News update
  • Man held for tying, beating up youth on theft suspicion in Gazipur     |     
  • Sajid (2) lifted after 32 hrs from deep Rajshahi well, not alive     |     
  • Spinning sector seeks urgent govt step to prevent collapse     |     
  • Dilapidated bridge forces Lalmonirhat residents to risk life daily     |     
  • High-level consultation to shape BD climate finance strategy     |     

চট্টগ্রামের বাথুলা গ্রাম থেকে দেশ পুনর্গঠনে, জানুন ড. ইউনূসকে

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিবিধ 2024-08-08, 11:34am

dr-yunus-1024x576-4e1f3b3faa9233341534338cc1ad924a1723095280.jpg




ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে চেনেন না, দেশে এমন মানুষ নেই বললেই চলে। তিনি দেশের একমাত্র ব্যক্তি, যিনি বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার নোবেল জয় করেছেন। তার আগেই নিজের কর্মের জন্য স্থান পেয়েছেন অসংখ্য গরীব মানুষের হৃদয়ে। ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে যারা বেরিয়ে এসেছেন দারিদ্র্য থেকে। তার এই মডেল সামাদৃত হয় বিশ্ব-পরিমণ্ডলে। পরে তিনি বিশ্বের সব মানুষের কল্যাণে উপস্থাপন করেন সামাজিক ব্যবসার মডেল। এবার দেশ পুনর্গঠনে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নিচ্ছেন বাংলাদেশের ড. ইউনূস।

শুরুটা ১৯৭৬ সালে, চট্টগ্রামের জোবরা গ্রামে। আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন গবেষণা করতে গিয়ে শুরু করেন ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্প। গরীব মানুষকে জামানত ছাড়া ঋণ দিয়ে অভূতপূর্ব সাড়া মেলে। একদিকে নেই খেলাপীর প্রবণতা, অন্যদিকে ধীরে ধীরে দারিদ্র্যসীমা থেকে বেরিয়ে আসেন উপকারভোগীরা। সময়ের পরিবর্তনে ১৯৮৩ সালে যেটি রূপ পায় গ্রামীণ ব্যাংক হিসেবে।

শুধু নোবেল নয়, র‍্যামন ম্যাগসেসে, প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অফ ফ্রিডম, কংগ্রেসনাল গোল্ড মেডেলের মতো আন্তর্জাতিক পুরস্কার পাওয়া হাতেগোনা যেক’জন ব্যক্তি আছেন পৃথিবীতে, তাদের মধ্যে একজন ড. ইউনূস।

২০০৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে আলোচনায় ছিলেন তিনি। পরে দল গঠনের গুঞ্জণও ছিল। তবে সেখান থেকে সরে যান নিজেই। বিষয়টিকে ভালোভাবে নেয়নি আওয়ামী লীগ। দলটির টানা সরকারে থাকার সময় মামলা হয় ড. ইউনূসের নামে। শ্রম আইনে সাজাও দেয়া হয়েছিল। শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলে আদালত খালাস দেন তাকে। এ প্রসঙ্গে সিনিয়র সাংবাদিক গোলাম মর্তুজা বলেন, এটা পুরোপুরি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ছিলো।

শিক্ষার্থীদের রক্তক্ষয়ী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার বিজয়ে পদত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। তৈরি হয় প্রশাসনিক শূন্যতা। নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসকে জাতির এই সংকটে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানায় ছাত্রসমাজ। এ বিষয়ে গোলাম মর্তুজা বলেন, বাংলাদেশের সৌভাগ্য এমন কাউকে পেয়েছে।

চট্টগ্রাম হাটহাজারির বাথুয়া গ্রামে ১৯৪০ সালে জন্ম মুহাম্মদ ইউনূসের। চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল, চট্টগ্রাম কলেজ ও পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকত্তোর শেষ করেন। ১৯৬৫ সালে ফুলব্রাইট স্কলারশিপ নিয়ে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনে যান যুক্তরাষ্ট্রে। ১৯৬৯ থেকে ১৯৭২ পর্যন্ত অর্থনীতির সহকারী অধ্যাপক ছিলেন মিডল টেনেসি স্টেট ইউনিভার্সিটির। পরে দেশে ফিরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে। এবার দেশ পুনর্গঠনেও ভুমিকা রাখবেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস; এটিই এখন প্রত্যাশা। যমুনা নিউজ।