News update
  • BB Purchases $353m in Dollar Auction to Stabilise Taka     |     
  • Promoting social inclusion of disabled persons thru empowerment     |     
  • Arab-Islamic Summit Warns Israel Attacks Threaten Ties     |     
  • South-South Cooperation: Building Innovation and Solidarity     |     
  • Consensus must; polls to be a grand festival: Prof Yunus     |     

পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবনের গভীর অরণ্যে কুষান-গুপ্ত যুগের নগরীর সন্ধান

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিবিধ 2024-02-07, 8:16am

kdhaudo9wiwpo-22ac7e574fd370f8f720f973f48dddee1707272181.jpg




পূর্ব ভারতের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবনের একদম কোর এলাকায় ঢুকে মাটি খুঁড়ে ঐতিহাসিক নিদর্শনের খোঁজ পেয়েছেন প্রত্নতাত্ত্বিকেরা।

পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য স্তরের অ্যাডমিনিস্ট্রেটর জেনারেল অ্যান্ড অফিসিয়াল ট্রাস্ট্রি বিপ্লব রায় খোঁজ পেয়েছিলেন যে সুন্দরবন, যা বাঘের ডেরা হিসাবেই পরিচিত, সেখানে আসলে প্রত্নতত্ত্বের খনি মজুত আছে।

তিনি বন্দুকধারী অভিজ্ঞ শিকারি ও মৎস্যজীবীদের নিয়ে এক প্রকার প্রাণ হাতে করেই বাঘের বসতিতে প্রবেশ করেন। বিপ্লব রায় বলেন, ''আজ যেখানে বন কাঁপিয়ে বাঘেরা চলাফেরা করে, সেখানে একসময় গণ্ডার, হাতিও থাকত।''

''মাটি খুঁড়ে যে সভ্যতার নিদর্শন পাওয়া গেছে, তা থেকে পরিষ্কার একসময় অন্য বড় জন্তুদেরও আবাসস্থল ছিল সেটি। আর ছিল কুষাণ, গুপ্ত যুগের মানুষদের বসবাস,'' তিনি বলেন।

রায় জানান, মাটির সাত ফুট নীচে থেকে কুষাণ যুগের মূর্তি, গুপ্ত যুগের ব্যবহৃত মাটির জিনিসপত্র পাওয়া গেছে। গণ্ডারের দাঁতের ফসিল, হাতির বুকের হাড়, এমনকী মানুষের হাড়গোড়ও পাওয়া গেছে।

''অমূল্য রত্নভাণ্ডারের চেয়ে এই খোঁজ কোনও অংশেই কম নয়," রায় বলেন।

প্রাকৃতিক কারণেই এইসব প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন মাটির নীচে চাপা পড়ে গেছে। প্রত্নতাত্ত্বিকেরা বলছেন, আরও গভীরে খনন কার্য চালিয়ে যা দেখা গেছে তার থেকে স্পষ্ট, সেখানে রাস্তাঘাট, পাতকুয়ো, মন্দির সবই ছিল।

মাটির ইঁট দিয়ে তৈরি পাকা দোতলা বাড়ির ভাঙা অংশও পাওয়া গেছে। অতীতে সেই সময়ে চুন-সুড়কির প্রচলন শুরু হয়নি। ইঁট গেঁথে পাকা বাড়ি তৈরি হত। বাড়ির ভাঙা অংশে মাটির কলসি, বাসনপত্র সবই পাওয়া গেছে।

সুন্দরবনের ঝড়খালি থেকে লঞ্চে যাত্রা শুরু হয়। হেরোভাঙা, বিদ্যাধরী নদী, মাতলা পেরিয়ে নেতাধোপানি হয়ে আরও গভীরে ঢোকেন প্রত্নতাত্ত্বিক, গবেষক ও অধ্যাপকদের দল। রাস্তা দেখানোর জন্য স্থানীয় কয়েকজন মৎস্যজীবীও ছিলেন।

প্রত্নতাত্ত্বিকেরা বলেছেন, যত বেশি ভেতরে ঢোকা যাবে ততই বিপদ বাড়বে। কারণ গোটা এলাকাটা টাইগার রিজার্ভের অধীন। সুন্দরবনের একেবারে কোর এলাকা। এখানেই বাঘেরা নিশ্চিন্তে ও সদর্পে চলাফেরা করে।

''তবুও গুপ্ত-ধনের খোঁজে ভেতরে ঢুকতেই হয়। আর সেখানেই হাজার হাজার বছর ধরে চাপা পড়ে থাকা প্রাচীন সভ্যতার খোঁজ মেলে।"

প্রত্নতাত্ত্বিকেরা জানিয়েছেন, ৭-৮ ফুট মাটির নীচে কাঠ দিয়ে বাঁধানো ইঁট পাতা রাস্তা পাওয়া গেছে। সেই আমলের লোকেরা মিষ্টি জলের জন্য গভীর কুয়ো খনন করতেন। সেই কুয়োর সন্ধানও পাওয়া গেছে। বাড়ি-মন্দিরের ভগ্নাবশেষ পাওয়া গেছে।

পাওয়া গেছে প্রাচীণ দুষ্প্রাপ্য কিছু মূর্তি। কার্বন ডেটিং করে সবকিছুরই বয়স বের করা হবে। তবে অনুমান করা হচ্ছে দেড় হাজার বছর আগে এই নগরীর অস্তিত্ব ছিল। কার্বন ডেটিং-এর রিপোর্ট পাওয়া গেলে সময়কাল সম্পর্কে নির্দিষ্ট ধারণা করা যাবে।  ভয়েস অফ আমেরিকা