News update
  • IAEA Chief Calls for Renewed Commitment to Non-Proliferation     |     
  • UN Aid Chief Warns Humanitarian Work Faces Collapse     |     
  • Arab-Islamic Summit yields limited action over Israeli strike on Doha     |     
  • National Consensus Commission term extended till October 15     |     
  • EU Helping BD prepare for free, fair elections: Envoy Miller     |     

ধূমপান না করলেও ফুসফুসে ক্যান্সার হতে পারে

গ্রীণওয়াচ ডেস্কঃ মতামত 2022-02-04, 11:55am




ফুসফুস আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। এই অঙ্গটির মাধ্যমেই শ্বাস, প্রশ্বাস ক্রিয়া চলে। শরীরে অক্সিজেন প্রবেশ করে এবং বেরিয়ে যায় কার্বন ডাই অক্সাইড। তবে দুঃখের খবর হলো, ক্যান্সারের করাল গ্রাস ছাড়েনি এই অঙ্গটিকেও। এই বিশেষ অঙ্গেও ক্যান্সার হয়। আর শুধু ক্যান্সার হয় না, ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে দ্বিতীয় স্থানেই রয়েছে এই ক্যান্সার।

শরীরের এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে কায়ন্সারের প্রধান কারণ হলো ধূমপান। নিয়মিত ধূমপানকারীদের মধ্যে এই রোগ খুব বেশি দেখা যায়। তাই চিকিৎসকরা মানুষকে ধূমপান না করার বিষয়ে সচেতন করেন। যদিও ২০ শতাংশ ক্ষেত্রে ধূমপান না করা মানুষের মধ্যেও এই রোগ হানা দিচ্ছে। আর শুধু হানা দিচ্ছে না, দিনদিন এই সংখ্যাটা বেড়েই চলেছে। তাই প্রতিটি মানুষকেই সতর্ক থাকতে বলছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।

ক্যানসার ও নন স্মোকার্স

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ধূমপানের জন্য হওয়া ক্যান্সার এবং ধূমপান না করেও হওয়া ক্যান্সারের মধ্যে তফাত রয়েছে। এক্ষেত্রে দু’টি যেন আলাদা রোগ, এমনটাই মনে হবে। এক্ষেত্রে ধূমপান করা ব্যক্তিদের অনেক কম বয়সেই হয় ক্যান্সার। অপরদিকে ধূমপান না করা ব্যক্তিদের একটু বেশি বয়সে ফুসফুসের ক্যান্সার রোগটি হয়। এক্ষেত্রে ধূমপান না করা মানুষদের খুব চেনা কয়েকটি কারণেই এই রোগটি হয়।

১. পরোক্ষে ধূমপান: আপনি ধূমপান করেন না। কিন্তু ধূমপায়ীদের সাথে থাকেন। তারা ধূমপান করার সময় সাথে থাকেন। এছাড়া অনেক সময় মানুষ না চাইলেও তার সামনে অনেকে ধূমপান করেন। এক্ষেত্রে ধূমপান না করার পরও মানুষের শরীরে পৌঁছে যায় সিগারেটের বিষাক্ত ধোঁয়া। এই কারণেও হয় ধূমপান। এক্ষেত্রে প্যাসিভ স্মোকিং করা মানুষের ২৫ শতাংশ ক্ষেত্রে ধূমপানের আশঙ্কা থাকে।

২. বায়ু দূষণ: বর্তমানে মানুষ আধুনিকতার চরম শিখরে পৌঁছে গেছে। তবে এই আধুনিক যুগ আপনার সামনে এনেছে অনেক সমস্যার কারণও। এমনই একটি সমস্যা হলো বায়ু দূষণ। কল কারখানা হোক আর গাড়ির ধোঁয়া, বাতাসে মিশছে সব বিষাক্ত পদার্থ। এই পদার্থ অনায়াসে বাধাতে পারে রোগ। এমনকী দীর্ঘদিন এই বায়ুদূষণের মধ্যে থাকলে একটা সময় হতে পারে ফুসফুসের ক্যান্সার। তাই এখন সচেতন থাকা ছাড়া কোনো গতি নেই।

৩. অ্যাসবেস্টস: অ্যাসবেস্টস হলো একধরনের খনিজ। দেখা গিয়েছে, যেই সকল মানুষ এই খনিজ নিয়ে কাজ করেন, অর্থাৎ যাদের নাক দিয়ে এই খনিজ সরাসরি ফুসফুসে পৌঁছায় তাদের ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই বেশি।

৪. রেডন গ্যাস: ইউরেনিয়াম নষ্ট হয়ে গেলে তার থেকে বেরিয়ে আসে রেডন গ্যাস। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, দীর্ঘদিন এই রেডন গ্যাসের সম্পর্কে থাকলে দেখা দিতে লাং ক্যান্সার।