৈতিক প্রতিবাদ’ শিরোনামের প্রেস ব্রিফিং নজরে এসেছে। এতে উল্লিখিত কিছু পর্যবেক্ষণ তথ্যনির্ভর মনে হয়নি। এ কারণে এটি পুনর্বিবেচনার দাবি রাখে।

বিবৃতিদাতারা সুস্পষ্ট করে বলেছেন, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ও সুপ্রিম কোর্টের অন্যান্য বিচারকের বাসভবনে হামলাকারী সব দুষ্কৃতকারীকে বিএনপির কর্মী হিসেবে শনাক্ত করা হলেও জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের সেই বিবৃতিতে তার প্রতিফলন ঘটেনি।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, প্রায় ৩৫ জন সাংবাদিককে আহত করার ঘৃণ্য ঘটনা জাতিকে উদ্বিগ্ন করেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তদন্তে ইতিমধ্যে এ ঘটনায় জড়িত মুখোশধারী ও অন্য আক্রমণকারীদের শনাক্ত করা হয়েছে। বিএনপির সঙ্গে তাদের সুস্পষ্ট যোগসূত্র পাওয়া গেছে।

পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে মারার ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, কিছু আক্রমণকারী মুখোশ পরে ছিল। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের (ওএইচসিএইচআর) অনুমান যে, মুখোশ পরা আক্রমণকারীরা ছিল ক্ষমতাসীন দলের লোক। তাদের এই অনুমান বিভ্রান্তিকর এবং বিষয়টি গভীর পর্যবেক্ষণের দাবি রাখে।

বিবৃতিতে প্রধান বিচারপতি বাসভবনে হামলা, সাংবাদিকদের ওপর ন্যাক্কারজনক আক্রমণ, পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে মারা, সেন্ট্রাল পুলিশ হাসপাতালে ভাঙচুর চালিয়ে অগ্নিসংযোগ, কয়েক ডজন গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনাগুলো আরও যাচাই-বাছাই করার অনুরোধ করা হয় ওএইচসিএইচআর-এর প্রতি।

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন- অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ড. সারওয়ার আলী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, সাবেক সচিব কে এইচ মাসুদ সিদ্দিকী, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মোহাম্মদ নুরুল হুদা, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মুস্তাফিজুর রহমান, সাবেক সচিব উজ্জ্বল বিকাশ দত্ত।

অভিনেতা রামেন্দু মজুমদার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. কনক কান্তি বড়ুয়া, রাষ্ট্রদূত ড. হাসান মাহমুদ খন্দকার, রাষ্ট্রদূত মো. আব্দুল হান্নান, বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, সাবেক সিনিয়র সচিব সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী, সাবেক সচিব মোহাম্মদ সিরাজুল হক খান, এডিটরস গিন্ডের সভাপতি মোজাম্মেল বাবু, সাবেক সচিব অপরূপ চৌধুরী, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, সাবেক (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, সাবেক সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক, সাবেক সচিব ড. প্রশান্ত কুমার রায়, সাবেক সচিব মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ, সাবেক সচিব সুবীর কিশোর চৌধুরী, সাবেক সিনিয়র সচিব মো. আব্দুস সামাদ, রাষ্ট্রদূত সুহরাব হোসেন, প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মোল্লা ওয়াহেদুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির, সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, সাবেক সচিব অশোক মাধব রায়।

রাষ্ট্রদূত একেএম আতিকুর রহমান, সাবেক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ, চলচ্চিত্র নির্মাতা তানভীর মোকাম্মেল, রাষ্ট্রদূত গোলাম মুহাম্মদ, সাবেক সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ সহিদুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরী, রাষ্ট্রদূত মুন্সী ফয়েজ আহমদ, সাংবাদিক কাশেম হুমায়ুন, অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওসমান গণি, রাষ্ট্রদূত চৌধুরী ইখতিয়ার মমিন, সাবেক মুখ্য সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ, রাষ্ট্রদূত মাহবুব উজ জামান, সাবেক সচিব ড. মুহাম্মদ সাদিক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, (দুদক) সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের ভাইস-চ্যান্সেলর ড. রুবানা হক, রাষ্ট্রদূত এটিএম নজরুল ইসলাম, সাবেক সচিব এম এ কাদের সরকার, সাবেক সচিব সুনীল কান্তি বোস, মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশের সাবেক চেয়ারম্যান মিসেস নাসিমা বেগম, সাবেক সচিব শমল কান্তি ঘোষ, সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, সাবেক সচিব মো. ফজলুল হক, সাবেক সিনিয়র সচিব মো. দিলওয়ার বখত।

সাংবাদিক নাসির আহমেদ, সাবেক জেলা জজ মিসেস জেসমিন আরা বেগম, প্রকাশক মাজহারুল ইসলাম, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি মিসেস ফরিদা ইয়াসমিন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ডিবিসি নিউজের সিইও মঞ্জুরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. ইকবাল আর্সেনাল, অধ্যাপক ড. দ্বীন মুহাম্মদ নুরুল হক, অধ্যাপক ড. মো. নুরুল আমিন, অধ্যাপক ড. বোরেন চক্রবর্তী, সাংস্কৃতিক কর্মী পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, স্থপতি ড. নিজাম উদ্দিন, রাষ্ট্রদূত মো. শহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এ মান্নান, অধ্যাপক ড. নুজহাত চৌধুরী।

অধ্যাপক ড. মামুন-আল মাহতাব, সাবেক মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়ার সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. রশিদ আসকারী, চলচ্চিত্র নির্মাতা মোরশেদুল ইসলাম, সাবেক সচিব সেলিনা আফরোজ, সাবেক সচিব পবন চৌধুরী, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. হারুন-অর-রশিদ, সাবেক সিনিয়র সচিব মো. শামসুল আরেফিন, সাবেক সচিব ড. খোন্দকার শওকত হোসেন, স্থপতি ইকবাল হাবিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মাসুদুজ্জামান। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।