News update
  • Dhaka’s air quality ‘unhealthy’ Sunday morning     |     
  • SSC, equivalent exam results being published Sunday     |     
  • BD wants greater trade, investment relations with US: FM     |     
  • Kim supervises latest test of new multiple rocket launcher     |     
  • OIC Welcomes UNGA Resolution for Full Membership for Palestine     |     

অন্ধ হয়েও দমে যায়নি ঝিনাইদহের উজ্জল

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি বিবিধ 2022-02-17, 12:00am

blind-6013221752df892237d0fc99fd8a328f1645034404.jpg




উচ্চরক্তচাপের ফলে দুটি চোখই  হারাতে হয়েছে উজ্জলের। বয়স তখন মাত্র ১৭ বছর। তারপরও দমে যাননি তিনি। দারিদ্রতার কষাঘাতে সংসারের হাল ধরতে বেছে নিয়েছেন সিঙ্গাড়া, চপ আর পিয়াজী বিক্রি ।

পুরো নাম উজ্জল হোসেন মোল্লা । বর্তমান বয়স ৩২ বছর। এখন এ দোকান ব্যবসা করেই চলে তাদের ৫ জনের সংসার।

জানাযায়, শৈলকুপার পৌরসভাধীন সাতগাছি গ্রামের সামছের আলী মোল্লার ছেলে উজ্জল । অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারে জন্মের কারণে খুব ছোটবেলা থেকেই তাকে সংসারের হাল ধরতে হয়েছে। তারা দুই ভাই। অন্য ভাই সুজন হোসেন মোল্লা সুস্থ। কিন্তু তিনি ও তার পরিবার আলাদা থাকেন। ভীটেবাড়ি বলতে মাত্র ১২ শতক জমিতে তাদের বসবাস।

উজ্জল বলেন, ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার সাতগাছি গ্রামের মোড়ে দিয়েছেন এ দোকান। তাতে তাদের ভালই চলে যায়। বাড়ী থেকে মায়ের সহযোগীতায় বানিয়ে ও ভেজে নিয়ে আসে সিঙ্গাড়া, চপ আর পিয়াজী। আর এগুলো দোকানে বসে বিক্রি করেন। কারো কাছে হাত পাততে হয় না তাদের।

উজ্জল আরো বলেন, দুপুর পর থেকে শুরু হয় দোকানের বেচা-বিক্রি। প্রতিদিন ১৭০ থেকে ১৮০ পিচ সিঙ্গারা, ১৫০ থেকে ১৬০ পিচ চপ আর ৩ থেকে ৪ কেজি পিয়াজী বিক্রি হয়।

ক্রেতারা কত টাকা দিচ্ছেন তা জানতে চাইলে উজ্জল বলেন, আমি টাকা হাতে নিলে বুঝতে পারি কত টাকার নোট। আর দাড়িপাল্লায় ওজনই নিজেই দেন। এভাবে প্রতিদিন ৩ শতাধিক টাকা আয় হয়।

আরো জানা যায়, তাদের বর্তমানে ৫ জনের সংসার। বাবা মা, উজ্জল ও তার স্ত্রী এবং এক কন্যা রয়েছে। সুজন আলাদা হয়ে যাওয়ার পর তারা দিশেহারা হয়ে পড়েন। কারণ সামছের আলী মোল্লা নিজেও এখন অন্ধ। একসময় তিনি পরের জমিতে কামলা দিয়েই সংসার চালাতেন। পরে উজ্জলও সংসারের হাল ধরে খুব ছোট বয়স থেকেই। কিন্তু একসময় সেও অন্ধ হয়ে যায়।

উজ্জলের বাবা সামছের আলী মোল্লা ও মা সাপিয়া খাতুন দাবী করেন, বর্তমানে সাতগাছি বাজারের মোড়ে অন্যের একটি পরিত্যাক্ত ভাঙ্গাচুরা দোকানে তারা ব্যবসা করছেন। টাকার অভাবে ভালো দোকান তৈরী করতে পারছেন না। ফলে দোকানে বিক্রি ভালো থাকলেও সবসময় পর্যাপ্ত খাবার রাখতে পারেন না। পর্যাপ্ত বিক্রি হলেও ভালো দোকানের না থাকায় তারা মালামাল রাকতেও পারছেন না। তাই কোন হৃদয়বান ব্যক্তি যদি তাদরে পাশে এসে দাড়ায় তাবেই তাদের পরিশ্রম আলোর মুখ দেখবে।