News update
  • BNP Opposes Reforms to Constitution’s Core Principles      |     
  • Time to Repair Bangladesh–Pakistan Ties     |     
  • Dhaka’s air quality recorded ‘unhealthy’ Friday morning     |     
  • Dr Yunus proved impact of innovative economics: Peking Varsity Prof     |     
  • Alongside conflict, an info war is still happening in Gaza     |     

সাগর-রুনি হত্যার বিচার দাবি সাংবাদিক নেতাদের

আইনমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে

মানবাধিকার 2024-02-16, 1:02am

bangladesh-fdeeral-union-of-journalists-and-the-dhaka-union-of-journalists-organised-a-demonstration-demanding-justice-for-the-killing-of-sagor-runi-and-other-journalists-689c0a1a90c9786cfe9066ddeda2fce81708023771.jpg

Bangladesh Fdeeral Union of Journalists and the Dhaka Union of Journalists organised a demonstration demanding justice for the killing of Sagor-Runi and other journalists.



সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত নিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সাম্প্রতিক বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে এই বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা।

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে সাংবাদিক নেতারা এসব কথা বলেন। 

‘আইনমন্ত্রী বলেছেন ৫০ বছর লাগলেও তদন্ত চলবে। এটা শুধুমাত্র উপহাস। সরকার সাগর-রুনি হত্যার বিচার করতে চায় না। এটা আইনমন্ত্রীর বক্তব্যে প্রমাণিত। যদি এই হত্যার বিচার না হয় তবে সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতন বন্ধ হবে না। আপনি কত বছর আইনমন্ত্রী থাকবেন? তবে এই বাংলার মাটিতে সব সাংবাদিক হত্যার বিচার হবে। বিচার হতেই হবে। এদেশের সাংবাদিক সমাজ সব সাংবদিক হত্যার বিচার নিশ্চিত করেই রাজপথ ছাড়বে।’ বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী একথা বলেন।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পূর্ব রাজাবাজারের ফ্ল্যাটে সাংবাদিক সম্পতি সাগর-রুনির রক্তাক্ত মরদেহ পাওয়া যায়। তাদের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত চলছে ১২ বছর। এখনও আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি তদন্ত সংস্থা র্যাব।

এর মধ্যে গত ১ ফেব্রুয়ারি আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘তাদের (র্যাব) তদন্তে যতদিন সময় লাগে সঠিকভাবে দোষী নির্ণয় করতে, ততটুকু সময় দিতে হবে। সেটা যদি ৫০ বছর হয়, ৫০ বছর দিতে হবে।’

আইনমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহার ও ক্ষমা প্রার্থনার দাবি জানিয়ে বিএফইউজের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেন, ‘১২ বছরে যদি তদন্ত প্রতিবেদন দিতে না পারে তবে এই এলিটফোর্স রেখে কি লাভ? হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের ব্যাপারে জনগণ জানতে চায়।’

বিদ্যুৎ খাতের নানা অনিয়মের তথ্য-উপাত্তসহ সাগর-রুনি অনেক প্রতিবেদন করেছিলেন উল্লেখ করে বিএফইউজের মহাসচিব আরও বলেন, ‘যখন বিদ্যুৎ সেক্টর দুর্নীতিবাজদের আখড়া হয়ে গেল তখন তাদের হত্যা করা হল। হত্যার পর তাদের ল্যাপটপ চুরি করা হল। এরপর এই সেক্টর দুর্নীতির শীর্ষে পৌছাল। কেউ এই সেক্টরের নিউজ করে না।’

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আইনমন্ত্রীর বক্তব্য প্রমাণ করে তারা এই হত্যার বিচার করতে অনিচ্ছুক। সাগর-রুনি হত্যার এক যুগ পরও আমাদের রাস্তায় দাঁড়িয়ে বিচার চাইতে হচ্ছে। রাষ্ট্রের প্রধান দায়িত্ব হলো নাগরিকের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। কিন্তু গত ১৫ বছরে ৬০ জন সাংবাদিক হত্যার শিকার হয়েছে। কোনো হত্যার বিচার হয়নি।’

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খুরশিদ আলম বলেন, ‘সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের পর সুষ্ষ্ঠু বিচারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সরকার। কিন্তু দেড় দশক হয়ে গেছে বিচার পাওয়া যায়নি। যদি সাগর-রুনির হত্যার বিচার হতো তাহলে গত ১৫ বছরে ৬০ জন সাংবাদিক হত্যার শিকার হতেন না।’

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ বলেন, ‘আজ পর্যন্ত সাংবাদিক সমাজ সাগর-রুনি হত্যার মোটিভটি পর্যন্ত জানতে পারেনি। এই হত্যাকাণ্ডের পর আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলাম। কিন্তু সরকারের চক্রান্তে একটা অংশ এই বিচারের দাবিতে সোচ্চার না। ফলে এরা অনেকে লাভবানও হয়েছেন।’

রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে ও ডিইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ খানের সঞ্চলনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন, বিএফইউজের সিনিয়র সহকারী মহাসচিব বাছির জামাল, বিএফইউজের প্রচার সম্পাদক শাহজাহান সাজু, ডিইউজের সহ-সভাপতি রাশেদুল হক, যুগ্ম সম্পাদক দিদারুল আলম দিদার, ডিইউজের দপ্তর সম্পাদক ইকবাল মজুমদার তৌহিদ, বিএফইউজের নির্বাহী সদস্য হামিদুল হক মানিক ও আবু হানিফ, ডিআরইউর সাবেক সহ-সভাপতি মাহমুদুল হাসান প্রমুখ।