News update
  • Fire at UN climate talks in Brazil leaves 13 with smoke inhalation     |     
  • 5mmcfd gas to be added to national grid from Kailashtila gas field     |     
  • ArmArmed Forces Day: Tarique's message draws on historic closeness     |     
  • UNGA urges renewed int’l efforts for a resolution of Rohingya crisis      |     
  • First National AI Readiness Assessment Report Published     |     

দুই দেশের মাঝখানে বসবাসের অভিজ্ঞতা

ডয়চে ভেলে বিবিধ 2025-03-15, 11:32am

img_20250315_113023-2a434a9612324e34226022d3b827937d1742016732.jpg




সার্বিয়া সাসটাভসির পৌরসভাটির একাংশ বসনিয়ার, আরেক অংশ সার্বিয়ার। ফলে দিনে কয়েকবার সীমান্ত পাড়ি দিতে অপেক্ষা করতে হয় তাদের। এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি চান সাসটাভসির বাসিন্দারা।

হায়রো গিবানিৎসা সাসটাভসিতে থাকেন। এটির একাংশ সার্বিয়ার, আরেক অংশ বসনিয়া ও হ্যারৎসেগোভিনার অংশ। সাসটাভসির একাংশকে বসনিয়ায় সার্বিয়ার এক্সক্লেভ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, অন্য অংশকে সেই এক্সক্লেভে বসনিয়ার এনক্লেভ বিবেচনা করা হয়। হায়রো সাসটাভসি পৌরসভাটির বসনিয়া অংশের বাসিন্দা। 

সার্বিয়ার শহর প্রিবয়ের সঙ্গে যুক্ত এটি। বসতিটির প্রধান সড়ক দুই দেশের মধ্য দিয়ে গেছে। ফলে প্রিবয় পৌঁছাতে প্রতিবার তার একদিকে দুটি সীমান্ত চৌকি পার হতে হয়।

তিনি বলেন, এক সীমান্তে দশ মিনিট, অন্যটিতেও দশ মিনিট অপেক্ষা করতে হয়। এভাবে দিনে ৪০ মিনিট চলে যায় আমার। অথচ ওটা ২০ মিনিটের দূরত্ব। হায়রো মূলত অবসর জীবনযাপন করছেন। তবে এখনো মাঝে মাঝে কারিগরের কাজ করেন। মাঝে মাঝে তাকে দিনে তিনবার সীমান্ত পাড়ি দিতে হয়।

হায়রো গিবানিৎসা বলেন, চিকিৎসকের কাছে যেতে হয়, ফার্মেসি থেকে ঔষধ আনতে হয়। স্ত্রীর পেনশনের জন্য পোস্ট অফিসে যেতে হয়। সব কাজই প্রিবয়ে, শুধু ঘুমাই এখানে।

সাসটাভসির অন্য ৭০০ বাসিন্দার মতো হায়রোরও বসনিয়ার এবং সার্বিয়ার নাগরিকত্ব রয়েছে। পৌরসভার মাঝখানে একটি রাস্তা রয়েছে যার একদিক সার্বিয়াতে, অন্যদিক বসনিয়ায় শেষ হয়েছে।

সাসটাভসির মেয়র সৎয়েটো ভিলটিক এক সেতুর উপর দাঁড়িয়ে বলেন, দুই দেশের মানুষের মধ্যে সীমান্ত এই সেতুটিও। ইওগোস্লাভিয়ার যুগে এটা একটা দেশ ছিল। ফলে এখনকার মতো সমস্যা ছিল না। এখন আমরা সার্বিয়ায়, কিন্তু আমাদের পেছনে সেতুর অন্য অংশ বসনিয়ায়।

সীমান্ত সমস্যা কিভাবে সাসটাভসির বাসিন্দাদের ভোগাচ্ছে তা ব্যাখ্যা করেছেন ভিলটিক। এখানকার অধিকাংশ মানুষ পশুপালক এবং আশেপাশের বাজারে তারা পণ্য বিক্রি করেন। কিন্তু সীমান্তের কারণে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা অনেক।

তিনি বলেন, আমরা চাইলেই যেকোনো কিছু প্রিবয়ের বাজারে নিতে পারি না। সবকিছুর জন্য অনুমতি নিতে হয়। যেমন আমি এক ব্যক্তিকে পনির প্রিবয়ে নেয়ার অনুমতি দিচ্ছি যাতে তিনি তা সেখানে বিক্রি করতে পারেন। মানুষ এসবে বিরক্ত এবং আমরা আশা করি শীঘ্রই এই সমস্যার সমাধান হবে।

আমরা কারা এবং কী করতে পারি তা পুরোপুরি স্বচ্ছ হওয়া উচিত। তার আগ অবধি সৎয়েটো ভিলটিককে সার্বিয়াতেই বসবাস করতে হবে এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গে সাক্ষাত করতে বসনিয়ার ক্যাফেতে যেতে হবে। হায়রো গিবানিৎসারও প্রতিদিন সীমান্ত পার হতে হবে। যদিও অনেক বছর ধরে নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন তাদের, তারপরও একদিন স্বাধীনভাবে ঘোরাঘুরির আকাঙ্ক্ষা তাদের শেষ হয়ে যায়নি।