News update
  • CA Yunus pays homage to Liberation War martyrs on Victory Day     |     
  • Bangladesh capital market extends losing streak for second day     |     
  • Bangladesh celebrates Victory Day Tuesday     |     
  • 'Different govts presented history based on their own ideologies': JU VC     |     

জীবন্ত গাছে ‘ভুতুড়ে’ আগুন, ডাল দিয়ে বের হচ্ছে ধোঁয়া

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিবিধ 2025-07-02, 11:58am

bfdba8d86374d3dfb90df7daa889e765fc430064b6fa1fba-edcda71e2b065f7e40b1583ae5b0727e1751435929.jpg




কুড়িগ্রামের চিলমারীতে পুরাতন একটি গাছের গোড়ায় ভিতরে আগুন দেখতে পান স্থানীয়রা। এ সময় ওপরের বিভিন্ন ডালের ফুটো দিয়ে ধোঁয়া বের হতেও দেখেন তারা। পরে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাস্থলে ভিড় জমান উৎসুক জনতা।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) চিলমারীর রমনা রেলস্টেশনে প্রায় ৫০ বছরের পুরনো ওই শিল-কড়াই গাছের ডালপালা দিয়ে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়।

জানা যায়, মসজিদে ফজরের নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার সময় দুজন মুসল্লি ওই শিল-কড়াই গাছের ডালপালা দিয়ে ধোঁয়া বের হতে দেখেন। পরে গাছের কাছে গিয়ে দেখতে পান গোড়ার ভেতর আগুন জ্বলছে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তেই গাছের কাছে এসে ভিড় জমান স্থানীয়সহ উৎসুক জনতা। পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গাছটি ভেঙে পড়লে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়।

খবর পেয়ে আগুন দেখতে আসা আলামিন জানান, এমন ঘটনা এর আগে চোখে পড়েনি। আসলে কীভাবে গোড়ার ভিতরে আগুন আসলো আর কীভাবেই বা ওপরের ডাল দিয়ে ধোঁয়া বের হতে থাকলো। দেখে অবাক লাগছে।

চিলমারী রমনা স্টেশন অফিস রুমের দক্ষিণ পাশে অবস্থান শিল-কড়াই গাছটির। এই গাছের ছায়ায় সময় কাটান ট্রেনের যাত্রীসহ স্থানীয়রা। কিন্তু জীবন্ত গাছের গোড়ার ভিতরে আগুন এবং ডালপালা দিয়ে ধোঁয়া বের হওয়ার ঘটনা দেখে হতবাক হন তারা।

রমনা এলাকার বাবলু মিয়া জানান, খবর পেয়ে এসে দেখি ঘটনা সত্য। গাছটি পুরনো হওয়ায় গোড়ার ভিতর ফাঁকা হয়ে পড়েছে। কিন্তু এখানে কেউ আগুন দিয়েছে কি না তা জানা যায়নি।

তিনি আরও জানান, সকালে গাছে আগুন লাগার খবর শুনে ছুটে আসেন চিলমারী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। পানি ছিটিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে ফিরে যান তারা। পরে গাছটি ভেঙে পড়লে আবারও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নেভান। তবে আগুন লাগার কারণ কারও জানা নেই বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস।

চিলমারী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের টিম লিডার মো. ফারুক হোসেন জানান, ঘটনাটি শোনার পর সকালে এসে দেখি গাছে আগুন জ্বলছে। পরে গাছের ডালে ধোঁয়া বের হওয়া ফুটোয় পানি দিয়ে নেভানোর চেষ্টা করেছি। পরে যখন গাছটি ভেঙ্গে পড়ে তখন এসে আগুন নেভানো হয়। তবে গোড়ার ফাঁকা জায়গায় কেউ আগুন দিয়েছে কি না তা জানা যায়নি।

স্থানীয়রা জানান, স্বাধীনতার পর রমনা রেল স্টেশনের জায়গায় অন্যান্য গাছের সঙ্গে এই শিল-কড়াই রোপণ করে রেল কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সবুজ কুমার বসাক জানান, গাছটি রেলওয়ের জায়গায় আছে। খবর পেয়ে আমি সকালে গিয়েছিলাম। পরে ফায়ার সার্ভিস আগুন নেভানোর জন্য সব দিক থেকে চেষ্টা করেও আগুন নেভানো যায়নি। পরে গাছটি ভেঙে পড়লে আগুন নেভানো হয়। বিষয়টি রেলওয়ে ও বন বিভাগকে জানানো হয়েছে।